img

দেশে চীনা টিকার প্রয়োগ শুরু

প্রকাশিত :  ১০:১৫, ২৫ মে ২০২১

দেশে চীনা টিকার প্রয়োগ শুরু

জনমত ডেস্ক: দেশে চীনে তৈরি সিনোফার্মের টিকার প্রয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী অনন্যা সালাম সমতা প্রথম এই ভ্যাকসিন নেন। ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। উদ্বোধনের পর শাহীন আহমেদ ও নিয়ামুল হক নামে আরও দুই জনকে টিকা দেওয়া হয়। এদিন আরও ২৫৭ জন শিক্ষার্থীকে এই টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ।

চীনের এই ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে  চীন সরকারের উপহার হিসেবে আসা সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হলো। মেডিক্যাল শিক্ষার্থী, নার্সিং শিক্ষার্থী এবং মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট শিক্ষার্থীদের এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ছাড়াও আরও  তিনটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের এক হাজার শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক পর্যায়ে এই টিকা দেওয়া হবে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ ও সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজে আজ  এই টিকা দেওয়া হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘চীন সরকারের দেওয়া করোনার পাঁচ লাখ টিকা পেয়েছি, যা আড়াই লাখ মানুষকে দেওয়া হবে। জুন থেকে আমরা আরও বেশি মানুষকে টিকা দিতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের দেশে টিকা তৈরি করার জন্য। সেজন্য আমরা রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, তারা যেন আমাদের দেশে প্রযুক্তি এনে টিকা উৎপাদন করতে পারে। চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে টিকা সংক্রান্ত যে কর্মযজ্ঞ আছে, তা প্রায় শেষের দিকে।’

ঢাকা মেডিক্যালে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সিনোফার্ম উদ্ভাবিত টিকা বিবিআইবিপি-করভির ডোজ নেন শিক্ষার্থী সমতা। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ২০১৬-১৭ সেশনের ছাত্রী। প্রথম টিকা নেওয়ার বিষয়ে সমতা বলেন, ‘দেশের হয়ে চীনের টিকা প্রথম নিচ্ছি আমি। এটা অবশ্যই আনন্দের বিষয়। এ ছাড়া করোনা প্রতিরোধে সবাইকে বিনামূল্যে টিকার ব্যবস্থা করেছে সরকার। সেই টিকা সবাইকে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই, মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। আমি সুস্থ আছি। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বাড়িতে চলে যাবো।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও  উপস্থিত ছিলেন— স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক টিটো মিয়া, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-স্বাচিপ’র মহাসচিব এম এ আজিজ, ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক প্রমুখ।

img

বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সুরক্ষায় যা করবেন

প্রকাশিত :  ১১:৫২, ১৩ মে ২০২৪

কালবৈশাখীর সময় হঠাৎ ঝড়, বজ্রপাত আর বৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক। এসময় বজ্রপাতে টিভি, ফ্রিজ, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নষ্ট হওয়ার অনেক খবর পাওয়া যায়। তাই এই সময়ে আপনার ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে সতর্ক থাকুন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক বজ্রপাত বা বৃষ্টির সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কীভাবে সুরক্ষায় রাখবেন।

ঝড়বৃষ্টি বা বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সুরক্ষার উপায়সমূহ—

* আপনার বাড়ির সব ধরনের বৈদ্যুতিক সংযোগের সঙ্গে আর্থিং ব্যবস্থা করুন। সম্ভব হলে বজ্রপাতের সময় মেইন লাইনের সঙ্গে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখুন।

* ফ্রিজ বা এসির সঙ্গে সরাসরি বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকলে বজ্রপাতের সময় তা খুলে রাখাই নিরাপদ। এমনকি এ সময় এসি চালানো থেকেও বিরত থাকুন।

* বজ্রপাতের সময় ফোন ব্যবহার বিপজ্জনক নয়। তবে তা ঘরের মধ্যে। ছাদে বা রাস্তায় খোলা জায়গায় থাকলে ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। বজ্রপাতের সময় ফোন ব্যবহার করলে আপনি বজ্রপাতের শিকার হতে পারেন।

* বজ্রপাতের সময় বা বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর টিভি বন্ধ রাখুন। এই সময় ডিশ বা ইন্টারনেটের সংযোগ খুলে রাখতে পারেন।

* ঝড়বৃষ্টির সময় রাউটার বন্ধ রাখুন। এতে অনেক দিন পর্যন্ত রাউটার ভালো থাকবে। এমনকি এর সঙ্গে সরাসরি কোনো ডিভাইস সংযুক্ত থাকলে সেটিও রক্ষা পাবে।

* বজ্রপাতের সময় ল্যাপটপ, স্মার্টফোন কিংবা যে কোনো ডিভাইস চার্জ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। চার্জারের সঙ্গে লাগানো থাকলে তা খুলে দিন।

* বাড়ির ডেস্কটপ বা কম্পিউটারের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে তা বন্ধ করে দিন। এমনকি এ সময় ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ চালানো থেকেও বিরত থাকুন। যদিও রাউটারের সঙ্গে ওয়াইফাই সংযোগে থাকা মোবাইল বা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তাদের বজ্রাঘাতে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বাড়ির বিদ্যুতের সঙ্গে ল্যাপটপ বা রাউটারের সংযোগ থাকলে তা বিছিন্ন করে দিন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাতের সময় ঘরের ভেতরে থাকলে স্মার্টফোন ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এই সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখাই ভালো। তবে যদি মারাত্মক আকারে বজ্রপাত হয় সে ক্ষেত্রে ফোনটি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারেন। না হলে স্মার্টফোনটির তো বটেই, যিনি সেটি ব্যবহার করছেন, তারও বিপদ হতে পারে।