img

সংক্রমণের ভয়াবহতা: ১৬ দিনেই ১ লাখ রোগী শনাক্ত

প্রকাশিত :  ১৮:২৬, ১৪ এপ্রিল ২০২১

সংক্রমণের ভয়াবহতা: ১৬ দিনেই ১ লাখ রোগী শনাক্ত

জনমত ডেস্ক: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দেশে করোনার শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ৩ হাজার ১৭০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গত ৩০ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এ ১৬ দিনেই  ১ লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছে। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য ঘেঁটে এমন তথ্য জানা গেছে।

গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর তিন মাস পর ১৮ জুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়ায়। এর ঠিক এক মাস পর ১৮ জুলাই রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছিল ২ লাখে। এরপরের এক লাখ রোগী শনাক্ত হয় এক মাস ৯ দিনে। ২৬ আগস্ট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়ায় ৩ লাখ। শনাক্ত রোগী সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়াতে লেগেছিল আরও দুই মাস। তা ৫ লাখে পৌঁছাতে সময় লাগে ৫৫ দিন। 

এরপর সংক্রমণের গতি কিছুটা কমতে থাকায় পরের এক লাখ রোগী শনাক্ত হয় ১০২ দিন পর। গত ২৯ মার্চ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়েছিল। 

এরপর সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দ্রুত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ২৯ মার্চের পর দৈনিক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একবারের জনও ৫ হাজরের নিচে নামেনি। এর মধ্যে ৭ এপ্রিল রেকর্ড সংখ্যক ৭ হাজার ৬২৬ জন রোগী শনাক্ত হয়। রোগীর সংখ্যার হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩৩ তম।

img

এক বন্ধুকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না : সেনাপ্রধান

প্রকাশিত :  ১৪:৪৮, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:০০, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এক বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) আয়োজিত প্রতিরক্ষা কূটনীতিবিষয়ক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। 

এ সময় সেনাপ্রধান বলেছেন, মিয়ানমারের নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। কিন্তু আপনারা জানেন, মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়ার মতো। কারণ, সব দেশই আমাদের বন্ধু। কাজেই একটি বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না। এই বাস্তবতা আমাদের বিবেচনায় রাখতে হয়।

তিনি আরও বলেন, দেশের স্বার্থ ও কৌশলের জন্য সামরিক কৌশল দরকার এবং এটির মাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের অবস্থান ঠিক করি। বিচ্ছিন্নভাবে এটি অর্জন করার সুযোগ নেই। মাঝেমধ্যে আমাদের তাই ভাবনা আসে, কে নেতৃত্ব দেবে বা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে। এটি কখনো কখনো সমস্যার তৈরি করে।

এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রিমিয়াম টিম বলে মনে করা হয়। জাতিসংঘের যেকোনো শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ এখন আলাদা সম্মানের জায়গা দখল করে আছে। 

শান্তিরক্ষা মিশনে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে যখন মধ্য আফ্রিকায় মিশনে গেলাম, তার এক মাস পর অর্থাৎ অক্টোবরে বড় রকমের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলাম। শুধু আমার গাড়ি বুলেট প্রুফ হওয়ার কারণে সেদিন জানে বেঁচে ফিরতে পেরেছি। সেদিন আমার আশেপাশের অনেক সৈন্য আহত হয়েছিল। এভাবেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জীবন বাজি রেখে শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করে দেশের জন্য সুনাম কুড়িয়ে এনেছে।

সেনাপ্রধান বলেন, অনেক বিষয় আছে, যেটি আমরা শুরু করেছিলাম কিন্তু শেষ করতে পারিনি। কারণ, পরবর্তীতে সেটি আমাদের হাতে থাকেনি। যখনই আমি ব্যবসা খাতের জন্য একটি সম্ভাবনা খুঁজে বের করলাম, সেটি পরবর্তীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চলে যায়। কাজেই এখানে যে প্রস্তাব এসেছে, সেটি আমি সমর্থন করি এবং মনে করি, একটি সংস্থা দরকার, যেটি সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করবে যার মাধ্যমে যেটি অর্জন করা হয়েছে, সেটি হারিয়ে যাবে না এবং এর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম ঠিক করবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসের চেয়ারম্যান এ এফ এম গাওসোল আযম সরকার এবং স্বাগত বক্তব্য দেন বিস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবু বকর সিদ্দিক খান। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।