img

লকডাউনে চালু থাকবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট

প্রকাশিত :  ০৮:৩০, ২৮ জুন ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১০:০৪, ২৮ জুন ২০২১

লকডাউনে চালু থাকবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট

জনমত ডেস্ক: মহামারি কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে আজ সোমবার (২৮ জুন) থেকে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে সীমিত পরিসরে লকডাউন। আগামী ১ জুলাই থেকে চলবে সর্বাত্মক লকডাউন। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটি চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস-মার্শাল এম মফিদুর রহমান।

গতকাল রবিবার দেশীয় এক ইংরেজি দৈনিককে তিনি জানান, লকডাউনে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চললেও অভ্যন্তরীণ রুটে চলবে কিনা সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আলোচনা চলছে।

সীমিত পরিসরে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু রাখার ব্যাপারে জোর দেন এই কর্মকর্তা।

এদিকে, আজ থেকে গণপরিবহন ও শপিংমল বন্ধ রেখে এবং অফিস-আদালতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়ে সীমিত পরিসরে চালু রাখা হয়েছে। অফিস যাতায়াত ও জরুরি প্রয়োজনে মানুষ ব্যবহার করছে ব্যক্তিগত যানবাহন। একই সঙ্গে ব্যবহৃত হচ্ছে অফিসের ব্যবস্থাপনায় পরিবহন।

রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে লকডাউন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতীত সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্গলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সব শপিংমল, মার্কেট, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধুমাত্র অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে।

সরকারি-বেসরকারি অফিস প্রতিষ্ঠানসমূহে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেওয়া করতে হবে। জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য আরও প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


img

চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল আইএমএফ

প্রকাশিত :  ১৯:১৪, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস আরও কিছুটা কমিয়ে আনল। সংস্থাটি বলেছে, চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছর দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। আজ মঙ্গলবার আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। 

চলতি অর্থবছরের জন্যএ নিয়ে  তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল আইএমএফ। গত অক্টোবরে সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ শতাংশ। এর আগে একই অর্থবছরের জন্য ৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল আইএমএফ। 

অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমতে পারে বলে আজ প্রকাশিত আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়। এসব কারণের মধ্যে উচ্চ হারের মূল্যস্ফীতির কথাও বলা হয়েছে। যদিও এই অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসবে বলে আশা করছে আইএমএফ। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছর গড় মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। গত অর্থবছরে যা ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। 

আইএমএফের আগে বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পক্ষ থেকে চলতি অর্থবছরের জিডিপির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো হয়েছ। ওই দুই সংস্থাও জিডিপির পূর্বাভাস কমিয়ে আনার পেছনে প্রায় একই ধরনের কারণ উল্লেখ করেছে। এর পাশাপাশি গ্যাস–বিদ্যুতের ঘাটতি, ব্যাংক ঋণে সুদহারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ও আর্থিক খাতের ভঙ্গুরতায় বিনিয়োগকারীদের আস্থায় চিড় ধরার  কথাও উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক। 

গত মাসে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট এপ্রিল–২০২৪’ প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে। অন্যদিকে গতকাল সোমবার প্রকাশিত এডিবির এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) এপ্রিল ২০২৪–প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে।