img

টেমস নদীতে পড়ে মারা যাওয়া কিশোরটি ছিলো ব্রিটিশ বাংলাদেশী

প্রকাশিত :  ১২:২৭, ০৭ মে ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:০৮, ০৭ মে ২০২১

টেমস নদীতে পড়ে মারা যাওয়া কিশোরটি  ছিলো ব্রিটিশ বাংলাদেশী

জনমত ডেস্ক: গত ২০ শে এপ্রিল সকালে স্কুলে যাবার পথে টাওয়ার ব্রিজ থেকে থেমস নদীদে পড়েছিল ১৩ বছর বয়সী  কিশোর। সেই কিশোরকে বাঁচাতে এক তরুনী ঝাপিয়ে পড়ে ফিরে আসে শুধু জ্যাকেট ও ব্যাগ হাতে। ৯ দিন পর ২৮ এপ্রিল ছেলেটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আজ সেই ছেলেটির নাম পরিচয় প্রকাশ হয়েছে, সে একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশী  নাম            জাহিদ আলী।

জাহিদ আলীর টেমসে পড়ার রহস্য এখনো উদঘাটন হয়নি। ময়না তদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে শোকাহত জাহিদ আলীর পরিবার। বৃহস্পতিবার তার পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদে দুটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

গত ২৮ শে এপ্রিল রদারহাইট ট্যানেলের কাছ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্কুলে যাওয়ার সময় সে টাওয়ার ব্রিজ থেকে টেমস নদীতে পড়ে গিয়েছিল। জাহিদ আলী সাউথ লন্ডনের আর্ক গ্লোব একাডেমীর ইয়ার-এইটের ছাত্র। সিটি অব লন্ডন পুলিশ জানিয়েছে, গত ২০ শে এপ্রিল সকালে জাহিদ টেমস নদীতে পড়েছে বলে স্কুলের হেড টিচার পুলিশকে জানান। এরপর থেকে পুলিশ নদীতে তল্লাশি শুরু করে।স্কুল থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার দিন সকালে এক বন্ধুর সঙ্গে বাসে করে স্কুলে আসছিল। জাহিদের স্কুল এলিফ্যান্ট এন্ড ক্যাসলে। কিন্তু স্কুলের নিয়মিত স্টপের এক স্টপ আগেই বাস থেকে নেমে যায় জাহিদ। এরপর সে থেমস নদীতে পড়ে যায় বলে স্কুলের পক্ষ থেকে এক চিঠিতে জাহিদের পরিবারকে অবহিত করা হয়। এরপর ২৮ শে এপ্রিল রদারহাইট ট্যানেলের কাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

খুব শীর্ঘই সাউথওয়ার্ক করোনারে জাহিদ আলীর ময়না তদন্ত সম্পন্ন হবে। ঠিক কি কারনে জাহিদের এমন মৃত্যু হলো, নাকি সে নিজেই এমন রাস্তা  বেছে নিয়েছে এমন তথ্য আসতে হয়তো সময় লাগবে।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৯, ১৩ মে ২০২৪

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার সব চেষ্টার মধ্যেও গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। এর আগের মাসে অর্থাৎ, মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে, গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ দিকে গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ


কমিউনিটি এর আরও খবর