বজ্রপাত থেকে বাঁচার ১৮ উপায়

প্রকাশিত :  ০৭:২১, ১৩ জুন ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৩১, ১৩ জুন ২০২১

বজ্রপাত থেকে বাঁচার ১৮ উপায়

জনমত ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে বজ্রপাতে মৃত্যু বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ গেল বৃহস্পতিবার (২০ মে) দেশের তিন জেলায় অন্তত ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে। এটি থেকে বাঁচতে ১৮টি উপায় বলে দিয়েছে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়।

এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে বলা হয়েছে, বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকতে নিজে জানুন, অন্যকে জানান।

বজ্রপাত থেকে বাঁচার যে ১৮টি উপায়, সেগুলো হলো:

> এপ্রিল-জুন মাসে বজ্রবৃষ্টি বেশি হয়; বজ্রপাতের সময়সীমা সাধারণত ৩০-৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু ঘরে অবস্থান করুন। 

> ঘন কালাে মেঘ দেখা দিলে ঘরের বাহির হবেন না; অতি জরুরি প্রয়ােজনে রবারের জুতা পড়ে বাইরে বের হতে পারেন। 

> বজ্রপাতের সময় খােলা জায়গা, খােলা মাঠ অথবা উঁচু স্থানে থাকবেন না। 

> বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা খােলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি পায়ের আঙ্গুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙ্গুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকুন। 

> যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন। টিনের চালা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। 

> উঁচু গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার বা ধাতব খুটি, মােবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন। 

> কালাে মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডােবা বা জলাশয় থেকে দূরে থাকুন। 

> বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতর অবস্থান করলে, গাড়ির ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযােগ ঘটাবেন না; সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোনাে কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন। 

> বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি ও বারান্দায় থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন। 


> বজ্রপাতের সময় মােবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টিভি, ফ্রিজসহ সব বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং এগুলাে বন্ধ রাখুন। 

> বজ্রপাতের সময় ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করবেন না। জরুরি প্রয়ােজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করতে পারবেন।

> বজ্রপাতের সময় শিশুদের খােলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও বিরত থাকুন। 

> বজ্রপাতের সময় ছাউনি বিহীন নৌকায় মাছ ধরতে যাবেন না, তবে এ সময় সমুদ্র বা নদীতে থাকলে মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।

> বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না। 


> প্রতিটি বিল্ডিংয়ে বজ্র নিরােধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন। 

> খােলাস্থানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে দূরে সরে যান।

> কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান। 

> বজ্রপাতে কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মতো করেই চিকিৎসা করতে হবে। প্রয়ােজনে দ্রুত চিকিৎসককে ডাকতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে। বজ্র আহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদস্পন্দন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

রোজায় মুখে দুর্গন্ধ হলে কী করবেন?

প্রকাশিত :  ০৮:৫৯, ২৭ মার্চ ২০২৪

চলছে রমজান মাস। প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করলেও রোজা থাকা অবস্থায় মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।এমনিতেই  দীর্ঘ সময় না খাওয়ার কারণে মুখে কেমন যেন দুর্গন্ধ হয়। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলা হয় ‘হ্যালিটোসিস’ । রোজার সময়ে  অনেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হন। এটা বেশ বিব্রতকরও । তবে, সাধারণ কিছু বিষয় মাথায় রাখলেই এই সমস্যা সহজে এড়ানো যায়।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কী করবেন 

১. চিকিৎসকরা বলছেন, দীর্ঘ সময় পানি না খাওয়ার কারণে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। এতে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। এ কারণে রোজা ভাঙা মাত্রই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। 

২. মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দাঁতের আনাচ-কানাচে খাবার জমতে না দেওয়া যাবে না। এই সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে দাঁত ব্রাশ করা। যত ক্ষণ বাড়িতে থাকবেন, প্রতি বার খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস করুন। 

৩. দাঁত ব্রাশ করা সবসময় সম্ভব না হলে খাওয়ার পরে মুখ ধোয়ার জন্য মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এতে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে। 

৪. দীর্ঘ ক্ষণ রোজা রাখার পর মিষ্টিজাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। কারণ, অতিরিক্ত চিনি মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটায়। এতে দাঁতের উপর যে এনামেলের পরত থাকে, তা উঠে যায়।

৫.অনেকসময় দাঁত, মাড়ির সমস্যা থাকলেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। তাই আগে সেই সমস্যার সমাধান করুন। দাঁতের তেমন কোনও সমস্যা না থাকলেও নির্দিষ্ট সময় পর পর দাঁত পরীক্ষা করানো জরুরি।