img

খাবার থেকে বাড়তি লবণ কমানোর ১০ কৌশল

প্রকাশিত :  ১০:০৬, ২২ জুন ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৪, ২২ জুন ২০২১

খাবার থেকে বাড়তি লবণ কমানোর ১০ কৌশল

তরকারিতে লবণ বেশি পড়ার ঝামেলা কার হয় না? সকলেরই হয়। আর সেই লবণ কমানোর জন্য নানান রকম উপায়ও জানি আমরা। ঝোলের তরকারি বা ডাল থেকে তো লবণ কমালেন, কিন্তু ভাজি, কাবাব, ফ্রাই করা খাবার থেকে কীভাবে কমাবেন লবণ?

জেনে নিন সব রকমের খাবার থেকে লবণ কমানোর ১০টি দারুণ কার্যকরী কৌশল:

১) তরকারী বা ডাল থেকে লবণ কমানোর সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে ময়দা দিয়ে খামির তৈরি করুন। তারপর ছোট ছোট বল আকারে তৈরি করে ঝোল বা ডালের মাঝে ফুটতে দিন। লবণ অনেক পরিমাণে কমে আসবে। ২) মাছের তরকারী হলে ডালের বড়ি যোগ করুন। তেলের মাঝে বড়ি হালকা ভেজে তরকারিতে দিয়ে দিন। এতে লবণ যেমন কমবে, স্বাদেও আসবে ভিন্ন মাত্রা। ৩) সিদ্ধ করা আলু যোগ করুন তরকারী বা ডালে। লবণ কমা পর্যন্ত ফুটিয়ে নিন। তারপর আলুগুলো তুলে ফেলতে পারেন যদি ইচ্ছা হয়। ৪) সবজি ভাজিতে লবণ বেশি হয়ে গিয়েছে? যোগ করুন অনেকটা কাঁটা পেঁয়াজ ও ধনেপাতা। টমেটো কুচিও দিতে পারেন। তারপর ভালো করে ভেজে নিন আবার। দেখবেন লবণ হয়ে গিয়ে সহনীয় মাত্রায়। ৫) দোপেয়াজা বা কোন ভুলা খাবারে লবণ বেশি হয়ে গেলে যোগ করুন অল্প টক দই ও চিনি। ভালো করে মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে ১৫/২০ মিনিট দমে রাখুন। লবণ তো কমবেই সাথে খাবারের স্বাদ বাড়বে বহুগুণে। ৬) রোস্ট, রেজালা ইত্যাদি খাবারে লবণ বেশি হয়ে গেলে যোগ করুন মালাই। ওই একইভাবে দমে দিয়ে রাখুন। লবণ কমে যাবে। ৭) কাবাব, ভুনা, বা ডাল চচ্চড়ি জাতীয় খাবারে লবণ বেশি হয়ে গেলে যোগ করতে পারেন অল্প লেবুর রস ও সাথে এক চিমটি চিনি। খাবারের লবণকে অনেকটাই কম মনে হবে। ৮) যে কোন তরকারিতেই লবণ বেশি হলে বেরেশ্তা যোগ করুন। এতে ঝোল ঘন হবে, স্বাদে যোগ হবে বাড়তি মাত্রা, অন্যদিকে লবণটাও কবে আসবে। ৯) তন্দুরি চিকেনে লবণ বেশি হয়ে গেছে? সাথে পরিবেশন করুন একটু বেশি মিষ্টি দেয়া রায়তা। দেখবেন, কেউ বেশি লবণ বুঝতেই পারবে না! ১০) লবণ কমাতে আরেকটি ভীষণ কাজের জিনিস হলো দুধ। দুধ যোগ করলে সেটা স্বাদে কোন হেরফের করবে না। কিন্তু আপনার তরকারির লবণ কমিয়ে দেবে একদম।

img

কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১০:৩১, ০৯ মে ২০২৪

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কেবল বয়স্কদের থাকে এ ধারণাটি সঠিক নয়। অল্প বয়সের মানুষের মধ্যে রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত ২০ থেকে ৪০ বছরের কমেও এটি হতে পারে। দেশের অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ পুরুষ আর ৯ শতাংশ নারী। 

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে তরুণ প্রজন্মের কিছু বদভ্যাস দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই তরুণদের ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ নেই।

চিকিৎসকেরা বলেন, রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে মানেই একই সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকিও। অল্প বয়সেই কোনও গুরুতর রোগের আশঙ্কা এড়িয়ে চলতে যে নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন: 

ব্যস্ততার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত চার দিন সাইকেল চালানো, সাঁতার বা যে কোনও খেলাধুলো করতে পারলে ভালো। এছাড়া, সকালে ঘুম থেকে উঠে, বিকেলে ও রাতে খাবার পরে হাঁটাহাঁটি করতে পারলে স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী। 

ছোট থেকেই প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো। পাশাপাশি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। না হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।  

বয়স কম হলেও নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে। বিশেষ করে যদি পরিবারে এমন কোনও রোগ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে সময় থাকতেই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।