পুনর্বিবেচনার আহ্বান

img

ব্রিটেনের ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের’ তালিকায় পাকিস্তান

প্রকাশিত :  ০৮:৩৮, ১৪ এপ্রিল ২০২১

ব্রিটেনের ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের’ তালিকায় পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় পাকিস্তানকে অন্তর্ভূক্ত করেছে ব্রিটেন। অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে এই তালিকায় রাখা রয়েছে ইসলামাবাদকে। পাকিস্তানসহ মোট ২১টি দেশ রয়েছে তালিকায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এখবর জানিয়েছে।

সন্ত্রাসবাদে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকায় দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে পাকিস্তান। এবার ব্রিটেনও দেশটিকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ফলে সংকট আরও বাড়লো।

ব্রিটেনের ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ’-এর এই তালিকায় পাকিস্তান ছাড়াও রয়েছে আলবেনিয়া, বার্বাডোজ, বতসোয়ানা, বুরখিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, কেম্যান আইল্যান্ডস, উত্তর কোরিয়া, ঘানা, ইরান, জ্যামাইকা, মৌরিতাস, মরক্কো, মিয়ানমার, নিকারাগুয়া, পানামা, সেনেগাল, সিরিয়া, উগান্ডা, জিম্বাবুয়ে ও ইয়েমেন।

ব্রিটিশ সরকারের মতে, দুর্বল কর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত ও অর্থপাচারে নজরদারির অভাবের কারণে এই শ্রেণির দেশগুলো হুমকি হিসেবে বিরাজ করছে।

ব্রিটেনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন (সংশোধন) (উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো) আইন ২০২১ ব্রেক্সিট পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ব্রেক্সিটের আগে এই তালিকা ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রণয়ন করত।

২০১৮ সালের জুন মাসে ধূসর তালিকাভুক্ত করা হয় ইমরান খানের দেশকে। সেই সঙ্গে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় ২০১৯ সালের মধ্যে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়া ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে অ্যাকশন প্ল্যানগুলো মেনে চলতে। পরে করোনা পরিস্থিতিতে এই ডেডলাইন পরে আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই ইমরান প্রশাসন মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছে ওই তালিকার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার। কিন্তু প্যারিসভিত্তিক এফএটিএফ একাধিক বৈঠকের পরও ধূসর তালিকামুক্ত হতে পারেনি ইসলামাবাদ।

পাকিস্তান ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা ও নিন্দা জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরীর দাবি, কোনও উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে। পুরো ব্যাপারটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেন তিনি। মুখপাত্র বলেছেন, আশা করব তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে সরে এসে এই সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করবে ব্রিটেন।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের ৫০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে ব্রিটেন

প্রকাশিত :  ১১:১৯, ১৪ মে ২০২৪

ব্রিটেনের আর্থিক উন্নয়ন সংস্থা (ডিএফআই) ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট (বিআইআই) ‘প্রভাব বিনিয়োগ’ ছোট ব্যবসা এবং নারী উদ্যোক্তাদের সমর্থন দিতে বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় এসএমই ব্যাংক ব্র্যাক ব্যাংককে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে।

এই ঋণটি ক্ষুদ্র এবং ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসার বৃদ্ধিকে সমর্থন দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তহবিল সরবরাহ করবে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি।

মঙ্গলবার ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিআইআই’র একথা বলা হয়েছে।

ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এই বিনিয়োগ বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়তার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করেছে এবং এটি বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের আধুনিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের একটি বড় নিদর্শন।’

তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং নারী উদ্যোক্তাদের আরও অর্থনৈতিক সুযোগ গ্রহণ করতে এবং আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম করবে।

বাংলাদেশে প্রায় ১০ মিলিয়ন এমএসএমই রয়েছে। এতে জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশকে নিযুক্ত রয়েছে এবং দেশের শিল্প উৎপাদনের অর্ধেক এই খাত থেকে আসে।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং দারিদ্র্য নিরসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে এই অর্থয়নকে অপরিহার্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

ব্র্যাক ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এই ধরণের অর্থায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে দেশের মোট ঋণের মাত্র ২০ শতাংশ নারী-মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসহ এসএমইতে যাচ্ছে।

বিআইআই’র ঋণের অর্ধেক এমএসএসই খাতে যাবে এবং অবশিষ্টাংশ অর্ধেক নারী উদ্যোক্তাদের কাছে যাবে। যাতে মোট ৩ হাজার ৫শ’এমএসএসই এবং নারী উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছানো হবে, যাতে তাদের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই বিনিয়োগকালীন কাজ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য লিঙ্গ সমতার ওপর জাতিসংঘের ইউএন এসডিজি ৫, এসডিজি  ৮ সমর্থন দেবে। সেইসাথে শিল্প, উদ্ভাবন এবং অবকাঠামোতে এসডিজি ৯ সমর্থন করে।