ইনস্ট্যান্ট ত্বক ফর্সা করতে কফি কার্যকারিতা

প্রকাশিত :  ১৪:৪৭, ১১ জুন ২০২১

ইনস্ট্যান্ট ত্বক ফর্সা করতে কফি কার্যকারিতা

জনমত ডেস্ক : কফিতে বিদ্যমান ক্যাফেইন টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি কমায়; ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়; মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে; খেলাধুলায় মনোযোগী করে তোলার পাশাপাশি আরো নানা ধরনের উপকার করে থাকে। শুধু পানীয় হিসেবেই নয় কফির আরো ব্যাবহার রয়েছে। যেমন ত্বকের জন্যই এর নানবিধ ব্যাবহার লক্ষণীয়।

ত্বককে ইনস্ট্যান্ট ফর্সা করতে কফি অনেক কার্যকরী; যে কোন ধরনেই কফি দিয়েই তা এই কাজ টি করা সম্ভব। ঞপ্রধানত দুই পদ্ধতিতে কফি কে চেহারায় ব্যাবহার করা যেতে পারে।

পদ্ধতি ১: এক চামচ কফি পাউডারের সাথে হাফ চামচ পানি (পানির পরিবর্তে তরল দুধ ব্যাবহার করা যেতে পারে) দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। মিশ্রণটি অন্তত পাঁচ মিনিট মুখে ম্যাসাজ করতে হবে। তারপর কুশুম গরম পানি দিয়ে মুখটিকে ধুয়ে নিতে হবে।

পদ্ধতি ২: এ পদ্ধতিটি যাদের মুখের ত্বক অনেক বেশি রুক্ষ তাদের জন্য অনেক বেশি কার্যকর।

এক চামচ কফি পাউডার, এক চামচ দানাদার চিনি, হাফ চামচ তরল দুধ এবং এক স্লাইস লেবুর রস দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নীটে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মিশ্রণটি জেনো খুব বেশী পাতলা হয়ে না যায়; যদি খুব বেশী পাতলা হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই অল্প করে কফি পাউডার যোগ করতে হবে। মিশ্রণটি স্ক্রাবের মত মুখে কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত মিনিট ম্যাসাজ করতে হবে।

তবে অবশ্যই ভালো ফলাফলের জন্য স্ক্রাব গুলো সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন বার ব্যাবহার করতে হবে। আর অবশ্যই ত্বকের যত্নে স্ক্রাবের মত কাজ গুলো রাতেই কোড়া ভালো, অতঃপর মুখের উপযুক্ত কোন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।


ইনহেলার ব্যবহারে কি রোজা ভাঙ্গে?

প্রকাশিত :  ০৯:৩৯, ২৮ মার্চ ২০২৪

ইজমায়ে উম্মাহ তথা বিশ্বের অনেক মুসলিম স্কলার একটি বিষয়ে এক সভায় একমত হয়েছেন যে, যদি দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের অবস্থা যেমন-অ্যাজমা ও সিওপিডি সমস্যা থাকে এবং সে যখন রোজা রাখে তখন ইনহেলার আকারে নেওয়া অ্যাজমা ও সিওপিডি ওষুধগুলো রোজা ভঙ্গ করে না। 

বিষয়টি মেডিক্যাল জার্নালেও প্রকাশ হয়েছে। যদি কেউ তার রোজার অংশ হিসাবে সঠিকভাবে ওষুধ গ্রহণ না করাকে বেছে নেন, তবে তার অ্যাজমা ও সিওপিডি লক্ষণগুলো আরও খারাপ হতে পারে।

ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভেঙে যায়-রোগীদের এ দ্বিধা মোকাবিলায় সহায়তা করা গুরুত্বপূর্ণ। একটি পদ্ধতি হলো রোগীদের তাদের ইনহেলার ব্যবহারের সময় নিয়ে সাহায্য করা। বেশিরভাগ অ্যাজমা ও সিওপিডি এর প্রতিরোধক ওষুধগুলো দিনে দুবার নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে রোগীরা সেহরির সময় এবং ইফতারের সময় ICS বা ICS+LABA দৈনিক প্রতিরোধক ইনহেলার পুনঃবিন্যাস করতে পারেন।

যেহেতু হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য রোগীদের তাদের প্রতিরোধক ইনহেলার (ICS ও LABA) নির্ধারিত হিসাবে গ্রহণ করা চালিয়ে যেতে হবে। রমজান মাসে প্রতিরোধক থেরাপি মেনে চলার গুরুত্ব সম্পর্কে চিকিৎসকদের কর্তব্য রোগীদের সচেতন করা বা সম্ভাব্য ক্ষতি সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া। রমজান মাসে রোগীদের ধূমপান বন্ধ করার একটি সুবর্ণ সুযোগ হতে পারে। রোগীরা চাইলে এ সময়টা ধূমপান (যারা করেন) পরিহার করে ইনহেলার ব্যবহারজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।