img

পদ্মাসেতুর চীনা প্রকৌশলী নিখোঁজ

প্রকাশিত :  ০৮:০২, ২৩ জুন ২০২১

পদ্মাসেতুর চীনা প্রকৌশলী নিখোঁজ

জনমত ডেস্ক: মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটের কাছে মাঝ নদীতে বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণ কাজ করার সময় চীনা প্রকৌশলী মিস্টার জো (২৫) নিখোঁজ রয়েছেন। মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া তিন নম্বর ফেরিঘাট বরাবর মাঝ নদীতে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের আওতায় জাতীয় গ্রীডের বৈদ্যুতিক টাওয়ার (টি-১৩) নির্মাণ কজে এই প্রকৌশলী কর্মরত ছিলেন।

মঙ্গলবার (২৩ জুন) রাত থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। সহকর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা এই প্রকৌশলী কোন ভাবে উত্তাল পদ্মায় পড়ে তলিয়ে গেছেন।

মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, নিখোঁজ প্রকৌশলীর শিফট চলছিল। টাওয়ারের বিশাল জায়গায় শেট তৈরী করেই কর্মকর্তারা সেখানে থাকতেন। এখান থেকেই কাজে অংশ নিতেন তারা। জরুরী প্রয়োজনে বোটে করে তীরে আসতেন। জো’কে সহকর্মীরা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। বিষয়টি অবহিত হয়ে সব দিকে খোঁজাখুঁজির পর দায়িত্বশীলরা এ ব্যাপারে বিষয়টি রাতে পুলিশকে অবহিত করেন।

কোস্টগার্ড মাওয়া স্টেশন ও মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি পদ্মার বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চালাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসও তলব করা হয়েছে।

img

রাজধানীতে রড দিয়ে পিটিয়ে শিশু গৃহকর্মী খুন, দম্পতির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:১০, ১৪ মে ২০২৪

১৮ বছর আগে রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন এলাকায় রড দিয়ে পিটিয়ে শিল্পী বেগম নামে ১১ বছর বয়সি গৃহকর্মীকে খুনের দায়ে নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাসের কারাভোগের আদেশ দেন।

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরিফুল ইসলাম সাজার বিষয় নিশ্চিত করেন। 

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ভিকটিম শিল্পী বেগম উত্তর কমলাপুর কবি জসিম উদ্দিন রোডে মতিঝিল থানাধীন এলাকায় আসামি নজরুল ইসলামের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত। ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের মা অজ্ঞাত ফোন কলের মাধ্যমে জানতে পারেন, তার মেয়ে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। 

পরে ভিকটিমের মা হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান, তার মেয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি রয়েছে। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, আসামিরা ভিকটিমকে ঘরের দরজা আটকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত করেছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে ভিকটিমকে আঘাত করা হতো বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

ঘটনার তিনদিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিল্পী মারা যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা সিরাজুল ইসলাম মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে মতিঝিল থানার এসআই গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম একই বছরের ৩০ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

পরের বছরের ২৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।