বাংলাদেশকে ৫ লাখ ডোজ উপহারের টিকা পাঠাচ্ছে চীন
জনমত ডেস্ক: বাংলাদেশে মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে চীন উপহার হিসেবে সিনোফার্মের তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা সিনোভ্যাকের ৫ লাখ ডোজ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
রবিবার (২৫ এপ্রিল) তিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘চীন সিনোফার্মের তৈরি ৫ লাখ ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেবে বলে জানিয়েছে। ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মহাপরিচালক এর অনুমোদন দিয়েছেন। এটা গ্রহণ করা হবে। এরপর আমাদের নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন, এই উপহারের ভ্যাকসিন কখন কীভাবে প্রয়োগ করা হবে।’
করোনা ভাইরাসের টিকা পেতে চীনসহ ৬টি দেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি ফর কোভিড ফর সাউথ এশিয়া’ নামের এই প্ল্যাটফর্মের অন্য দেশগুলো হচ্ছে চীন, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা।
জরুরি প্রয়োজনে ভ্যাকসিন পেতে চীনের উদ্যোগে নতুন এই প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত হতে সম্মত হয়েছে বলে গেল বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের টিকার জন্য আমরা এখন চীনের সঙ্গে সম্পর্ক করেছি। চীন আমাদের ভ্যাকসিন দেবে। খুব শিগগিরই আমরা এ ভ্যাকসিন পাবো বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘এজন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে, যার খসড়া তৈরিও শেষ হয়েছে।’
গত বুধবার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে ক্লিনিক ভবনে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, ‘ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও সরকার করোনার টিকা আনার উদ্যোগ নিয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ডোজের প্রাপ্যতা নিয়ে অনেক সংশয় ছড়ানো হয়েছিল। কিছু পত্রপত্রিকা, প্রচারমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক অপপ্রচার চালিয়ে করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয় তৈরির অপচেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ইতোমধ্যেই প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকা নয়, অন্যান্য দেশ থেকেও টিকা আনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।’