আফগানিস্তানে আর সেনা না পাঠানোর ঘোষণা তুরস্কের

প্রকাশিত :  ১০:৪৬, ২৪ জুন ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৩৯, ২৪ জুন ২০২১

 আফগানিস্তানে আর সেনা না পাঠানোর ঘোষণা তুরস্কের

জনমত ডেস্ক: আফগানিস্তানে নতুন করে আর কোনো সেনা না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার বুধবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ন্যাটো বাহিনীর অংশ হিসেবে আফগানিস্তানে বর্তমানে যেসব তুর্কি সেনা মোতায়েন রয়েছে তার বাইরে দেশটিতে নতুন করে আর কোনো সেনা পাঠাবে হবে না। খবর ডেইলি সাবাহ’র। 

হুলুসি আকার বলেন, মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগের পর কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তুরস্কের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে এজন্য দেশটিতে বাড়তি কোনো সেনা মোতায়েন করা হবে না।

গত ছয় বছর ধরে তুর্কি সেনারা ন্যাটোর অধীনে আফগান বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেছে বলেও জানান তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। 

আমেরিকার নেতৃত্বে ন্যাটো সৈন্যরা আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া শুরু করলে সেখানে থাকা বিদেশী মিশনগুলোতে চাকরি করা বিদেশিরা, তাদের পরিবার এবং ত্রাণ সংস্থার কর্মীদের যাতায়াতের নিরাপত্তার জন্য তুরস্কের কাছ থেকে কাবুল এয়ারপোর্টের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিতে চাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। 

আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মার্কিন বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহারের আগেই আফগানিস্তানে টার্কিশ মিশন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন বাইডেন-এরদোগান। 

এদিকে ২০২০ সালের স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে আফগানিস্তান থেকে তুরস্কের সেনাদের প্রত্যাহার করা উচিত বলে জানিয়ে দিয়েছে তালেবান।  

মার্কিন ও ন্যাটো সেনারা আফগানিস্তান থেকে চলে যাওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনা করতে তুরস্ক যে প্রস্তাব দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে গোষ্ঠীটি।

দোহাভিত্তিক তালেবানের মুখপাত্র সুহেল শাহীন জানান, ২০ বছর ধরে তুরস্ক ন্যাটোর অংশ ছিল। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে তুরস্কের সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়তে হবে।

তিনি আরও বলেন, তুরস্ক একটি ইসলামী দেশ।  তুরস্কের সঙ্গে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে যখন আমরা নতুন ইসলামী সরকার গঠন করব তখন তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও ভালো সম্পর্কের প্রত্যাশা করি।

আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুই দশক ধরে যুদ্ধপীড়িত দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রেরসহ সকল বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের কথা রয়েছে। এরমধ্যে আফগানিস্তানের ব্যাপক অঞ্চল দখলে নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশি সেনা চলে গেলে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে নেবে।  

দক্ষিণ আফ্রিকায় যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ৪৫ জন নিহত

প্রকাশিত :  ০২:১৬, ২৯ মার্চ ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০২:১৯, ২৯ মার্চ ২০২৪

দক্ষিণ আফ্রিকায় যাত্রীবাহী একটি বাস সেতু থেকে গভীর খাদে পড়ে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় কেবল একটি মেয়ে শিশু বেঁচে গেছে। পরে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি বাস সেতু থেকে প্রায় ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পর পঁয়তাল্লিশ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অবশ্য এই ঘটনায় আট বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে একমাত্র জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিবিসি বলছে, উত্তর-পূর্ব লিম্পোপো প্রদেশে বাসটি একটি ব্যারিয়ারে ধাক্কা দেওয়ার পর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং পরে এটিতে আগুন ধরে যায়। যাত্রীরা সবাই ছিলেন তীর্থযাত্রী এবং তারা বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোন থেকে মোরিয়া শহরে ইস্টার সার্ভিসে যাচ্ছিলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার পাবলিক ব্রডকাস্টার এসএবিসি জানিয়েছে, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) উত্তরে মোকোপানে এবং মার্কেনের মধ্যে মামামতলাকালা পর্বত গিরিপথে একটি সেতু থেকে ছিটকে পড়ে।


উদ্ধার তৎপরতা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলেছে এবং ধ্বংসস্তূপের মধ্যে নিহত কয়েকজনের কাছে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।

পরিবহন মন্ত্রী সিন্দিসিওয়ে চিকুঙ্গা দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এবং পরে তিনি ‘মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা’ জানান। তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে পূর্ণ তদন্ত করবে।

তিনি আরও বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে আমাদের চিন্তাভাবনা এবং প্রার্থনা আপনার সাথে আছে। আমরা এই ইস্টার উইকএন্ডে আমাদের রাস্তায় আরও বেশি লোক থাকায় আরও বেশি সতর্কতার সাথে সবসময় দায়িত্বশীল ভাবে ড্রাইভিং করার জন্য অনুরোধ করছি।’

অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার খারাপ সড়ক নিরাপত্তার রেকর্ড রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।