img

মেক্সিকোয় মেট্রোরেল ভেঙে পড়ে নিহত ১৫, আহত ৭০

প্রকাশিত :  ১০:৩০, ০৪ মে ২০২১

মেক্সিকোয় মেট্রোরেল ভেঙে পড়ে নিহত ১৫, আহত ৭০

জনমত ডেস্ক: মেক্সিকো সিটিতে মেট্রো ট্রেনের গাড়ি বহনকারী একটি ওভারপাসের একটা অংশ রাস্তায় ধসে পড়ে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতের এ দুর্ঘটনায় আরও ৭০ জন আহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।

স্থানীয় চ্যানেল মিলেনিও টিভিতে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মেট্রোর ১২টি লাইনের ওভারপাসের অংশটি উপর থেকে ভেঙে নীচে রাস্তায় পড়ে যাচ্ছে। টেলিভিশন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়ানো ওই ভিডিওতে, জরুরী চিকিৎসা কর্মী এবং দমকল বাহিনীকে একত্রে মিলে উদ্ধার কাজে অংশ নিতে দেখা যায়।

মেক্সিকো সিটির মেয়র ক্লডিয়া শাইনবাউম বলেছেন, ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং একটি গাড়ি ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকা পড়েছে। মেয়র তার টুইটারে আরও বলেন, \"দুর্ভাগ্যক্রমে সেখানে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এবং আমি কমান্ড সেন্টার স্থাপনে কাজ করছি।\"

এর আগে নগরীর বিস্তৃত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা প্রাথমিকভাবে ১৩ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়েছে বলেই জানিয়েছিল। মেক্সিকো সিটির এই মেট্রোরেলের ১২ লাইন নির্মিত হয়েছিল যখন দেশটির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো ইবারার্ড মেক্সিকো সিটির মেয়র ছিলেন।

টুইটারে ইবারার্ড বলেন, \"আজ মেট্রোর সাথে যা ঘটল তা অবশ্যই একটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডি। আমি ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি।\"

ঘটনার দ্রুত তদন্তের কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, \"অবশ্যই ঘটনার কারণ তদন্ত করা উচিত এবং এ বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমি পুন:রায় বলি যে, যা যা প্রয়োজন তা করতে সহায়তা করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আছি।\"

img

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৪১

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৩ মে ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা এবং আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ১৭ জন। 

সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থার এক কর্মকর্তা।

কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা ভারী বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাঁট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ প্লাবিত হয়েছে।

পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ইলহাম ওয়াহাব এএফপিকে বলেন, গত রাত পর্যন্ত আমরা ৩৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তবে আজ সকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, এখনও ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে। নিখোঁজদের মধ্যে আগাম জেলায় তিনজন এবং তানাহ দাতারে ১৪ জন। বন্যার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এই দুই এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের বসবাস।

এখন পর্যন্ত কতজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি ইলহাম ওয়াহাব। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অনুসন্ধান, উদ্ধার, সরিয়ে নেওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং তল্লাশি অভিযানের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

বন্যার কারণে রাস্তাঘাট যেন নদীতে পরিণত হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় মসজিদ এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা লাহার নামেও পরিচিত। আগ্নেয়গিরির প্রধান উপাদান যেমন ছাই, বালি এবং নুড়ি পাথর বৃষ্টির কারণে আগ্নেয়গিরির ঢালে নেমে আসে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রাস্তাঘাট ভেসে গেছে।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা বেড়ে যায়। কিছু এলাকায় বন উজাড়ের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দীর্ঘ সময় মুষলধারে বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

২০২২ সালে সুমাত্রা দ্বীপে বন্যায় প্রায় ২৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সে সময় দুই শিশুর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।