img

জবানবন্দি শেষে পরিবারের কাছে ফিরলেন আবু ত্ব-হা

প্রকাশিত :  ১৯:৩৬, ১৮ জুন ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ২০:৫৮, ১৮ জুন ২০২১

জবানবন্দি শেষে পরিবারের কাছে ফিরলেন আবু ত্ব-হা

জনমত ডেস্ক: আলোচিত ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান ও তার দুই সঙ্গীকে জবানবন্দি শেষে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে আদালত। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে রংপুর মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক কেএম হাফিজুর রহমানের আদালতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

কোর্ট ইন্সপেক্টর নাজমুল ইসলাম জানান, রাত ৯টার দিকে ইসলামী বক্তা আবু ত্বহাসহ তিনজনকে মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক কেএম হাফিজুর রহমানের আদালতে নেওয়া হয়েছে। পরে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার পর তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেছিলেন আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানসহ তার ৩ সঙ্গী।

ত্ব-হা গুম হননি আত্মগোপনে ছিলেন: পুলিশ

এদিকে ‘জিজ্ঞাসাবাদে আবু ত্ব-হা পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাজধানীর গাবতলী থেকে স্ত্রীর মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে সর্বশেষ কথা বলেন তিনি। এরপর মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। সেখান থেকে চলে যান গাইবান্ধা সদর উপজেলার ত্রিমোহনীতে এক বন্ধুর বাড়িতে। এরপর থেকে তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। ব্যক্তিগত কারণে বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।

এখানে তার সঙ্গে দুই সঙ্গী ছিলেন। তারা হলেন গাড়িচালক আমির উদ্দিন ও মুহিত। অপর সঙ্গী মুজাহিদকে বগুড়ায় রেখে যান। এক সঙ্গীকে বন্ধুর বাড়িতে রেখে অপরজনকে নিয়ে শুক্রবার বিকালে রংপুর মহানগরীর মাস্টারপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে যান আবু ত্ব-হা। সেখান থেকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।

img

রাজধানীতে রড দিয়ে পিটিয়ে শিশু গৃহকর্মী খুন, দম্পতির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:১০, ১৪ মে ২০২৪

১৮ বছর আগে রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন এলাকায় রড দিয়ে পিটিয়ে শিল্পী বেগম নামে ১১ বছর বয়সি গৃহকর্মীকে খুনের দায়ে নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাসের কারাভোগের আদেশ দেন।

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরিফুল ইসলাম সাজার বিষয় নিশ্চিত করেন। 

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ভিকটিম শিল্পী বেগম উত্তর কমলাপুর কবি জসিম উদ্দিন রোডে মতিঝিল থানাধীন এলাকায় আসামি নজরুল ইসলামের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত। ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের মা অজ্ঞাত ফোন কলের মাধ্যমে জানতে পারেন, তার মেয়ে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। 

পরে ভিকটিমের মা হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান, তার মেয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি রয়েছে। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, আসামিরা ভিকটিমকে ঘরের দরজা আটকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত করেছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে ভিকটিমকে আঘাত করা হতো বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

ঘটনার তিনদিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিল্পী মারা যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা সিরাজুল ইসলাম মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে মতিঝিল থানার এসআই গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম একই বছরের ৩০ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

পরের বছরের ২৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।