img

৪ শিশুকে সাজা দেয়া সেই ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার

প্রকাশিত :  ১১:৪২, ১৩ জুন ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:২৭, ১৩ জুন ২০২১

৪ শিশুকে সাজা দেয়া সেই ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার

জনমত ডেস্ক: চার শিশুকে প্রিজন ভ্যানে করে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো বরিশালের বাকেরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহর বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

রোববার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত থাকা বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৮ পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

পাশাপাশি সমাজসেবা অফিসারের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে এবং শিশু আইনে পুলিশের ভূমিকা কী থাকবে সেটি প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে বলেছে আদালত।

আদালতে চার শিশুরপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম, তার সঙ্গে ছিলেন জামিউল হক ফয়সাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নাওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

গত বছরের ১১ অক্টোবর চার শিশুকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশদানকারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহ এবং ওই শিশুদের গ্রেপ্তার করে থানায় মীমাংসা না করে প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে যাওয়ায় বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ভর্ৎসনা করেছিল হাইকোর্ট।

ওই দিন চার শিশুকেও খাস কামরায় নিয়ে তাদের বক্তব্য শোনে আদালত। পরে ৪ শিশুর বিরুদ্ধে বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানায় করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। পাশাপাশি চার শিশুকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিতে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেয়া হয়।

ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ শিশুকে আসামি করে গত বছরের ৬ অক্টোবর মামলা করা হয়। এ মামলায় ওই দিনই চার শিশুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৭ অক্টোবর বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহ আদেশে চার শিশুকে যশোর পুলেরহাট শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠায়।

বিষয়টি নিয়ে বেসরকারি একটি টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারিত হয়। এই সংবাদ বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আসে ৮ অক্টোবর রাতে। এরপর রাতেই বিচারপতিরা নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করে ভার্চুয়াল আদালত বসিয়ে আদেশ দেন।

আদেশে ওই রাতেই চার শিশুর জামিনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বরিশালের শিশু আদালতের বিচারকের প্রতি নির্দেশ দেয়। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে রোববার রায় প্রদান করা হয়।

img

আজ কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত :  ০২:৩৪, ১৩ মে ২০২৪

আজ সোমবার কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ভিড়তে চলেছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি দশা থেকে মুক্তির ঠিক এক মাস পর বাংলাদেশে ভিড়ল জাহাজটি।

জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, জাহাজটি এখন দেশের উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। সবাই বাড়িতে পৌঁছে আত্মীয়স্বজনদের সাথে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তির পর বাড়ির পথে যাত্রার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমি যেন দ্বিতীয় জীবন পেয়েছি।

জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম জানান, জাহাজটি যে গতিতে চলছে তাতে সোমবার সন্ধ্যা বা রাতের মধ্যে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে।

কুতুবদিয়ায় আসার পর নাবিক ও ক্রু সদস্যদের একটি নতুন ব্যাচ জাহাজটিতে পাঠানো হবে। জাহাজে বর্তমানে যে ২৩ জন ক্রু আছেন তাদের মঙ্গলবার একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হবে। সেখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে যাবেন।

এমভি আব্দুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে বলে জানা গেছে।

মেহেরুল করিম বলেন, আমদানিকারকের পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্গো খালাস করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয় বলে জানায় মালিকপক্ষ। বিপুল পরিমাণ মুক্তিপণ আদায়ের পর ১৪ এপ্রিল ভোরে জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে দেয়।

মুক্তির পর জাহাজটি ২২ এপ্রিল কয়লা খালাসের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছেছিল। সেখান থেকে চুনাপাথরের আমদানির জন্য শনিবার মিনা সাকার বন্দরে যায়।