img

রাজধানীতে বজ্রপাতের সময় দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১৪:৫৭, ০৫ জুন ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:০১, ০৫ জুন ২০২১

রাজধানীতে বজ্রপাতের সময় দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু

জনমত ডেস্ক: রাজধানীর মালিবাগে বজ্রপাতের সময় দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাদের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে- এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারেনি। কেউ বলছেন বজ্রপাতে, আবার কেউ বলছেন বজ্রপাতের ফলে ছিঁড়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎস্পর্শে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। 

শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মালিবাগ এলাকার চৌধুরী পাড়ার সোনা মিয়া গলির সাজেদার টিনশেড বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বাড়িটির অবস্থান চৌধুরী পাড়ার আবুল হোটেলের পেছনে।

চৌধুরী পাড়ায় নিহতদের প্রতিবেশিরা জানান, নিহতদের মধ্যে পাখি (৯) ও সোমা (১২) নামের দুই শিশু প্রতিবেশি। নিহত অন্যজন হলেন- আবদুল হক (৬৫)। শিশু পাখির মা কুলসুম বেগম পোশাক কারখানায় কাজ করেন। বাবা মহসিন রিকশাচালক। তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের চর মানিকপুর গ্রামে। ঘটনার সময় তারা কেউই বাসায় ছিলেন না। ঘটনার পর পাখিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সোমা ও আবদুল হককে নেওয়া হয় ওয়্যারলেস গেটে কমিউনিটি ক্লিনিকে। চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাদেরও মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতদের প্রতিবেশি আকাশ আহমেদ জানান, টিনের চালের ওপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে বজ্রপাতের সময়। বাচ্চা দুটি তখন ঘরের বাইরে স্টিলের গেটের সামনে খেলছিল। তখন বাচ্চারা মাটিতে পড়ে গেলে আবদুল হক বাঁচাতে এসেছিলেন। তিনিও তখন মারা গেছেন। ঘটনার পর সোমা ও আবদুল হককে তিনি ওয়্যারলেস গেট কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক জানান তারা মারা গেছেন। 

নিহতদের আরেক প্রতিবেশি হাবিবুর রহমান পাখিকে সিএনজিতে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি বলেন, বাইরে বৃষ্টির পানি জমেছিল। সেখানে দুই বোন খেলছিল। দুপুরে অনেক বেশি বজ্রপাত হচ্ছিল। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে। পাখির শরীরে কোনো দাগ নেই। এ কারণে বলা যাচ্ছে না সে কীভাবে মারা গেছে। ঘটনার পর তিনজনকে স্থানীয় একটি ফার্মেসির সামনে রাখা অবস্থায় তিনি দেখেন। একটি সিএনজিতে করে পাখিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়া হলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। 

হাতিরঝিল থানার ওসি আবদুর রশীদ বলেন, দুপুরে বজ্রপাতের সময় দুই শিশুসহ তিনজন মারা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বজ্রপাতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। 

প্রার্থীর সঙ্গে গোপন বৈঠক

img

৫ প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ছয়জন গ্রেফতার

প্রকাশিত :  ০১:৪৩, ০৭ মে ২০২৪

সিরাজগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগে পাঁচজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ মে) রাত ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের বনবাড়িয়া কাদাই পার্কে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিনের গোপন বৈঠকের ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতার প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা হলেন যমুনা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও রাশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজ ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, এসবি রেলওয়ে কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ওমর আলী কওমি মহিলা মাদরাসা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক ও এসবি রেলওয়ে কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবুসামা, বাহুকা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও বনবাড়িয়া পাইকপাড়া মডেল স্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বাচ্চু কুমার ঘোষ, জনতা ব্যাংক পিএলসি শহরের এসবি ফজলুল হক সড়ক শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা ও হরিণা বাগবাটি স্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ইয়াসিন আরাফাত।

এছাড়া বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও শিয়ালকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর ইসলামকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মীর মাহবুবুর রহমান।

সংবাদ সম্মেনে বলা হয়, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান প্রার্থীর গোপন বৈঠকের ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ২০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়। এ মামলায় পাঁচজন প্রিসাইডিংসহ গোপন বৈঠকের মূলহোতা এক শিক্ষক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ ঘটনা জানার পর জেলা-উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে হাজির হলে প্রিসাইডিং ও চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা ছোটাছুটি শুরু করেন। এরপর পার্কে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে প্রিসাইডিং ও চেয়ারম্যান প্রার্থীকে পাওয়া যায়নি। পরে প্রশাসন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পার্কের ম্যানেজারসহ তিনজনকে থানা হেফাজতে নেন।

এ জিজ্ঞাসাবাদ ও সিসিটিভির ফুটেজের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা পায় প্রশাসন। পরে রাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। এদিকে এ গোপন বৈঠকের দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিনকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আরিফুর রহমান মণ্ডল এবং রিটার্নিং ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম।