টেমস নদীতে পড়ে মারা যাওয়া কিশোরটি ছিলো ব্রিটিশ বাংলাদেশী
জনমত ডেস্ক: গত ২০ শে এপ্রিল সকালে স্কুলে যাবার পথে টাওয়ার ব্রিজ থেকে থেমস নদীদে পড়েছিল ১৩ বছর বয়সী কিশোর। সেই কিশোরকে বাঁচাতে এক তরুনী ঝাপিয়ে পড়ে ফিরে আসে শুধু জ্যাকেট ও ব্যাগ হাতে। ৯ দিন পর ২৮ এপ্রিল ছেলেটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আজ সেই ছেলেটির নাম পরিচয় প্রকাশ হয়েছে, সে একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশী নাম জাহিদ আলী।
জাহিদ আলীর টেমসে পড়ার রহস্য এখনো উদঘাটন হয়নি। ময়না তদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে শোকাহত জাহিদ আলীর পরিবার। বৃহস্পতিবার তার পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদে দুটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ২৮ শে এপ্রিল রদারহাইট ট্যানেলের কাছ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্কুলে যাওয়ার সময় সে টাওয়ার ব্রিজ থেকে টেমস নদীতে পড়ে গিয়েছিল। জাহিদ আলী সাউথ লন্ডনের আর্ক গ্লোব একাডেমীর ইয়ার-এইটের ছাত্র। সিটি অব লন্ডন পুলিশ জানিয়েছে, গত ২০ শে এপ্রিল সকালে জাহিদ টেমস নদীতে পড়েছে বলে স্কুলের হেড টিচার পুলিশকে জানান। এরপর থেকে পুলিশ নদীতে তল্লাশি শুরু করে।স্কুল থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার দিন সকালে এক বন্ধুর সঙ্গে বাসে করে স্কুলে আসছিল। জাহিদের স্কুল এলিফ্যান্ট এন্ড ক্যাসলে। কিন্তু স্কুলের নিয়মিত স্টপের এক স্টপ আগেই বাস থেকে নেমে যায় জাহিদ। এরপর সে থেমস নদীতে পড়ে যায় বলে স্কুলের পক্ষ থেকে এক চিঠিতে জাহিদের পরিবারকে অবহিত করা হয়। এরপর ২৮ শে এপ্রিল রদারহাইট ট্যানেলের কাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
খুব শীর্ঘই সাউথওয়ার্ক করোনারে জাহিদ আলীর ময়না তদন্ত সম্পন্ন হবে। ঠিক কি কারনে জাহিদের এমন মৃত্যু হলো, নাকি সে নিজেই এমন রাস্তা বেছে নিয়েছে এমন তথ্য আসতে হয়তো সময় লাগবে।