img

মালিবাগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট থেকে শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১৩:২৯, ০৫ জুন ২০২১

মালিবাগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট থেকে শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু

জনমত ডেস্ক: রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরিপাড়ায় বৃষ্টির সময় একটি টিনসেড বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- সাবিনা আক্তার পাখি (১০), ঝুমা (১৪) ও বাড়িটির দারোয়ান আবুল হোসেন (৬৫)।

শনিবার (৫ জুন) বেলা ২টার দিকে মালিবাগ চৌধুরিপাড়া আবুল হোটেলের পিছনে সোনা মিয়ার গলির মাজেদা বেগমের টিনসেড বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

অচেতন অবস্থায় বেলা পৌনে ৩টার দিকে পাখিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর বাকি দুইজনকে মালিবাগ কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয় তাদের।

পাখিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া আলআমিন জানান, বেলা ২টার দিকে বৃষ্টির সময় বাচ্চাটি বাসার সামনে খেলা করছিল। তখন বাসার লোহার গেট থেকে স্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে পাখি। তাকে ছাড়াতে গেলে ঝুমা ও পরে আবুল হোসেনও অচেতন হয়ে পড়ে। তখন পাখিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়া যাওয়া হয়। আর বাকি দুইজনকে কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ গণমাধ্যমকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন জনের মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হাতিরঝিল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. শরিফুল ইসলাম ৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃষ্টির সময় বাসার সামনের বিদ্যুতের খুঁটির উপর বজ্রপাত হয়। এতে তাদের টিনসেড বাসাটি বিদ্যুতায়িত হয়ে শিশুসহ তিনজন অচেতন হয়ে পড়ে। পরে ঢাকা মেডিকেলে পাখিকে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর বাকি দুইজনকে মালিবাগ কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়। সিলেট জেলার জাবেদ আলীর মেয়ে ঝুমা।

img

রাজধানীতে রড দিয়ে পিটিয়ে শিশু গৃহকর্মী খুন, দম্পতির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:১০, ১৪ মে ২০২৪

১৮ বছর আগে রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন এলাকায় রড দিয়ে পিটিয়ে শিল্পী বেগম নামে ১১ বছর বয়সি গৃহকর্মীকে খুনের দায়ে নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাসের কারাভোগের আদেশ দেন।

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরিফুল ইসলাম সাজার বিষয় নিশ্চিত করেন। 

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ভিকটিম শিল্পী বেগম উত্তর কমলাপুর কবি জসিম উদ্দিন রোডে মতিঝিল থানাধীন এলাকায় আসামি নজরুল ইসলামের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত। ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের মা অজ্ঞাত ফোন কলের মাধ্যমে জানতে পারেন, তার মেয়ে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। 

পরে ভিকটিমের মা হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান, তার মেয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি রয়েছে। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, আসামিরা ভিকটিমকে ঘরের দরজা আটকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত করেছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে ভিকটিমকে আঘাত করা হতো বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

ঘটনার তিনদিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিল্পী মারা যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা সিরাজুল ইসলাম মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে মতিঝিল থানার এসআই গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম একই বছরের ৩০ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

পরের বছরের ২৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।