img

সিলেটে স্ত্রীর পরকীয়ার বলি আইনজীবী

প্রকাশিত :  ১৯:৩৩, ০৩ জুন ২০২১

সিলেটে স্ত্রীর পরকীয়ার বলি আইনজীবী

জনমত ডেস্ক: সিলেটে আনওয়ার হোসেন নামে এক আইনজীবী হত্যা মামলায় তার স্ত্রী শিপা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার গভীর রাতে সিলেট নগরের তালতলা এলাকায় নিহতের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিপা বেগমকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্তু কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াছিন আলী।

অপর এক আবেদনে নিহতের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের অনুমতিও চেয়েছেন তিনি।এ দুটি আবেদনের ওপর আগামী রোববার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রায় এক মাস আগের এই মৃত্যুর ঘটনায় গত মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই, সিলেট সদর উপজেলার শিবেরবাজারের দীঘিরপার গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন।

মামলায় পরকীয়া প্রেমের জেরে আনওয়ার হোসেনকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে নিহতের খালাতো ভাই শাহজাহান চৌধুরী মাহিকে প্রধান আসামি ও নিহতের স্ত্রী শিপা বেগমকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়। এছাড়া মোট ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

এই মামলা দায়েরের পর বুধবার রাতে শিপা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, এডভোকেট আনওয়ার হোসেনের ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। এ মামলায় শিপা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়গুলো মাথায় রেখে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।

স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের কারণেই আনওয়ার হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশেরও।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এএসএম আব্দুল গফুর জানান, নিহত আনোয়ার হোসেনের অগোচরে স্ত্রী শিপা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক চলছিলো শাহজাহান চৌধুরী মাহি নামের একজনের সাথে। এর জেরেই আনওয়ার হোসেনকে হত্যা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আনোয়ার হোসেনের পরিবার জানতে পারেন পরকীয়ার জেরে তাকে স্ত্রীসহ কয়েকজন মিলে হত্যা করেছেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল সেহরি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন আনোয়ার হোসেন। পরদিন বিকেল ৩টার দিকে স্ত্রী শিপ্রা বেগম সবাইকে জানান, আনোয়ার হোসেন ডায়াবেটিকস নীল হয়ে মারা গেছেন। পরে তাকে নিজের গ্রামের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার শিবেরবাজারের দীঘিরপার গ্রামে দাফন করা হয়।

পরবর্তীতে আনোয়ার হোসেনের পরিবার জানতে পারে, পরকীয়ার জেরে আনোয়ার হোসনকে হত্যা করেন স্ত্রীসহ কয়েকজন মিলে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১ জুন) সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করেন আনোয়ার হোসেনের ভাই মনোয়ার হোসেন। পরে আদালতে শুনানি শেষে কোতোয়ালি থানার ওসিকে ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন বিচারক।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াছিন আলী জানান, আনোয়ার হোসেন মারা যাওয়ার মাত্র ১০ দিনের মাথায় শিপা বেগম তার খালাতো ভাই কানাইঘাটের বাসিন্দা (বর্তমানে নগরের উপশহর এলাকায় বসবাসকারী) শাহজাহান চৌধুরী মাহিকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে আনোয়ারের পরিবারের সঙ্গেও শিপা যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এ থেকে তাকে সন্দেহ করছে আনোয়ারের পরিবার।

img

বানিয়াচংয়ে ৩ জন নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

প্রকাশিত :  ১০:২৯, ১৩ মে ২০২৪

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ১৩নং মন্দরি ইউনিয়নের আগুয়া গ্রামে সিএনজি স্ট্যান্ড নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বদরুল আলম ওরফে বদিকে আটক করেছে বানিয়াচং থানা পুলিশ। সে ওই গ্রামের মৃত হিরা মিয়ার পুত্র।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তার শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার নুরপুর গ্রামের একটি পুকুরপাড়ের  তার এক আত্নীয়র বাড়ি থেকে বদিকে আটক করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে,বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন,তদন্ত ওসি আবু হানিফের নেতৃত্ব থানার প্রায় ২৫ জন পুলিশ অভিযানে অংশ নেন। অভিযানে সহায়তা করেন নাসিরনগর থানা পুলিশের একটি দল।

পলাশ রঞ্জন দে বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, গোপন সংবাদ ও তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আমরা নাসিরনগর থানা পুলিশের সহায়তায় আসামী বদরুল আলম ওরফে বদিকে আমরা আটক করি। যেহেতু এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি তাকে ১৫৪ ধারায় আটক দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় মামলা রয়েছে।

তিনি আরো জানান, হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্য অভিযুক্তদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের সনাক্ত করা হবে। তবে ট্রিপল হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার  সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার) পিপিএম। শুক্রবার বিকেলে পরিদর্শনে যান তিনি। ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার ) পিপিএম এসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন এবং দ্রুত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারদের নির্দেশনা প্রদান করেন ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার) পিপিএম। 

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলার ১৩নং মন্দরি ইউনিয়নের আগুয়া বাজারে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হন। নিহতরা হলেন-আগুয়া গ্রামের শুকুর মিয়ার পুত্র আব্দুল কাদির (২৫),বজলু মিয়ার পুত্র সিরাজ মিয়া (৫০) ও আলীরাজ মিয়ার পুত্র লিলু মিয়া (৪০)। এ ঘটনায় আহত হন উভয়পক্ষের প্রায় শতাধিক লোক।

সিলেটের খবর এর আরও খবর