img

মিটিং চলার সময় ঘুমিয়ে পড়া থামাবেন যেভাবে

প্রকাশিত :  ১০:৩৩, ২৪ মে ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩৬, ২৪ মে ২০২১

মিটিং চলার সময় ঘুমিয়ে পড়া থামাবেন যেভাবে

জনমত ডেস্ক: অফিসের মিটিং কারো জন্যই আনন্দদায়ক নয়। মিটিংয়ে নিজের অজান্তেই মাঝে মাঝে চোখের পাতা ভার হয়ে আসে। দেখা যায় এ সময় জরুরি কোন আলোচনা হলে ঘুমের কারণে তাতে মনোযোগ দেয়া যায় না।

তাই এ সমস্যা এড়াতে আসুন বিবিসি বাংলার এক প্রদিবেদন অনুযায়ী চট করে জেনে নেই মিটিংয়ে ঘুমিয়ে না পড়ার কিছু উপায়-

১. মিটিংয়ের সঠিক সময় নির্বাচন- দিনের শুরুতে সকালে যেকোন কাজে মানুষের আগ্রহ, মনোযোগ সবই থাকে ভরপুর। তাই মিটিং সকালে ডাকাই শ্রেয়। আর দুপুরে খাবারের পরপর সময়টাতো একেবারে 'ডেড জোন' বা 'নিষ্প্রাণ সময়'। এসময়ে মানুষ ক্লান্ত থাকে তাই কুক্ষণে কোনো মিটিং না ডাকাই শ্রেয়।

আবার বলা যায় মানুষ আসলে ক্লান্ত হয়ে মিটিংয়ে ঘুমায় না। বরং এক ঘেয়েমি আর বিরক্তি থেকে ঘুমায়।

২. সঠিক স্থান- মিটিংয়ের জন্য স্থানেরও একটি আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। সচরাচর যে জায়গায় মিটিং হয় না হঠাৎ তেমন জায়গায় মিটিং ডাকলে মানুষের মধ্যে একটা সতর্ক ভাব কাজ করে। তাছাড়া, 'স্ট্যান্ডিং মিটিং' বা দাঁড়িয়েই মিটিং সেরে নেবার ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া হয় কখনো-কখনো।

৩. সঠিক প্রস্তুতি- মিটিংয়ে ঘুমিয়ে না পরার জন্য প্রস্তুতিও একটা ব্যাপার বটে। যারা ঘুমিয়ে পরার মতন অবকাশ পেতে পারে তাদেরকে না ডাকাই শ্রেয়। অর্থাৎ মিটিংয়ে যাদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ অতি আবশ্যক শুধু তাদেরকেই ডাকা যুক্তিযুক্ত। দরকার না থাকলে মিটিংয়ে এসে বসে থাকার কোনো মানে হয় না।

সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে, মার্কিন কর্মীরা মনে করেন যে তাদের নেতাদের মধ্যে মাত্র ৩৩ শতাংশ মিটিংয়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আসে।

৪. মিটিংয়ে হালকা একটু নাশতা- মিটিংয়ে হালকা একটু নাশতা দিলে এটি একদিকে কর্মীদের প্রতি কর্তৃপক্ষের মনোযোগ দেয়ার বহিঃপ্রকাশ। অন্যদিকে এতে, ঘুমও কাটানো সহজ হয়।

৫. মিটিংয়ে সম্পৃক্ততা বোধ করা - কোনো আলোচনায় কেউ যদি সত্যিই সম্পৃক্ত হয়ে যায় তার পক্ষে ঘুমিয়ে পড়া মুশকিল। তাই মিটিংয়ে কথা বলার মাধ্যমে সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার দিকটি তুলে ধরা হয়। আর কথা না বলেও অনেক সময় ঘাড় নাড়িয়ে বা হাত নাড়িয়ে ইশারা-ইঙ্গিতেও মিটিংয়ের বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়ে সম্পৃক্ত রাখা যায়। আবার ঘুম তাড়াতে মিটিংয়ের নোট নেয়াও একটা ভালো পন্থা হতে পারে।

৭. হালকা একটু নাড়া-চাড়া- আর কোনো উপায়েই যদি ঘুমকে ঠেকিয়ে রাখা না যায়, তাহলে কোনো উপায়ে অন্তত নিজের হাতগুলোতে ব্যস্ত রাখুন। আর তা করতে না পারলে, অন্তত নিজের গায়ে একটা চিমটি কেটে দিন। তাতেও ঘুম-ঘুম ভাবটা কাটবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

যদি সব উপায় ব্যর্থ হয়

সব রকম চেষ্টা করার পরেও যদি ঘুমকে ঠেকিয়ে রাখা না যায়, যদি ঘুমে আপনি একেবারে নিমজ্জিত হয়ে যেতে থাকেন তাহলে বরং কোন একটা ছুতো ধরে উঠে চলে যান। মিটিংয়ে মনোযোগে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে নিঃশব্দে চুপচাপ বেরিয়ে গেলে ঘুম থেকে হয়তো মুক্তি মিলতে পারে।

img

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১২:৩২, ১৩ মে ২০২৪

ঝড়-বৃষ্টির কাল গ্রীষ্মে বৃষ্টি হবেই। এতে প্রশান্তির পরশ যেমন রয়েছে, তেমনই মুখোমুখি হতে হয় নানা অসুবিধারও। তাই বলে তো নিজের অফিস আর বাসার কাজ থেমে থাকে না। তবে বাসা থেকে কোথাও যাওয়ার লক্ষ্যে বের হওয়ার পর বৃষ্টি শুরু হলে তা মহাবিপদের। না হয় সঠিক সময়ে কাজে পৌঁছানো, না থাকে নিজের পোশাক ঠিক। আবার বৃষ্টির মধ্যেই যত দুর্ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুরক্ষা রাখা জরুরি।

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকার উপায়সমূহ-

১. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে নিরাপদ কোনো জায়গায় থাকা প্রয়োজন। রাস্তায় কিংবা খোলা কোনো জায়গায় কখনোই থাকা যাবে না। প্রয়োজনে নিকটবর্তী কোনো নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিন।

২. বৃষ্টি বা ঝড় হলে তখন গাড়ি চালানো একদমই উচিত নয়। এ সময় রাস্তার পাশে নিরাপদ জায়গা দেখে গাড়ি থামিয়ে সেখানে আশ্রয় নিন। আর অবশ্যই গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখুন।

 ৩. রাস্তায় যদি বৃষ্টির সময় কোনো খোলা তার বা রাস্তায় তার পড়ে থাকতে দেখেন তাহলে তার আশপাশে যাবেন না। সেই তার যদি পানির স্পর্শে থাকে তাহলে সেই পানি থেকেও সাবধান। সম্ভব হলে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দিন। আর এ সময় যদি রাস্তা পারাপার হতে হয় তাহলে অবশ্যই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করবেন।

৪. বাড়ির ছোট সন্তানদের ভেতরে রাখুন। তাদের কোনোভাবেই বাইরে যেতে দিবেন না।

৫. বৃষ্টির সময় কোনো গাছের নিচে দাঁড়ানো উচিত নয়। এ সময় গাছের ডাল ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৬. বাসায় বা বাড়ি থাকলে টর্চ লাইট, হারিকেন বা আলোর বিকল্প উপায় রাখুন। বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৭. গ্রীষ্ম বা বর্ষার সময় মোবাইল ফোনে সব সময় যথেষ্ট চার্জ রাখুন। যাতে করে যেকোনো প্রয়োজনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

৮. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। কেননা, মোবাইল ফোন থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকে।