লন্ডন মেয়রের স্বপ্ন পূরণ

img

স্থগিত হওয়া আইপিএল হবে ইংল্যান্ডে

প্রকাশিত :  ১৭:৩৮, ০৬ মে ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:১৬, ০৬ মে ২০২১

স্থগিত হওয়া আইপিএল হবে ইংল্যান্ডে

স্পোর্টস ডেস্ক: সাদিক খান নিশ্চয় ভাবতেও পারেননি এত দ্রুত তাঁর স্বপ্ন পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা জাগবে! ক্রীড়াপ্রেমী এই মেয়র লন্ডন শহরে আইপিএল আয়োজনের আশা জানিয়েছেন কয়েক দিন আগেই। বলেছেন, শহস্বপ্ন পূরণ ভাবমূর্তি ও পর্যটনশিল্পের প্রসারের জন্য হলেও ক্রিকেট দুনিয়ার সবচেয়ে লোভনীয় টুর্নামেন্টের কিছু ম্যাচ লন্ডনে আয়োজন করতে চান। তাঁর সে আশা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে। স্থগিত হওয়া আইপিএলের ম্যাচ আয়োজনের ইচ্ছা জানিয়েছে ইংলিশ কাউন্টির বেশ কিছু দল।

ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলের বাকি ম্যাচ আয়োজনের জন্য এমসিসি, সারে, ওয়ারউইকশায়ার ও ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষ থেকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে তাদের নিজ নিজ মাঠে খেলা আয়োজনের প্রস্তাব জানানোর জন্যই বোর্ডের কাছে লিখেছে তারা। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে দুই সপ্তাহের মধ্যে টুর্নামেন্ট শেষ করার একটি প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

এমসিসি ও সারে নিজেদের মাঠে ম্যাচ আয়োজন করলেই সাদিক খানের স্বপ্ন পূরণ হবে। লর্ডস ও কিয়া ওভাল লন্ডনেই অবস্থিত। ওদিকে ওয়ারউইকশায়ার ও ল্যাঙ্কাশায়ারের মাঠও কম বিখ্যাত নয়। এজবাস্টন (বার্মিংহাম) ও ওল্ড ট্রাফোর্ডে (ম্যানচেস্টার) আইপিএলের ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাবও কম লোভনীয় নয়। আজ আইসিসির প্রধান নির্বাহীদের আলোচনায় এ নিয়ে কথা বলার সম্ভাবনা আছে।

এ ব্যাপারে ইসিবি বেশ কিছু যুক্তি দাঁড় করিয়েছে। আইপিএল আয়োজন করে বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপের আগে ছন্দে রাখার প্রস্তাব দিচ্ছে তারা। এ ছাড়া করোনার কারণে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব না হলে সংযুক্ত আরব আমিরাতেই হবে সেটা। সে ক্ষেত্রে আইপিএল আয়োজন করলে আমিরাতের তিন ভেন্যুর উইকেট আর তাজা থাকবে না, সে যুক্তিও দেখানো হবে।

ঘরের মাঠে আইপিএল খেলতে পারবেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের জনি বেয়ারস্টো, জশ বাটলার ও বেন স্টোকস?

ঘরের মাঠে আইপিএল খেলতে পারবেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের জনি বেয়ারস্টো, জশ বাটলার ও বেন স্টোকস?ছবি: টুইটার

গত মঙ্গলবার আইপিএল স্থগিত হওয়ার পরই আরব আমিরাতে আইপিএল নেওয়ার প্রস্তাব শোনা গিয়েছিল। তখনো ইংল্যান্ডে আইপিএল হওয়ার ব্যাপারে কিছু শোনা যায়নি। কাউন্টি দলগুলো আশা করছে, গ্যালারিতে দর্শক রেখেই আইপিএল আয়োজন করতে পারবে তারা। তবে এত কম সময়ে আইপিএলের এত ম্যাচ আয়োজন করতে হলে একই দিনে দুই বা তিনটি ম্যাচ আয়োজন করতে হবে। গ্রুপ পর্বের পর প্লে-অফের আগে কোনো ফাঁকা সূচিও রাখা যাবে না।

