img

শিক্ষিকাকে খুন করে আত্মহত্যা করেন গৃহকর্মী!

প্রকাশিত :  ০৯:৫১, ২০ জুন ২০২১

শিক্ষিকাকে খুন করে আত্মহত্যা করেন গৃহকর্মী!

জনমত ডেস্ক: সিলেটের ওসমানী নগরে ঘরের ভেতরে খুন হওয়া স্কুল শিক্ষিকা তপতী রানী দে (৬০) কে তার বাসার গৃহকর্মী গৌরাঙ্গ বৈদ্যই খুন করেছেন বলে ধারণা পুলিশের। গৃহকর্তীকে গলাকেটে হত্যার পর গৌরাঙ্গ নিজে ফাঁস লেগে আত্মহত্যা করেন, এমনটি মনে করছে পুলিশ।

শনিবার মধ্যরাতে ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের সোয়ারগাঁও এলাকার নিজ বাড়ির বদ্ধ ঘর থেকে শিক্ষিকা তপতীর গলাকাটা ও গৃহকর্মী গৌরাঙ্গ বৈদ্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

রোববার দুপুর পর্যন্ত মরদেহগুলোর ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়নি। মামলাও হয়নি। তবে পুলিশ বলছে, ময়না তদন্ত ও মামলার প্রস্তুতি চলছে। ওই ঘর থেকে আলামত হিসেবে রক্তমাখা একটি দা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তপতী রানী দে সোয়াইরগাও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তার স্বামী বিজয় দে পেশায় চিকিৎসক। তাদের দুই ছেলেমেয়েও চিকিৎসক।

রোববার দুপুরে সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমরা ধারণা করছি শিক্ষিকাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে নিজে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে ঐ গৃহকর্মী।

তিনি বলেন, তপতী রানী যে বাড়িতে থাকতেন সেই বাড়ির নিরাপত্তা ব্যাবস্থা খুবই শক্ত। ভেতর থেকে সকল দরজা ও ফটক তালা দেওয়াই ছিলো। ফলে বাইরে থেকে কেউ ভেতরে প্রবেশের কোনো আলামত পাইনি। ক্ষোভের বশে গৌরাঙ্গই তপতী রানীকে হত্যা করতে পারে। আপাতত এই ধারণা থেকেই তদন্ত এগোচ্ছি। তবে তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

একই ধরণের ধারণার কথা জানিয়েছেন তপতী রানীর চিকিৎসক ছেলে বিপ্লব দেও। ছেলে ও স্বামীর সাথে সেয়ারগাওয়ের ওই বাড়িতে থাকতেন তপতী। মেয়ের বিয়ে হয়েছে সিলেট শহরে।

বিপ্লব বলেন, গৌরাঙ্গ অনেকদিন ধরেই আমাদের বাসায় মায়ের কাজের সহযোগি হিসেবে আছেন। কিছুদিন ধরেই সে খিটখিটে মেজাজে অস্বাভাবিক আচরণ করতো। তুচ্ছ বিষয়েই ঝগড়া জুড়ে দিতো।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে প্রাইভেট প্র্যাকটিসে গিয়েছিলেন তপতীর স্বামী ও ছেলে। ঘরে তপতী ও গৌরাঙ্গ ছিলেন। রাত ১১টার দিকে এক প্রতিবেশি বাথরুমের জানালা দিয়ে গৌরাঙ্গর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এসময় তপতীর স্বামী বিজয় দেও বাড়ি ফিরে একই দৃশ্য দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে মেঝে থেকে তপতীর গলাকাটা ও গৌরাঙ্গর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, এই ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। তবে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

তিনি বলেন, পুলিশ কিছু ধারণা নিয়ে কাজ করছে। তবে এখনও এই হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু পায়নি।

ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তাক্ত বটি আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

img

তাহিরপুরে নদী থেকে বালু চাপা দেয়া শিশুর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত :  ১৭:০৬, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:০৮, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীর বালুর চড় থেকে বালু চাপা দেয়া অবস্থায় সাকিবুল ইসলাম (৮) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মোদেরগাও গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় তার লাশ উদ্ধার করে তাহিরপুর থানা পুলিশ। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ওসি নাজিম উদ্দীন।

পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, গতকাল শিশুর টির মা স্কুলে না যাওয়ার কারনে বকা দিলে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এর পর সে আর বাড়ি ফিরে নি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে যাদুকাটা নদীর পাড়ে শিশুটির একটি হাত দেখতে পায় এলাকার লোকজন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে সবার উপস্থিত তে লাশ উদ্ধার করে।

তবে কে বা কারা আর কি কারনে তাকে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে তা কারন জানাযায় নি।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজিম উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।  ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চলছে।