ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাইসির ‘পাল্লা ভারি’

প্রকাশিত :  ১২:৫০, ১৮ জুন ২০২১

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাইসির ‘পাল্লা ভারি’

আন্তর্জাতিক ডেস্কইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ ডানপন্থি বিচারক ইব্রাহিম রাইসিকে সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে ধরা হচ্ছে।

অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে অনেক নাগরিক ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবারের (১৮ জুন) নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকতে পারেন বলে ধারণার কথা রয়টার্সের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

জনমত জরিপের ফল বলছে, ভোটার উপস্থিতি ৪১ শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে, যা অতীতের নির্বাচনগুলোর তুলনায় অনেক কম।

ইরানের সংবিধান অনুযায়ী দুই মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থাকা বেআইনি হওয়ায় প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি তৃতীয়বার নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।

রয়টার্স বলছে, সম্ভবত ৬০ বছর বয়সী রাইসিই তার স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন।

পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পাদিত ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি টিকিয়ে রাখা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে চলেছে ইরান।

বর্তমান সংকটময় সময়ে দেশকে যেভাবে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে এই নির্বাচনকে সে বিষয়ে জনমত যাচাই হিসেবেও দেখছেন ইরানের বিশ্লেষকরা।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, কট্টর শিয়া মতাবলম্বী রাইসি জয়ী হলে তা ইরানে রুহানির মতো বাস্তববাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অবস্থান দুর্বল হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিতই বহন করবে, যা মূলত সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে যাওয়া এবং ইরানের ওপর আরও অবরোধ আরোপের ফল।


তবে ইরানের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, পরমাণু চুক্তিতে ফেরত আসা এবং তেল রপ্তানি ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ওপর কঠোর অবরোধ প্রত্যাহার প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের ফলাফল কোন ব্যাঘাত ঘটাবে না। কারণ দেশের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা জানেন অর্থনৈতিক দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠার ওপর তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভরশীল।


“প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে রাইসির মূল চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতি। জাতীয় অর্থনৈতিক দুর্দশা লাঘব করতে ব্যর্থ হলে বিক্ষোভ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।”


নির্বাচনে রাইসির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আবদোলনাসের হেম্মাতিকে।

নির্বাচনি প্রচারের সময় তিনি বলেন, আরেকজন কট্টরপন্থি জয়ী হওয়ার অর্থ হচ্ছে বিদেশি শক্তিগুলোর তরফ থেকে আরও বেশি অবরোধের আশঙ্কা।

২০১৯ সালে ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে রাইসিকে নিয়োগ দেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। ইরানের প্রভাবশালী ‘রেভুলোশনারি গার্ড’দেরও সমর্থন রয়েছে রাইসির পেছনে।

ভোটদানে সব ভোটারকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বুধবার আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, ঐক্যের শক্তি দেখানো গেলে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের ওপর বিদেশি চাপ কমানো সম্ভব হবে।

\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n


সিরিয়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩৬ সেনা নিহত

প্রকাশিত :  ০৫:০৫, ২৯ মার্চ ২০২৪

সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে ইসরায়েলী বিমান হামলায় অন্তত ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন। একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা শুক্রবার (২৯ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে।

ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার অধীনে থাকা একটি রকেট ডিপোর কাছে এই হামলা চালানো হয়।

সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, ভোরের আগে চালানো হামলায় বেসামরিক মানুষ ও সামরিক কর্মী নিহত ও আহত হয়েছেন।

এর আগে সিরিয়ায় বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ইরানপন্থি অন্তত ৯ জনসহ একজন কমান্ডার ছিলেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছিল, একটি হামলায় ইরানপন্থি নয় যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন আইআরজিসির কমান্ডার রয়েছেন। একটি উপত্যকায় তাদের লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়।

গত কয়েক বছর ধরেই সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু কখনই তারা এসব হামলার দায় স্বীকার করে না।