img

বড়লেখায় বড়ভাইকে হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার শিক্ষক কারাগারে

প্রকাশিত :  ১০:৪০, ১২ জুন ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪৭, ১২ জুন ২০২১

বড়লেখায় বড়ভাইকে হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার শিক্ষক কারাগারে

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আপ্তাব উদ্দিন হত্যাকাÐে জড়িত থাকার অভিযোগে তারই ছোটভাই শিক্ষক শাহীদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বুধবার (৯ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াকুব আলী রাজনগর থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহাসহ¯্র এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শাহীদুল ইসলাম উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের সফরপুর গ্রামের মৃত আকমল আলীর ছেলে। তিনি রাজনগর আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। নিহত আপ্তাব উদ্দিনের পরিবারের অভিযোগ, শাহীদুল ইসলামের নির্দেশে আপ্তাবকে উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াকুব আলী বলেন, আপ্তাব উদ্দিন হত্যাকাÐে জড়িত থাকার অভিযোগে শিক্ষক শহীদুল ইসলামকে রাজনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের সফরপুর গ্রামের মৃত আকমল আলীর ছেলে আপ্তাব উদ্দিনের সঙ্গে ভাতিজা সাব্বির আহমদ ও ভাগ্নে রিপন আহমদ গংদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান হলেও প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো। গত ১৬ মে বাড়ির পাশে জমিতে মাছ ধরা নিয়ে আপ্তাব উদ্দিনের সঙ্গে ভাতিজা সাব্বির আহমদ ও ভাগ্নে রিপন আহমদ গংদের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তারা দা ও লাটিসোটা নিয়ে আপ্তাব উদ্দিনের ওপর হামলা চালান। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ১৭ মে ভোরে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় নিহত শিক্ষক আপ্তাব উদ্দিনের ছেলে তানভীর আহমদ থানায় মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাব্বির আহমদকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। এই ঘটনায় জড়িত মূল ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রæত গ্রেফতারের দাবিতে গত ২১ মে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। 

img

বানিয়াচংয়ে ৩ জন নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

প্রকাশিত :  ১০:২৯, ১৩ মে ২০২৪

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ১৩নং মন্দরি ইউনিয়নের আগুয়া গ্রামে সিএনজি স্ট্যান্ড নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বদরুল আলম ওরফে বদিকে আটক করেছে বানিয়াচং থানা পুলিশ। সে ওই গ্রামের মৃত হিরা মিয়ার পুত্র।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তার শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার নুরপুর গ্রামের একটি পুকুরপাড়ের  তার এক আত্নীয়র বাড়ি থেকে বদিকে আটক করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে,বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন,তদন্ত ওসি আবু হানিফের নেতৃত্ব থানার প্রায় ২৫ জন পুলিশ অভিযানে অংশ নেন। অভিযানে সহায়তা করেন নাসিরনগর থানা পুলিশের একটি দল।

পলাশ রঞ্জন দে বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, গোপন সংবাদ ও তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আমরা নাসিরনগর থানা পুলিশের সহায়তায় আসামী বদরুল আলম ওরফে বদিকে আমরা আটক করি। যেহেতু এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি তাকে ১৫৪ ধারায় আটক দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় মামলা রয়েছে।

তিনি আরো জানান, হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্য অভিযুক্তদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের সনাক্ত করা হবে। তবে ট্রিপল হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার  সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার) পিপিএম। শুক্রবার বিকেলে পরিদর্শনে যান তিনি। ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার ) পিপিএম এসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন এবং দ্রুত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারদের নির্দেশনা প্রদান করেন ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার) পিপিএম। 

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলার ১৩নং মন্দরি ইউনিয়নের আগুয়া বাজারে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হন। নিহতরা হলেন-আগুয়া গ্রামের শুকুর মিয়ার পুত্র আব্দুল কাদির (২৫),বজলু মিয়ার পুত্র সিরাজ মিয়া (৫০) ও আলীরাজ মিয়ার পুত্র লিলু মিয়া (৪০)। এ ঘটনায় আহত হন উভয়পক্ষের প্রায় শতাধিক লোক।

সিলেটের খবর এর আরও খবর