জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই গ্রেফতার

প্রকাশিত :  ০৮:৩২, ৩০ জুন ২০২১

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই গ্রেফতার

জনমত ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হচ্ছে। এ সময় অনুমোদিত কারণের বাইরে কেউ রাস্তায় বের হলে গ্রেফতার করা হবে। 

বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কমিশনার শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সঙ্গত কারণ ছাড়া অকারণে কেউ যদি ঘর থেকে বের হয়, তবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হবে। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারায় মামলা দিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হবে। আবার আদালতে না পাঠিয়ে মোবাইল কোর্ট দিয়ে তাদের তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

এই ধারায় সর্বোচ্চ ৬ মাসের জেল, অর্থদণ্ড ও উভয় দণ্ড হতে পারে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।

বুধবার সকালে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কঠোর এই বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনীও।

জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা বন্ধের বিষয়ে সরকার বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সময়ে জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী কর্মরতরা ছাড়া এবং জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে কেউ বের হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়।

গাজীপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে ২ জন নিহত

প্রকাশিত :  ০২:২৮, ২৯ মার্চ ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০২:২৯, ২৯ মার্চ ২০২৪

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় গরু চুরি সন্দেহে গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামের চান মিয়ার বাড়িতে একজন ও একই ইউনিয়নের বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেত অপর একজন নিহত হন। কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ২টার দিকে কাপাসিয়া থানাধীন সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে মো. চান মিয়ার বাড়িতে কিছু লোক গরু চুরির উদ্দেশে প্রবেশ করেন। এ সময় চান মিয়া গরু চুরির বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাডাকি করে এলাকাবাসীকে জড়ো করেন। এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে একজনকে ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। অন্যজনকে স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে পার্শ্ববর্তী বড়িবাড়ি গ্রামে ধানক্ষেতের আড়ালে লুকান। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে ধানক্ষেতের আড়াল থেকে খুঁজে বের করে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তিনিও নিহত হন।

সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ জানান, গরু চুরিরোধে এলাকায় গ্রামবাসী পাহারা বসিয়েছিল। শুক্রবার রাতে গাড়িতে করে একটি কৃষকের গরু চুরি করতে কয়েকজন আসেন। গ্রামবাসী গরু চুরির বিষয়টি টের পেয়ে একজোট হয়ে দুইজনকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নামিলা গ্রামে একজন ও পাশ্ববর্তী বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেতে আরেকজন নিহত হন।

তিনি বলেন, আরও চার-পাঁচজন গরু চোর এখনো এলাকায় আছে, গ্রামবাসী তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

কাপাসিয়া থানার ডিউটি অফিসার আরিফ হোসেন বলেন, রাত ২টার দিকে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে ও বড়িবাড়ি গ্রামে গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। 

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর মিয়া বলেন, গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।