img

নিজেকে প্রস্তুত করছেন নোভা

প্রকাশিত :  ১১:২২, ১০ এপ্রিল ২০২১

নিজেকে প্রস্তুত করছেন নোভা

বিনোদন ডেস্ক: ছোট পর্দার প্রিয়মুখ মডেল-অভিনেত্রী নোভা ফিরোজ। বেশ খানিকটা সময় অনিয়মিত ছিলেন তিনি অভিনয়ে। তবে এ অভিনেত্রী আবারো ফিরেছেন স্বমহিমায়। কাজ করছেন টিভিসি ও নাটকে। শুধু তাই নয়, ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রেও নাম লিখিয়েছেন। সিনেমার নাম ‘মৃধা ভার্সেস মৃধা’। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রনি ভৌমিক। নোভা জানালেন, তিনি বর্তমানে এই সিনেমাতে অভিনয়ের জন্যই নিজেকে প্রস্তুত করছেন।

যেহেতু এটি তার প্রথম সিনেমা, তাই নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়েই কাজ করবেন। এই সিনেমার গল্পটি বেশ আলাদা। সিনেমায় সামাজিক প্রেক্ষাপটের একটি গল্প তুলে ধরা হবে। যেখানে উঠে আসবে পরিবারের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ‘মৃধা ভার্সেস মৃধা’ সিনেমায় নোভার সঙ্গে দেখা যাবে নতুন প্রজন্মের আলোচিত চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদকে। আরো থাকছেন তারিক আনাম খান, নিমা রহমান, সানজিদা প্রীতি প্রমুখ। এদিকে নোভা সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং শেষ করেছেন, যেখানে তাকে দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিমের সঙ্গে। করোনার প্রকোপ বেড়েই চলছে। শুটিং করতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা তা জানতে চাইলে নোভা বলেন, টুকটাক সমস্যা হচ্ছে। তবে মানিয়ে নিচ্ছি। অন্যান্য সেক্টরের মতো আমরাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করার চেষ্টা করছি। তবে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ধীরে ধীরে। সবাই খুব আতঙ্কে রয়েছে। দোয়া করি যেন দ্রুত এ অবস্থার অবসান হয়। তবে অবশ্যই সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এর বিকল্প নেই। এ ছাড়া, বর্তমানে অভিনয়ের পাশাপাশি একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় প্রযোজক হিসেবে কাজ করছেন নোভা। 

img

পরীমনির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসিরকে মারধরের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই

প্রকাশিত :  ০৫:১৪, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:১৬, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

নায়িকা পরীমণির ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ। বরং পরীমনির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে হত্যাচেষ্টা, মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

এ ঘটনায় পরিমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত সংস্থাটি।

গত ১৮ মার্চ ঘটনার সত্যতা পেয়ে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন। প্রতিবেদনে আসামি পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে অন্য আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সিনিয়ার জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আদালত সূত্রে জানা যায়, এদিন মামলাটির ধার্য তারিখ রয়েছে। মামলার পরবর্তী কার্যক্রম আজ অনুষ্ঠিত হবে।

২০২২ সালের ৬ জুলাই একই আদালতে সাভার বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমনির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।২০২২ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন।

মামলায় বাদী নাসির উদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।

এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন।

নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির ও আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।

২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরীমনি সাভার থানায় মামলা করেন।

ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০২২ সালের ১৮ মে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের সময় নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন নাসিরসহ তিন আসামি। বর্তমানে মামলাটি পরীমনির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।