img

যোদ্ধাদের দেহাবশেষ থেকে ক্লোন সেনাবাহিনী তৈরি করবে রাশিয়া

প্রকাশিত :  ০৯:০৮, ২১ জুন ২০২১

যোদ্ধাদের দেহাবশেষ থেকে ক্লোন সেনাবাহিনী তৈরি করবে রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আন্তর্জাতিক আইনে মানবক্লোন বা হুবহু আরেকজন মানুষের নকল তৈরি করা নিষিদ্ধ। কিন্তু নিজেদের সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে প্রায় ৩ হাজার বছর আগের এক যাযাবর গোষ্ঠির ভয়ঙ্কর যোদ্ধাদের ক্লোন বানানোর চিন্তাভাবনা করছে রাশিয়া। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেরগেই শোইগু। খবর প্রকাশ করেছে ডেইলি মেইল, ইয়াহু ফাইন্যান্সসহ আরো বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

জানা গেছে, এমন একটি বাহিনী তৈরি করার চেষ্টা করছে রাশিয়া যাদের হারানো প্রায় অসম্ভব হবে। সে জন্য প্রায় ৩ হাজার বছর আগের এক যাযাবর গোষ্ঠীর ভয়ঙ্কর যোদ্ধাদের ক্লোন বানানোর চিন্তাভাবনা করছে তারা। তবে কী কারণে এই বাহিনী গড়তে চায় তা স্পষ্ট নয়।

সেনার সংখ্যায় এবং ক্ষমতার দিক দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম সেনাশক্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম রাশিয়া। সেটিকে আরও শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরই বিষয়টি নিয়ে জোরালোভাবে কাজ শুরু করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেরগেই। পুতিনের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত তিনি।

সেই লক্ষ্যেই ক্লোন যোদ্ধাদের বাহিনী তৈরি করার চিন্তা করছেন এই সেনা কর্মকর্তা। ৩ হাজার বছরের পুরনো যোদ্ধাদের দেহাবশেষ থেকে সংগৃহীত ডিএনএ নিয়ে ইতিমধ্যে গবেষণাও শুরু করে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইবেরিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চল থেকে প্রায় দু’দশক আগে ওই যাযাবর যোদ্ধাদের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছিল। প্রকৃতিগত যোদ্ধা এই সেনারা মোঙ্গলদের পূর্বপুরুষ। সিথিয়ানস নামে পরিচিত গোষ্ঠীটি খ্রিস্টপূর্ব নবম শতাব্দী থেকে দ্বিতীয় শতাব্দী পর্যন্ত ইরানের বাসিন্দা ছিল। কথিত আছে, ইউরেশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রভাব ছিল তাদের।

সেই যোদ্ধাদের জিন থেকেই রাশিয়ার জন্য হুবহু নকল সেনা বানানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন সেরগেই। গত এপ্রিলে রাশিয়ার জিওগ্রাফিকাল সেসাইটির একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সাইবেরিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চল থেকে পাওয়া সিথিয়ানস যোদ্ধাদের ডিএনএ থেকে কিছু একটা বানানো যাবে। আর তা ভালো কিছুই হবে বলেই আশা করি।

ওই মঞ্চে সেরগেই সরাসরি মানুষের ক্লোন বানানোর কথা উল্লেখ না করলেও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, যোদ্ধাদের দেহাবশেষ থেকে কিছু জৈব কোষের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা ক্লোন বানানোর জন্য কাজে লাগতে পারে।

img

বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সুরক্ষায় যা করবেন

প্রকাশিত :  ১১:৫২, ১৩ মে ২০২৪

কালবৈশাখীর সময় হঠাৎ ঝড়, বজ্রপাত আর বৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক। এসময় বজ্রপাতে টিভি, ফ্রিজ, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নষ্ট হওয়ার অনেক খবর পাওয়া যায়। তাই এই সময়ে আপনার ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে সতর্ক থাকুন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক বজ্রপাত বা বৃষ্টির সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কীভাবে সুরক্ষায় রাখবেন।

ঝড়বৃষ্টি বা বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সুরক্ষার উপায়সমূহ—

* আপনার বাড়ির সব ধরনের বৈদ্যুতিক সংযোগের সঙ্গে আর্থিং ব্যবস্থা করুন। সম্ভব হলে বজ্রপাতের সময় মেইন লাইনের সঙ্গে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখুন।

* ফ্রিজ বা এসির সঙ্গে সরাসরি বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকলে বজ্রপাতের সময় তা খুলে রাখাই নিরাপদ। এমনকি এ সময় এসি চালানো থেকেও বিরত থাকুন।

* বজ্রপাতের সময় ফোন ব্যবহার বিপজ্জনক নয়। তবে তা ঘরের মধ্যে। ছাদে বা রাস্তায় খোলা জায়গায় থাকলে ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। বজ্রপাতের সময় ফোন ব্যবহার করলে আপনি বজ্রপাতের শিকার হতে পারেন।

* বজ্রপাতের সময় বা বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর টিভি বন্ধ রাখুন। এই সময় ডিশ বা ইন্টারনেটের সংযোগ খুলে রাখতে পারেন।

* ঝড়বৃষ্টির সময় রাউটার বন্ধ রাখুন। এতে অনেক দিন পর্যন্ত রাউটার ভালো থাকবে। এমনকি এর সঙ্গে সরাসরি কোনো ডিভাইস সংযুক্ত থাকলে সেটিও রক্ষা পাবে।

* বজ্রপাতের সময় ল্যাপটপ, স্মার্টফোন কিংবা যে কোনো ডিভাইস চার্জ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। চার্জারের সঙ্গে লাগানো থাকলে তা খুলে দিন।

* বাড়ির ডেস্কটপ বা কম্পিউটারের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে তা বন্ধ করে দিন। এমনকি এ সময় ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ চালানো থেকেও বিরত থাকুন। যদিও রাউটারের সঙ্গে ওয়াইফাই সংযোগে থাকা মোবাইল বা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তাদের বজ্রাঘাতে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বাড়ির বিদ্যুতের সঙ্গে ল্যাপটপ বা রাউটারের সংযোগ থাকলে তা বিছিন্ন করে দিন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাতের সময় ঘরের ভেতরে থাকলে স্মার্টফোন ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এই সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখাই ভালো। তবে যদি মারাত্মক আকারে বজ্রপাত হয় সে ক্ষেত্রে ফোনটি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারেন। না হলে স্মার্টফোনটির তো বটেই, যিনি সেটি ব্যবহার করছেন, তারও বিপদ হতে পারে।