img

খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ: ফখরুল

প্রকাশিত :  ১৩:৩৭, ১৭ জুন ২০২১

খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ: ফখরুল

জনমত ডেস্কক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রথম তার হার্টে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার কিডনিতে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তার একটা পুরনো অসুখ যেটা তাকে অত্যন্ত কষ্ট দেয়- আর্থারাইটিসও রয়েছে। এই সবগুলো মিলিয়ে উনি অত্যন্ত অসুস্থ আছেন। ডাক্তাররা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি রপোরেশনের ৪২নং ওয়ার্ডের বেরাইদ এলাকায় এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া কোভিডের যে আক্রমণ তা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু দীর্ঘ ৪ বছর তার চিকিৎসা না হওয়ার কারণে, কারাগারে রাখার কারণে তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, উনার (খালেদা জিয়া) পরিবার আবেদন করেছেন সরকারের কাছে, তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হোক। এই সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। সরকারকে আহ্বান জানাব, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে এই মহান নেত্রীকে যিনি গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং দেশকে উন্নত করার জন্য তার বহু অবদান রয়েছে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। তাকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। দেশবাসীর কাছে তার আশু আরোগ্য কামনায় দোয়া চান বিএনপি মহাসচিব।

কোভিডসহ নানা জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালে ভর্তির ৬ দিন পর (৩ মে) শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে সিসিইউতে থাকতে হয়েছে এক মাস। পরে অবস্থার উন্নতি হলে গত ৩ জুন কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয় তাকে। গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। করোনামুক্ত হন ৯ মে।

\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n


img

সম্পদ বৃদ্ধিতে এমপিদের চেয়ে এগিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানরা

প্রকাশিত :  ১০:১০, ০৬ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৪২, ০৬ মে ২০২৪

সংসদ সদস্যদের পেছনে ফেলে গত পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে এগিয়ে রয়েছে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। সংসদ সদস্যদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ, যেখানে একজন চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি।

সোমবার (৬ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থী মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। প্রার্থী হওয়ায় এগিয়ে ভাইয়েরা; এছাড়া চাচাতো ভাই, খালাতো ভাই, জামাতা, ভাইয়ের ছেলেও আছেন তালিকায়।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ জানিয়েছে, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৬৯.৮৬ শতাংশ ব্যবসায়ী। ১৬.৬৩ শতাংশ প্রার্থী মামলার আসামি। এ ছাড়া ঋণ আছে ২৩ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রার্থীর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা পেছনে ফেলেছেন সংসদ সদস্যদের।

এ ক্ষেত্রে অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে কোটিপতি প্রার্থীদের শীর্ষ ২০ জনের তালিকা করেছে টিআইবি।

তালিকার শীর্ষে আছেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূইয়া। তার মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৫ দশমিক ২৪ কোটি টাকা। তারপরের অবস্থান রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলামের।

তার মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২০ দশমিক ৩০ কোটি টাকা। শীর্ষ তিনে থাকা নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাহার ইশরাক শাহাব চৌধুরীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১৮ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা।