img

বড়লেখায় বৃদ্ধ হত্যা: প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত :  ০৯:৪৩, ১০ মে ২০২১

বড়লেখায় বৃদ্ধ হত্যা: প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

জনমত ডেস্ক: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বৃদ্ধ আব্দুল হাছিব হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৯ মে) সকালে শাহবাজপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে মামলার প্রধান আসামি আব্দুল জব্বার, তার শ্বশুর নাজিম উদ্দিন এবং শ্বাশুড়ি শেলি বেগম।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তর শাহবাজপুর ইউপির চোয়ারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাছিবের স্ত্রীর কাছ থেকে চাচাতো ভাই জব্বার মিয়ার স্ত্রী সম্প্রতি চা-পাতা কর্জ (ধার) নেন। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে আব্দুল হাছিবের মেয়ে চাচির কাছে পাওনা চা-পাতা চাইতে গেলে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এতে সামিল হলে আব্দুল হাছিবের সঙ্গে চাচাতো ভাই জব্বার মিয়ার ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে জব্বার মিয়া কাঠের টুকরো দিয়ে হাছিবের মাথায় আঘাত করেন। এতে হাছিব গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় স্বজনরা হাছিবকে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত আব্দুল হাছিবের বোন হুসনা বেগম বাদী হয়ে বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রতন কুমার হালদার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার (৯ মে) বিকেলে বলেন, ‘আব্দুল হাছিব হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের নির্দেশে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’  

img

সিলেটে মাঠে মিলল পত্রিকার কর্মীর মরদেহ, পাশেই ছিল বাইক

প্রকাশিত :  ১৫:৩৮, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:০৪, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) গভীর রাতে নগরের হাজারীবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) দেবাংশু কুমার দে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তার মৃত্যু রহস্যজনক মনে হচ্ছে। পাশেই তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রাখা ছিল।
নিহত অমিত দাস শিবু গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরের বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।

জানা গেছে, অমিত দাস শিবু রাতে উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। এরপর রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখে থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানান।

এসএমপির উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তার মোবাইল পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।