পাকিস্তানের ধারাবাহিকে বাংলা লোকগান!

প্রকাশিত :  ১৫:২৪, ০৯ জুন ২০২১

পাকিস্তানের ধারাবাহিকে বাংলা লোকগান!

জনমত ডেস্ক: পাকিস্তানি ধারাবাহিকে বাংলাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী আব্দুল আলিমের গাওয়া এবং আরেক  কিংবদন্তি সঙ্গীতব্যক্তিত্ব আব্দুল লতিফের লেখা বিখ্যাত লোকগীতি ‘পরের জায়গা পরের জমি’ গানটি ব্যবহার করা হয়েছে।

বিশ্বকবি রবি ঠাকুরের ‘আমার পরান যাহা চায়’ এর পর ফের পাকিস্তানি ধারাবাহিকে বাংলা গান জায়গা পাওয়ায় এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এর আগে পাকিস্তানের হিন্দি সিরিয়াল \'দিল কেয়া করে\'তে এক চরিত্র \'আমার পরান যাহা চায়’ গানটি গায়। পাক ধারাবাহিকে বাংলা ভাষার গান ব্যবহারকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছিলেন নেটিজেনরা।

তবে এবার ‘পরের জায়গা পরের জমি’ গানটি ব্যবহারের পর একে বাংলাদেশি দর্শক টানার কৌশল বলে মনে করছেন অনেকে।

সাইফ হাসান পরিচালিত ‘সাঙ্গ এ মর মর’ ধারাবাহিকে  একটি নারী চরিত্র ‘পরের জায়গা পরের জমি’ গানের তালে তালে বৃষ্টিতে নাচ করছে। এক নেটিজেন সেই ভিডিও টুইট করেছেন। সেই টুইটের মন্তব্য বাক্সেই কয়েকজন জানিয়েছেন, বাংলাদেশি দর্শকদের পাক ধারাবাহিকের দিকে নজর টানার জন্যই এই কৌশল।

তবে এই ধারাবাহিকের বয়স কম নয়। সম্প্রতি নেটমাধ্যমের দৌলতে তা সামনে উঠে আসছে। \'সাঙ্গ এ মর মর\' ধারাবাহিকটি ২০১৬ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সম্প্রচারিত হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে ওই ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি দর্শক টানার প্রশ্নই ওঠে না।

 

চুপিসারে বিয়ে সারলেন অভিনেত্রী!

প্রকাশিত :  ০৪:৩৮, ২৮ মার্চ ২০২৪

চুপিসারে বিয়ে সারলেন বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। ঢাকঢোল তো দূরের কথা, ‘ডানকি’ নায়িকা তাপসী পান্নুর বিয়ের খবর যেন জানল না কাকপক্ষীও। দুই দিন আগেই নাকি এক দশকের পুরোনো প্রেমিক ম্যাথিয়াস বোয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন নায়িকা। শোনা যাচ্ছে, ‘রং দে বসন্তী’ অভিনেতা সিদ্ধার্থের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছেন অদিতি রাও হায়দরি। 

তেলেঙ্গনার রঙ্গনয়কস্বামী মন্দিরেই বিয়ে সেরেছেন যুগল। তবে তাদের যে পুরোহিত বিয়ে দিয়েছেন তাকে নিয়ে আসা হয় তামিলনাড়ু থেকে। যদিও অদিতি বা সিদ্ধার্থ, কেউই বিয়ে নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি। 

সিদ্ধার্থ ও অদিতি, দু’জনেরই এটা দ্বিতীয় বিয়ে। ২০০৩ সালে ছোটবেলার বান্ধবী মেঘনাকে বিয়ে করেছিলেন সিদ্ধার্থ। দীর্ঘস্থায়ী হয়নি সেই বিয়ে। তিন বছরের মধ্যেই ভাঙে বিয়ে। ২০০৭ সালে আইনত বিবাহবিচ্ছেদ হয় সিদ্ধার্থের। অদিতির গল্পটাও খানিক এক রকমের। মাত্র ২১ বছরেই উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা সত্যদীপ মিশ্রের সঙ্গে বিয়ে হয় অদিতির। তবে চার বছর পর সংসার ভাঙে নায়িকার। ২০১৩ সালে আলাদা হন দু’জনে। তার প্রায় ১১ বছর পর ফের বিয়ের পিঁড়িতে অদিতি।

২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দক্ষিণী সিনেমা ‘মহা সমুদ্রম’-এর সেটে আলাপ অদিতি ও সিদ্ধার্থের। সিনেমার সেট থেকেই তাদের বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। সোশ্যাল সাইটে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করলেও নিজেদের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি দু’জনের কেউই।  

অদিতির জন্মদিনে অভিনেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন সিদ্ধার্থ। সেই পোস্টে অদিতিকে ‘প্রিন্সেস অফ হার্ট’ বলেও সম্বোধন করেন তিনি। মায়ানগরীতে ডেটেও যেতে দেখা গিয়েছে চর্চিত যুগলকে। রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে আলোকচিত্রীদের ক্যামেরায় বহু বার ধরা পড়েন অদিতি ও সিদ্ধার্থ। জনসমক্ষে প্রেমের ইস্তেহার না দিলেও ক্যামেরা দেখে লুকিয়ে পড়েননি কখনওই। তবে বিয়েটা হঠাৎ এমন চুপিসারে সারলেন কেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।