বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের উদ্যোগে প্রয়াত মতিন উদ্দিন আহমেদ স্মরণে দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত :  ১৫:১৮, ২৯ জুন ২০২১

বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের উদ্যোগে প্রয়াত মতিন উদ্দিন আহমেদ স্মরণে দোয়া মাহফিল

‘গরীবের ডাক্তার’ খ্যাত সিলেটের প্রবীন চিকিৎসক যুক্তরাজ্যবাসী সদ্য প্রয়াত ডাক্তার মতিন উদ্দিন আহমেদ স্মরণে যুক্তরাজ্যে একটি ভার্চুয়াল দোয়া মাহফিল ও শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে।

গত ২৭ জুন সোমবার বিকাল চারটায় সংগঠনের সভাপতি আবুল কাসেম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন দিলু‘র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও বাংলাদেশ থেকে বিশিষ্টজন ও সংগঠকবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।

ট্রাষ্টের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  এমরান আহমদ এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে মরহুম ডাক্তার মতিন উদ্দিন আহমেদ এর পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মরহুমের বড় ছেলে আইকন কলেজ অফ টেকনলোজি এন্ড ম্যানেজমেন্ট এর ল্যাকচারার ও কলামিষ্ট এনায়েত সারওয়ার। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করে দোয়া পরিচালনা করেন হাফিজ মাওলানা মনির উদ্দিন।

দ্বিতীয় পর্বে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট  শিল্পপতি, প্রবীন রাজনীতিবিদ, সংগঠক ও বিয়ানীবাজার ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব শামছ উদ্দিন খান।

তিনি বলেন, ডাক্তার মতিন উদ্দিন আহমেদকে আমরা ‘বিয়ানীবাজারী ডাক্তার’ হিসাবে জানতাম। তিনি এমনই একজন ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন যে, তিনি কোন গ্রাম, ইউনিয়ন বা অঞ্চলের সেটা জানার অবকাশই ছিলনা। তাঁর মৃত্যু বিয়ানীবাজারবাসীর জন্য এক অপুরণীয় ক্ষতি হলো। তিনি  বলেন, বিয়ানীবাজারের এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না যে, তার সান্নিধ্যে গেছেন আর তার আন্তরিক চিকিৎসা সেবা পাননি। গুণী এই মানুষের আদর্শকে সমাজে বাঁচিয়ে রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। 

মরহুম ডাক্তার মতিন উদ্দিন আহমদের পরিবারের পক্ষ থেকে  বক্তব্যে লন্ডনস্থ আইকন কলেজ অফ টেকনলোজি এন্ড ম্যানেজমেন্ট এর ল্যাকচারার এনায়েত সারওয়ার বলেন, আমাদের বাবা ছিলেন একজন সৎ মানুষ এবং আমাদেরকেও সবসময় বলেছেন সৎভাবে জীবন-যাপন করতে। তিনি সব সময় চেয়েছেন মানুষের সেবা করতে এবং মানুষের সেবা করতে তার নিরন্তর চেষ্টাও ছিল মন্তব্য করে এনায়েত সারওয়ার বলেন, আমরা খুব সাধারণ পরিবারের সন্তান। বাবা সব সময় বলতেন, ‘সব সময় মনে রাখিও তুমি গরীবের পোয়া।’ তিনি পরিবারে পক্ষ থেকে তার প্রয়াত বাবার পরকালীন শান্তি কামনা করে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, জননেতা লোকমান আহমদ বাংলাদেশ থেকে দোয়া ও শোক সভায় অংশ নিয়ে বলেন, ডাক্তার মতিন উদ্দিন আহমেদ একজন কিংবদন্তি ডাক্তার ছিলেন। তৎকালীন সময়ে তিনি বিয়ানীবাজার অঞ্চলের কয়েকজন এমবিবিএস পাশ করা ডাক্তারের মধ্যে ছিলেন। তার ডাক্তারী সেবা বিয়ানীবাজারে মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলনা। আশপাশের উপজেলাসহ সিলেটেও তার সেবাদান বিস্তৃত ছিল। বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও অধুনালুপ্ত দৈনিক আজকের সিলেট এর সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি লোকমান আহমদ ‘মতিন ডাক্তারের‘  অনুকরণীয়  জীবন ও কর্মকে বাঁচিয়ে  রাখতে একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশের প্রস্তাব দিয়ে বলেন, ডাক্তার মতিন উদ্দিন আহমদ স্মারক গ্রন্থ প্রকাশে আমার সর্বাত্মক চেষ্টা ও সহযোগিতা থাকবে।

বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত বিয়ানীবাজ্রা থানা জনকল্যাণ সমিতি সিলেটের সভাপতি ডাক্তার ফয়েজ   বলেন,  মানুষের বয়েস হলেও যে তার মৌলিকত্ব হারায় না। শেষ বয়সে বাংলাদেশে তার সান্নিধ্য পেয়ে উপলব্ধি করেছি। তিনি চিকিৎসক হিসাবে যেমন ছিলেন অনন্য তেমনি ব্যক্তি  হিসাবেও ছিলেন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। এই রকম অসাধারণ মানুষের জীবনকর্ম সকলের মাঝে তুলে ধরার আহ্বান জানান জানাচ্ছি।

মরহুমের জামাতা ম্যানচেস্টারবাসী ডাঃ নজরুল ইসলাম স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমি বহুবার দেখেছি, বিয়ানীবাজারস্থ তার ‘ডা: মতিন মেডিকেল চেম্বারে’ তিনি রোগী দেখে ঔষধ পর্যন্ত কিনে দিতেন। তিনি শুধু একজন ডাক্তার ছিলেন না, একজন স্যোসাল ওয়ার্কার হিসাবে কাজ করেছেন। এই সমাজে ডাক্তার মতিনের মতো মানবিক মানুষ খুব বেশী দরকার।

বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত হয়ে বলেন, উনাকে একজন মানবতাবাদী মানুষ হিসাবে আমরা পেয়েছি। তাঁর মহৎ কাজের মাধ্যমে তিনি বিয়ানীবাজারবাসীর মন জয় করে অমর হয়ে থাকবেন। চিকিৎসা সেবার এই দুর্দিনে তার নাম উজ্জ্বল হয়ে থাকবে বলেও আমি বিশ্বাস করি।

৫২বাংলা টিভি সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম অভি বলেন, তিনি ছিলেন গরীবের ডাক্তার। একজন ডাক্তার হিসাবে এই সম্মান গোটা বাংলাদেশে বিরল। আমরা যারা স্বাধীনতার উত্তর প্রজন্ম তাদের কাছে মতিন উদ্দিন আহমেদ এর জীবন দর্শন অনেক প্রেরনাদায়ী এবং অনুকরণীয়। তিনি বিয়ানীবাজারের অধিবাসী হলেও সেবা দিয়েছেন সার্বজনীনভাবে। যুক্তরাজ্যের ডাইভার্স কমিউনিটিতেও চিকিৎসা ও কমিউনিটির সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের স্মারক গ্রন্থ প্রকাশের উদ্যোগে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

মরহুম ডাক্তার মতিন উদ্দিন আহমদের আরেক পুত্র ওয়ারিংটন বারা কাউন্সিলের গ্রেট সানকী (সাউথ) এর কাউন্সিলার মোয়াজ্জেম হোসেইন পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিল ও শোক সভার আয়োজক বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে ও দেশ-বিদেশে সকলের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার বাবার বিদ্রেহী আতœার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া চেয়েছেন।  

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রবীন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব শরফ উদ্দিন, বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকের উপদেষ্টা মাহতাব চৌধুরী, সফিক আলী, ফয়জুল হক, মোহাম্মদ আব্দুল গনি, আবুল হোসেন, শ্রীধরা ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকের উপদেষ্টা আলহাজ্ব আব্দুস শফিক, বাজিদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমান খান, প্রফেসর মোহাম্মদ মালিক, বিয়ানীবাজার থানা জনকল্যান সমিতি ইউকের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ, সাবেক ছাত্রনেতা ইসলাম উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা আফসার খান সাদেক, বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্টের নির্বাহী সদস্য বদরুল হক, সহ সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম মোজাহিদ, ওয়েস্ট লন্ডন আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিছবাহ রহমান, বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন টিপু, কোষাধ্যক্ষ ইফতেখার আহমদ শিপন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ফ্রান্স শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসেন, মোঃ রুহুল আমিন প্রমুখ।

এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মনোজ্জির আলী, বাংলাদেশ সেন্টারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহিবুব রহমান মুহিব, বিয়ানীবাজার ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালের সিইও সাব উদ্দিন, বিয়ানীবাজার থানা জনকল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা শাহাব উদ্দিন চঞ্চল, বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকের সভাপতি আব্দুল করিম নাজিম, বিয়ানীবাজার পৌরসভা ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্টের উপদেষ্টা আব্দুল মতিন খান কবির, হারুনুর রশিদ দুদু, আনোয়ার আহমদ মুরাদ, বিয়ানীবাজার থানা জনকল্যাণ সমিতি সিলেটের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জুবায়ের খান, প্রচার সম্পাদক সুলেমান আহমদ, বিয়ানীবাজার থানা জনকল্যাণ সমিতি ইউকের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি সারওয়ার আহমদ, নোমান আহমদ, ট্রাষ্টের মেম্বারশীপ সেক্রেটারী আহমেদ শরীফ, ক্রীড়া সম্পাদক সেলিম উদ্দিন অপু, দিলাল আহমদ, সাদিক আহমদ, রাজু আহমদ মুন্না, সেলিম আহমদ, অজি উদ্দিন, মারুফ আহমদ, তারিন আহমদ, আসাদ মোহাম্মদ, সাব্বির আহমদ, আব্দুল কাবির, মোঃ সাইদ ইমরান, আবুল হোসেন আলম, মোঃ এবাদুর রহমান, আবিদুর রহমান শিমু, সৌরভ আহমদ, জয়নুল ইসলাম, আসাদুর রহমান রিপন, আব্দুল কাহার, মামুনুর রশিদ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত গত ২১ জুন সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিলেটের বালুচরস্থ তার নিজ বাসায় ডাক্তার মতিন উদ্দিন আহমদ ইন্তেকাল করেন। ২২ জুন, মঙ্গলবার বিয়ানীবাজার পৌরসভার কসবা  জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে বাদ যোহর জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

