img

সিলেট ও মৌলভীবাজারে ইষ্টহ্যান্ডস ঘর তৈরি করে দিলো দরিদ্র মানুষদের

প্রকাশিত :  ২০:২৭, ২১ মে ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ২০:৪৫, ২১ মে ২০২১

সিলেট ও মৌলভীবাজারে ইষ্টহ্যান্ডস ঘর তৈরি করে দিলো দরিদ্র মানুষদের

জনমত ডেস্ক: সিলেট শহরের শাহপরানে এবং মৌলভীবাজার জেলার উওর বারহাল গ্রামে গৃহহীন ৪টি পরিবারকে ঘর তৈরি করে দিলো ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা ইষ্টহ্যান্ডস। 

২ রুম বিশিষ্ট প্রতিটি ঘরের দৈর্ঘ্য ২৪ ফুট, এবং প্রতিটি ঘরের সাথে ৬ ফুট প্রস্থ, ২৪ ফুট দৈর্ঘ্য বারান্দা রয়েছে। এছাড়া মাটির নিচে ৩ ফুট গাঁথুনী দিয়ে, ষ্টিলের ফ্রেম দিয়ে  টিনের ছাউনি করে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরের সাথে রান্নাঘর ও নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মৌলভীবাজারে এই ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কনকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান চৌধুরী, শাহবন্দর যুব সংস্থার প্রধান পৃষ্টপোষক , চ্যানেল এস টেলিভিশন ডিরেক্টর খালেদ চৌধুরী, ইষ্টহ্যান্ডসের মৌলভীবাজার সমন্বয়ক আব্দুল কাইয়ূম, রাজনীতিবিদ ফুয়াদ জামান, শাহ বন্দর যুব সংস্থার সভাপতি শাহ মোহাম্মদ রাজুল আলী, স্থানীয় ইউপি মেম্বার রাসেল আহমেদ, ইষ্টহ্যান্ডস চেয়ারম্যান নবাব উদ্দিনের ভাই কালাম উদ্দিন, স্থানীয় আনর আলী।

ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গরীব অসহায় মানুষের মাথা গুজার জন্য যে স্থায়ী ব্যবস্থা ইষ্টহ্যান্ডস করে দিয়েছে তা অসাধারণ কাজ। 

ইষ্টহ্যান্ডসের চেয়ারম্যান নবাব উদ্দিন বলেন, আমরা পরীক্ষামূলক ভাবে কিন্তু গরীব ও অসহায় মানুষের জন্য নিরাপদ আবাসন সৃষ্টির লক্ষ্যে এই হাউজিং প্রজেক্ট হাতে নিই। সিলেট ও মৌলভীবাজারে ৪টি পরিবারকে বারান্দাসহ ২ বেডরুম, পাকঘর, নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা আমাদের দাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

উল্লেখ্য, ইষ্টহ্যান্ডস গত রমজান মাসে বাংলাদেশ ও আফ্রিকায় ৬০০ পরিবারকে পুরো পরিবারকে রমজান মাসের খাবার দিয়েছে, ১৭৫টি প্রতিবন্দি পরিবারকে দিয়েছে ঈদ গিফট ও ঈদের জন্য খাদ্য সহায়তা।

ইষ্টহ্যান্ডস তাদের নিরাপদ পানি প্রজেক্ট আফ্রিকার সোমালীল্যান্ডে ওয়াটার প্রিজার্ভেশন ট্যাংক ও বাংলাদেশে গভীর নলকূপ স্থাপন করেছে।

img

বিশ্বনাথের মেয়রের বিরুদ্ধে নারী কাউন্সিলরের শ্লীলতাহানির মামলা

প্রকাশিত :  ১৫:১৪, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:১৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান, দুই কাউন্সিলরসহ আটজনের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। বুধবার বিশ্বনাথ থানায় মামলাটি করেন পৌরসভার এক নারী কাউন্সিলর।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পৌরসভার সাত কাউন্সিলর মেয়র মুহিবুর রহমানের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগে অনাস্থা প্রস্তাব দেন। বিষয়টি নিয়ে মেয়র কাউন্সিলরদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে পৌরসভার দক্ষিণ মিরেরচর এলাকায় মেয়রের নেতৃত্বে কয়েকজন নারী কাউন্সিলরদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন। প্রতিবাদ করলে মেয়র ও তার সহযোগীরা বাদীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় ওই কাউন্সিলর গতকাল বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। বুধবার ভোরে লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। মামলায় মেয়র ছাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর ফজর আলী ও বারাম উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে মেয়র মুহিবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী জানান, নারী কাউন্সিলরের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।