img

ভারত টিকা আটকানোয় ভারতীয় ধরনের ঝুঁকিতে ৯১ দেশ: ডব্লিউএইচও

প্রকাশিত :  ২০:১১, ৩১ মে ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ২০:১৫, ৩১ মে ২০২১

ভারত টিকা আটকানোয় ভারতীয় ধরনের ঝুঁকিতে ৯১ দেশ: ডব্লিউএইচও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত সরকার করোনার টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বিশ্বের ৯১টি দেশের ওপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশসহ এসব দেশে টিকার মজুত তলানিতে যাওয়ায় করোনার ভারতীয় ধরনসহ নতুন নতুন ধরনে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।  

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথান ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই অভিমত দিয়েছেন। সোমবার এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।

সাক্ষাৎকারে সৌম্য স্বামীনাথান বলেন, ‘শুধু ভারতীয় ধরন নয়, বিশ্বের অনেক দেশে করোনার অনেকগুলো ধরন শনাক্ত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা দেখেছি, এসব ধরন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এমনকি প্রথম শনাক্ত হওয়ার আগেই এসব ধরন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে। একই চিত্র দেখা গেছে যুক্তরাজ্য থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনার ধরনের ক্ষেত্রেও।’

করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর উপায় টিকা। অথচ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কিংবা তৃতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকির মুখেও অনেক দেশ প্রয়োজনীয় টিকা পাচ্ছে না। এ বিষয়ে ডব্লিউএইচওর প্রধান বিজ্ঞানীর ভাষ্য, টিকা রপ্তানির জন্য গত বছর অনেকগুলো আইনি চুক্তি করেছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা বিলিয়ন ডোজ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে সরবরাহের কথা ছিল। ২০২০ সালেই জাতিসংঘের উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় এসব দেশে ৪০ কোটি ডোজ করোনার টিকা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর গত মার্চে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার করোনার টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। আগে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করতে হবে, তার পরে টিকা রপ্তানি করা যাবে—সেরামের প্রতি এমনটাই নির্দেশনা নরেন্দ্র মোদি সরকারের।

সৌম্য স্বামীনাথান বলেন, ভারত থেকে করোনার টিকা রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে পড়েছে আফ্রিকার দেশগুলো। এ মহাদেশের অনেক দেশ মোট জনসংখ্যার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশের কম মানুষকে করোনার টিকা দিতে পেরেছে।

এমনকি অনেক দেশ স্বাস্থ্যসেবা খাতে কর্মরত সম্মুখসারির যোদ্ধাদের জন্যও টিকার জোগান নিশ্চিত করতে পারেনি।

টিকা প্রাপ্তিতে বিদ্যমান বৈষম্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে কিছু দেশ স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে। অপর দিকে অনেক দেশকে করোনার দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ঢেউয়ে ভুগতে থাকবে।

ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করায় সংকট তৈরি হয়েছে বাংলাদেশেও। করোনাভাইরাসের প্রথম ধাক্কা সামাল দেওয়ার সময় গত বছরের নভেম্বরে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড টিকার তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে বেক্সিমকো ফার্মাকে যুক্ত করে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। দুই দফায় সেরাম ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাঠিয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে চুক্তি অনুযায়ী অবশিষ্ট টিকার ডোজ এখনো দেয়নি সেরাম। সেপ্টেম্বরের আগে সেরাম টিকা রপ্তানি করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে চীন, রাশিয়াসহ বিকল্প উৎস থেকে টিকা পাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে চীনা টিকার চালান দেশে এসেছে।

প্রয়োগও শুরু হয়েছে। কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজার–বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত করোনার টিকার ১ লাখ ৬২০ ডোজের প্রথম চালানও দেশে আসছে।

img

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ

প্রকাশিত :  ১৩:২৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে ৬ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ মার্চ মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। এর আগের মাস অর্থাৎ, ফেব্রুয়ারিতে এ তালিকায় দেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম। একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও এক ধাপ পিছিয়ে ১০৭তম থেকে ১০৮-এ নেমে গেছে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে, প্রতিবেশী দেশ ভারত মোবাইল ইন্টারনেটে ১৬তম অবস্থানে রয়েছে। এই ইন্টারনেট সেবায় মিয়ানমার, জিম্বাবুয়ে, ইরাক ও নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলো বাংলাদেশের ওপরে অবস্থান করছে।

সূচক অনুসারে, মার্চে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে ডাউনলোডের গড় গতি পাওয়া গেছে ২৪ দশমিক ৫৯ এমবিপিএস। পাশপাশি আপলোডের স্পিড ছিল ১১ দশমিক ৫৩ এমবিপিএস। এছাড়া ব্রডব্যান্ডে ডাউনলোডের গতি ছিল ৪৪ দশমিক ২৫ এমবিপিএস। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ডাউনলোডের গড় গতি ১০৫.৮৫ এমবিপিএস।

মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ মোবাইল ইন্টারনেট গতি সূচকে শীর্ষে অবস্থান করছে। ৩১৩.৩০ এমবিপিএস গতি নিয়ে কাতার ১ নম্বরে, ২৯৬ এমবিপিএস গতি নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ২ নম্বরে এবং ২২৮.৬৪ এমবিপিএস গতি নিয়ে কুয়েত তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নিজেদের স্পিডটেস্ট অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া লাখ লাখ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স সম্পর্কে ধারণা দেয়।