ডাক্তার মতিন উদ্দিন আহমেদ এর জন্ম সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভার কসবা গ্রামে। তিনি সিলেট মেডিক্যাল কলেজ থেকে এল এম এফ এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। ইউনিভার্সিটি অব লিভারপুল ইউকে থেকে ডিভিডি এবং লন্ডন থেকে ডিপিএম ডিগ্রি অর্জন করেন।

ডাক্তার মতিন উদ্দিন আহমেদ এর কর্মজীবন শুরু ১৯৫৫ সালে ফরিদপুরে। ১৯৫৬-১৯৭০ পর্যন্ত তাঁর  জন্মস্থান বিয়ানীবাজার উপজেলা সদরে সুনামে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। যুক্তরাজ্যের ওয়ারিংটনের ইউনইউক সাইকিট্রিক হসপিটালে সালে তাঁর কর্ম জীবন শুরু এবং ১৯৯৪ সালে অবসর গ্রহন করেন।

তিনি চাকুরীর পাশাপাশি তাঁর এলাকায় ব্যাপক মানুষের চিকিৎসা সেবা দেন। পরে যুক্তরাজ্যবাসী অবস্থায়  ব্রিটেন থেকে ছুটিতে গিয়েও তিনি এলাকার মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতেন। বিয়ানীবাজার অঞ্চলে তৃণমূল মানুষের কাছে ‘গরীবের ডাক্তার‘ হিসাবে তিনি  পরিচিত ছিলেন।

\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n

মরহুম ডাক্তার মতিন উদ্দিন আহমেদ স্ত্রী, ৬ ছেলে, ১ মেয়ে সহ অসংখ্য স্বজন, শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।

কমিউনিটি এর আরও খবর

গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ও ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত :  ০৪:৪৯, ২৮ মার্চ ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৩২, ২৮ মার্চ ২০২৪

গ্রেটার সিলেট ডেভেলাপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইন ইউকের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল গত ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়।

পূর্ব লন্ডনের লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমির হল রুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারপার্সন ব্যারিস্টার আতাউর রহমান। সাধারন সম্পাদক খছরু খানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল এস টেলেভিশনের ফাউন্ডার মাহি ফেরদৌস জলিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন এন্টার প্রাইজ একাডেমির প্রিন্সিপাল আশিদ আলী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জিএসসি সাউথ ইস্ট রিজিওনের চেয়ারপার্সন এম এ আজিজ, সাবেক কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী মির্জা আছহাব বেগ,সাউথ ওয়েস্ট রিজিওনের চেয়ারপার্সন সৈয়দ আখলাকুল আম্বিয়া রাবেল, জিএসসি ইস্ট মিডল্যান্ড রিজিওনের সেক্রেটারী ফিরোজ খান, কাউন্সিলর সৈয়দা লাভলী চৌধুরী, জিএসসি সাউথ ইস্ট রিজিওনের সাবেক চেয়ারপার্সন আরজু মিয়া এমবিই প্রমুখ। 

সভায় বক্তারা স্বাধীনতা আন্দোলনে নিহত বীর সেনাদের স্মরণ করেন, এবং লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুনাম অক্ষুন্ন রাখার আহবান জানান। বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অবদান তুলে ধরে বলেন, “দেশের স্বাধীনতার জন্য একাত্তরে আমাদের প্রবাসীরা আর্থিক সাহায্য দিয়ে, বিশ্ব জনমত গঠনে প্রবাসে মিছিল মিটিং করে বিজয় নিশ্চিত করতে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন।” সভায় বক্তারা গাজায় ইসরায়েলি হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অনতিবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির আহবান জানান। 

ইফতার মাহফিলে স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহতদের আত্মার শান্তি এবং বিশ্ব শান্তি কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন বায়তুল আমান জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মালিক।


কমিউনিটি এর আরও খবর