কাউন্টি দলগুলোর প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পথে কিছু বাধা অবশ্য আছে। একে তো মহামারির গতিপ্রকৃতি আগ থেকে কল্পনা করা কঠিন। আর বিশ্বকাপ ভারত থেকে সরানো হবে, এমন সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। আবার যুক্তরাজ্যে কোয়ারেন্টিন আইন মেনে সারা বিশ্ব থেকে খেলোয়াড় টেনে আনাও কঠিন। আর ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যে টেস্ট সিরিজ শেষ হবে ১৪ সেপ্টেম্বর। এরপর বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা ইংল্যান্ডের। বিশ্বের আরও অনেক দলই এ সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। তবু কাউন্টি দলগুলোর আশা সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক ব্যস্ততা কম থাকায় এ সময়েই আইপিএল আয়োজন সম্ভব।

img

যে কারণে বাদ সাইফউদ্দিন

প্রকাশিত :  ১০:৪৯, ১৪ মে ২০২৪

অনেক অপেক্ষার পর অবশেষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। এই দলে রয়েছে বেশ কয়েকটা চমকও। ইনজুরিতে থাকা তাসকিন আহমেদকে আইসিসির এই মেগা আসরে টাইগারদের সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে দলে জায়গা মেলেনি পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় উৎরে গেছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।

৩৬ মিনিটের সংবাদ সম্মলেনে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে সাইফুদ্দিনের বাদ পড়া আর তানজীমের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে। প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাকি দুই নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক ও হান্নান সরকার। 

এক প্রশ্নের উত্তর লিপু বলেন, ‘এখানে সবাই খুব ক্লোজ লড়াই করেছে। যে দলটা দিয়েছিলাম ৩০ তারিখে সেটা এক প্রেক্ষাপটে দিয়েছিলাম। সেখানে দুটো চিন্তা ছিল যে বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়েই দল করা। আর একটা চিন্তা ছিল ইনজুরি থেকে ফেরা ক্রিকেটাররা যেমন সাইফউদ্দিন কেমন করে তা দেখা। তো আমাদের যে আস্থার জায়গাটা। সেখানে সাইফউদ্দিনের চেয়ে তানজিম একটু এগিয়ে ছিল। এজন্য ওকে আমরা দলে রেখেছি।’

সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ে সিরিজে সাইফুদ্দিন খেলেছেন ৪ ম্যাচ। চট্টগ্রামে প্রথম তিনটি আর ঢাকায় শেষ ম্যাচটি। চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচে ছিলেন দুর্দান্ত, ১৫ রানে নেন ৩ উইকেট। এরপরের তিন ম্যাচে সাইফুদ্দিনের পারফরম্যান্স যথাক্রমে ১ উইকেটে ৩৭, ৩ উইকেটে ৪২ ও ১ উইকেটে ৫৫ রান।

শেষ ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হাত খুলে রান দেয়াটাই কাল হয়েছে সাইফুদ্দিনের। এই ম্যাচটি বাংলাদেশ হারে শেষ পর্যন্ত। অন্যদিকে তানজীম হাসান সাকিব দুই ম্যাচ খেলেন। চট্টগ্রামে ১ ম্যাচে ২৬ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট, ঢাকায় চতুর্থ ম্যাচে ৪২ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। 

৪ ম্যাচে সাইফুদ্দিন ৮ উইকেট নিয়েও কেন বাদ? অন্যদিকে মাত্র ১ উইকেট নেওয়া তানজীমে কেন নির্বাচকদের আস্থা? সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক, ‘সাকিবকে (তানজীম) শ্রীলঙ্কা সিরিজেও আমরা দেখেছি। তার একাগ্রতা, মাঠে দেয়ার চেষ্টা সেটা সাইফুদ্দিনের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রেখেছে।’

‘আমরা যে কারণে সাইফউদ্দিনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম যে ডেথ ওভারে ইয়র্কার করা, সেটা ঘরোয়া ক্রিকেটে যেমন ছিল তার চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটু ব্যতিক্রম মনে হয়েছে। তাই আমরা একটু ভিন্ন চিন্তা করেছি। ৩০ তারিখে যে দলটা দিয়েছিলাম সেখান থেকে একমাত্র এ জায়গাটাতেই পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের আসলে সাইফউদ্দিন ও সাকিবের সঙ্গেই লড়াই চলছিল’-আরও যোগ করেন প্রধান নির্বাচক। 

বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে নির্বাচকদের নজরে আসেন ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করা সাইফুদ্দিন। ৯ ম্যাচে ১৫ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেন ৬৩ রান। ফরচুন বরিশালের চ্যাম্পিয়নে রাখেন বড় ভূমিকা। তবে সেই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেননি জিম্বাবুয়ে সিরিজে। তাই তো দলে থেকেও শেষ পর্যন্ত নাই হয়ে গেলেন।