img

কমলগঞ্জে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা

প্রকাশিত :  ১৮:৩৮, ১৩ জুন ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:৪১, ১৩ জুন ২০২১

কমলগঞ্জে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে ননাসের (স্বামীর বড় বোনের) বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে দীপা চৌধুরী (২৮) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। তবে দীপা চৌধুরী পরিবার সদস্যরা বলছেন এটি আত্মহত্যা নয় পরিকল্পিত হত্যা।রোববার (১৩ জুন) ভোর রাতে গোবিন্দপুর গ্রামের মঈনুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। শমশেরনগর ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।সরেজমিন জানা যায়, মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বিক্রমকলস গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী দীপা চৌধুরী। তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করতেন। সেখানে তার প্রথম স্বামী ও প্রথম পক্ষের এক ছেলেও রয়েছে। প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে সাইফুল ইসলামের সাথে। তারপর আদালতের মাধ্যমে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল। এ বিয়ে নিয়ে সাইফুল ইসলামের পারিবারিক দ্বন্দ শুরু হলে সে স্ত্রী দীপা চৌধুরীকে গোবিন্দপুর গ্রামের স্বামীর বড় বোন শেফি বেগমের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন দীপা চৌধুরী। রোববার ভোর রাতের কোন এক সময় দীপা চৌধুরী রান্না ঘরের চালার সাথে পরনের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।ঘটনার খবর পেয়ে রোববার সকালে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক শাহ আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে দীপা চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।তবে দীপা চৌধুরীর বোন মৌমিতা জানান, সাইফুল প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে তার বোন প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করে সাইফুলের সাথে বিয়ে হয়। সে মনে করে এটি আত্মহত্যা নয় এটি পরিকল্পিত হত্যা। এ ঘটনায় তারা থানায় মামলা করবে বলেও জানায়।এদিকে সাইফুলের বোন শেফি বেগম বলেন, গত রমজানের আগে সাইফুল মোটরসাইকেল দ‚ঘটনায় আহত হওয়ার পর তার স্ত্রী দীপাকে নিয়ে এ বাড়িতে আসে। সেই থেকে দীপা এখানেই অবস্থান করছিলেন। সে তার সাথে (শেফী বেগমের সাথে) একই বিছানায় থাকতো। রোববার ভোর রাতে সবার অগোচরে রান্না ঘরের চালার সাথে গায়ের ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে।শমশেরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জুয়েল আহমেদ বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে এসে জানতে পেরেছেন দীপা চৌধুরী স্বামীর বোনের বাড়িতে এসে আত্মহত্যা করেছেন। আর স্বামীর বাড়ি মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বিক্রমকলস গ্রামে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখবে বলেও তিনি জানান।শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হবে এবং ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর মোবাইল ফোন, ব্যাগ ভর্তি কাপড় জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কোন অভিযোগ হলে তদন্তক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শেয়ার করুন

img

বিশ্বনাথের মেয়রের বিরুদ্ধে নারী কাউন্সিলরের শ্লীলতাহানির মামলা

প্রকাশিত :  ১৫:১৪, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:১৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান, দুই কাউন্সিলরসহ আটজনের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। বুধবার বিশ্বনাথ থানায় মামলাটি করেন পৌরসভার এক নারী কাউন্সিলর।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পৌরসভার সাত কাউন্সিলর মেয়র মুহিবুর রহমানের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগে অনাস্থা প্রস্তাব দেন। বিষয়টি নিয়ে মেয়র কাউন্সিলরদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে পৌরসভার দক্ষিণ মিরেরচর এলাকায় মেয়রের নেতৃত্বে কয়েকজন নারী কাউন্সিলরদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন। প্রতিবাদ করলে মেয়র ও তার সহযোগীরা বাদীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় ওই কাউন্সিলর গতকাল বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। বুধবার ভোরে লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। মামলায় মেয়র ছাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর ফজর আলী ও বারাম উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে মেয়র মুহিবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী জানান, নারী কাউন্সিলরের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।