img

বাংলাদেশকে ৫ লাখ ডোজ উপহারের টিকা পাঠাচ্ছে চীন

প্রকাশিত :  ০৮:৪৬, ২৫ এপ্রিল ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:৫২, ২৫ এপ্রিল ২০২১

বাংলাদেশকে ৫ লাখ ডোজ উপহারের টিকা পাঠাচ্ছে চীন

জনমত ডেস্ক: বাংলাদেশে মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে চীন উপহার হিসেবে সিনোফার্মের তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা সিনোভ্যাকের ৫ লাখ ডোজ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

রবিবার (২৫ এপ্রিল) তিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘চীন সিনোফার্মের তৈরি ৫ লাখ ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেবে বলে জানিয়েছে। ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মহাপরিচালক এর অনুমোদন দিয়েছেন। এটা গ্রহণ করা হবে। এরপর আমাদের নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন, এই উপহারের ভ্যাকসিন কখন কীভাবে প্রয়োগ করা হবে।’

করোনা ভাইরাসের টিকা পেতে চীনসহ ৬টি দেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি ফর কোভিড ফর সাউথ এশিয়া’ নামের এই প্ল্যাটফর্মের অন্য দেশগুলো হচ্ছে চীন, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা।

জরুরি প্রয়োজনে ভ্যাকসিন পেতে চীনের উদ্যোগে নতুন এই প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত হতে সম্মত হয়েছে বলে গেল বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

ড. মোমেন বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের টিকার জন্য আমরা এখন চীনের সঙ্গে সম্পর্ক করেছি। চীন আমাদের ভ্যাকসিন দেবে। খুব শিগগিরই আমরা এ ভ্যাকসিন পাবো বলে আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘এজন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে, যার খসড়া তৈরিও শেষ হয়েছে।’

গত বুধবার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে ক্লিনিক ভবনে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, ‘ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও সরকার করোনার টিকা আনার উদ্যোগ নিয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ডোজের প্রাপ্যতা নিয়ে অনেক সংশয় ছড়ানো হয়েছিল। কিছু পত্রপত্রিকা, প্রচারমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক অপপ্রচার চালিয়ে করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয় তৈরির অপচেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ইতোমধ্যেই প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে।’ 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকা নয়, অন্যান্য দেশ থেকেও টিকা আনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।’

img

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ

প্রকাশিত :  ১৩:২৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে ৬ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ মার্চ মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। এর আগের মাস অর্থাৎ, ফেব্রুয়ারিতে এ তালিকায় দেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম। একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও এক ধাপ পিছিয়ে ১০৭তম থেকে ১০৮-এ নেমে গেছে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে, প্রতিবেশী দেশ ভারত মোবাইল ইন্টারনেটে ১৬তম অবস্থানে রয়েছে। এই ইন্টারনেট সেবায় মিয়ানমার, জিম্বাবুয়ে, ইরাক ও নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলো বাংলাদেশের ওপরে অবস্থান করছে।

সূচক অনুসারে, মার্চে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে ডাউনলোডের গড় গতি পাওয়া গেছে ২৪ দশমিক ৫৯ এমবিপিএস। পাশপাশি আপলোডের স্পিড ছিল ১১ দশমিক ৫৩ এমবিপিএস। এছাড়া ব্রডব্যান্ডে ডাউনলোডের গতি ছিল ৪৪ দশমিক ২৫ এমবিপিএস। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ডাউনলোডের গড় গতি ১০৫.৮৫ এমবিপিএস।

মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ মোবাইল ইন্টারনেট গতি সূচকে শীর্ষে অবস্থান করছে। ৩১৩.৩০ এমবিপিএস গতি নিয়ে কাতার ১ নম্বরে, ২৯৬ এমবিপিএস গতি নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ২ নম্বরে এবং ২২৮.৬৪ এমবিপিএস গতি নিয়ে কুয়েত তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নিজেদের স্পিডটেস্ট অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া লাখ লাখ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স সম্পর্কে ধারণা দেয়।