img

সুইজারল্যান্ডে এমপি হয়ে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি সুলতানা

প্রকাশিত :  ০৫:৫৬, ২৩ জুন ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:০২, ২৩ জুন ২০২১

সুইজারল্যান্ডে এমপি হয়ে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি সুলতানা

জনমত ডেস্ক : সুইজারল্যান্ডে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি সুলতানা খান। জুরিখ জোন থেকে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২২ জুন) এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিতদের মধ্যে সুলতানা খান তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। সুইজারল্যান্ডে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এমপি নির্বাচিত হয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন সুলতানা।

সুলতানা খানের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়। তার বাবার নাম এসএম রুস্তম আলী, মাতা রাজিয়া সুলতানা। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ।

সুলতানার জন্ম ঢাকার মিরপুরে। তিনি ঢাকা সিটি কলেজ থেকে স্নাতক এবং মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। ২০০৪ সাল থেকে স্বামী প্রবাসী সাংবাদিক, সংগঠক এবং ব্যবসায়ী বাকি উল্লাহ খান এবং দুই ছেলেসহ সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে বসবাস করছেন তিনি।

সুলতানা খান সুইজারল্যান্ডের মূল ধারার বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত। বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশকর্মী হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন। সুইজারল্যান্ডে এবং ইউরোপে বাংলাদেশের শিল্প ও সাহিত্য চর্চার জন্য ‘বাংলায় স্কুলের’ তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। পরিচালনা পর্ষদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করছেন সুলতানা।

সুলতানা বলেন, আমি প্রথমেই ধন্যবাদ দিতে চাই এখানে বসবাসকারী সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের, যারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। এছাড়া সুইজারল্যান্ডের জনগণ যারা আমাকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য ভোট দিয়েছেন। আমার এই অর্জন তাদের সকলের জন্য।

সংসদের বিশেষ অধিবেশনে নারী সাংসদ হিসেবে নারী অধিকার রক্ষায় তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখবেন। সুলতানা বলেন, নারী অধিকারের বিষয়ে কথা বলার পাশাপাশি আমার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করা। আমি সুইজারল্যান্ডে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার ও স্মৃতি স্থাপনা স্থাপনের প্রস্তাব রাখব, যাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ এখানে এলে বাংলাদেশের গৌরবের ইতিহাস জানতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমি বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া নারীদের ভাগ্য উন্নয়নেও কাজ করতে চাই। দেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। তারা পিছিয়ে থাকলে দেশের উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

সুলতানা খানের এই অর্জনে সুইজারল্যান্ড বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিসহ স্থানীয় নাগরিকগণ অভিবাদন জানিয়েছেন। এছাড়া ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শুভানুধ্যায়ী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা শুভকামনা জানিয়েছেন ।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৯, ১৩ মে ২০২৪

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার সব চেষ্টার মধ্যেও গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। এর আগের মাসে অর্থাৎ, মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে, গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ দিকে গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ


কমিউনিটি এর আরও খবর