img

যে পদ্ধতিতে কফি খেলে দাঁতে দাগ হবে না

প্রকাশিত :  ১৭:২৭, ০৩ জুলাই ২০২১

যে পদ্ধতিতে কফি খেলে দাঁতে দাগ হবে না

মহামারিকালে ঘরবন্দি জীবনে মানুষের চা-কফি পান বেড়েছে।  বেশি বেশি চা-কফি পান করে অনেকে দাঁতে দাগ করে ফেলেছেন।  অনেকের দাঁতে ব্যথাসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে।  

সঠিক উপায়ে চা-কফি পান করলে দাঁতে দাগ হবে না।  সুস্থ জীবনযাপন করা যাবে। চা-কফি পান করার সময় কিছু নিয়মনীতি মেনে চললে দাঁতের এনামেলের ওপর দাগ পড়বে না।   

অল্প অল্প করে অনেক সময় লাগিয়ে কফি পান করার পরিবর্তে এক বসায় ১০ মিনিটের মধ্যে কফি পান শেষ করুন।  কিন্তু তাই বলে এক ঘণ্টা সময় নেওয়া কোনো অবস্থাতেই ঠিক হবে না।  

চা-কফি পান শেষ হয়ে গেলে এক গ্লাস পানি দিয়ে মুখের অভ্যন্তরে ভালোভাবে কুলকুচি করবেন।  আর আপনি যদি কোনো অনুষ্ঠানে থাকেন, তা হলে মিনারেল ওয়াটারের বোতল থেকে একটু পানি মুখে নিয়ে নাড়াচাড়া করে তা খেয়ে ফেলুন।  এতে করে কফি পান করার কারণে দাঁতের এনামেলের ওপর কোনো দাগ পড়বে না।  

আপনি যদি আইস কফি বা কোল্ড কফি পান করতে পছন্দ করেন, তা হলে অবশ্যই একটি উন্নত মানের স্ট্র বা পাইপ দিয়ে কফি পান করুন।  এতে দাঁতের এনামেলের ওপর কফির দাগের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।  

লক্ষ্য রাখবেন— আইস কফি পান করার সময় কোনোভাবেই আইস বা বরফ খণ্ড কামড়াবেন না।  যদি এ রকম করেন, তা হলে আপনার দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ধীরে ধীরে দাঁতের এনামেলে ফাটল দেখা দিতে পারে।  তবে এটি একদিনে না-ও হতে পারে।  

হট কফি বা কোল্ড কফি পান করার পর যদি ব্রাশ করার সুবিধা থাকে; অর্থাৎ আপনি যদি বাসায় বা অফিসে নিজস্ব রুমে অবস্থান করেন, তা হলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করে নেবেন। এতে করে কফির কারণে দাঁতের এনামেলে কোনো ধরনের দাগ পড়বে না। 

ফল ও শাকসবজি খাবেন।  ফলের মধ্যে মাল্টা, আপেল, কমলা, নাসপাতি, জাম্বুরা, আমড়া খেতে পারেন।  

আপনার দাঁত যদি অতি সংবেদনশীল হয়; অর্থাৎ দাঁত শিরশির করে তা হলে এনামেলের ওপর দাগ এবং সংবেদনশীলতার চিকিৎসা একসঙ্গে করাতে হবে।  আলাদাভাবে তেমন কোনো খরচ হবে না।  

কুলকুচি করা, দাঁত ব্রাশ করা এবং নিয়মকানুন অনুসরণের মাধ্যমে অবশ্যই আপনার দাঁতের এনামেলের ওপর কফির দাগ ধীরে ধীরে চলে যাবে।  

তবে যারা কফি পান করেন আমি তাদের কফি পান করতে নিষেধ করব না।  এটুকু বলব— অতিরিক্ত কফি পান করবেন না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণকালীন মাশরুম কফি পান করতে পারেন।  বিশ্বের নামিদামি ব্র্যান্ডের মধ্যে গ্যানোকফি থ্রি ইন ওয়ান পান করলে আপনি অনেক ধরনের উপকার পাবেন।

img

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের সম্পর্ক

প্রকাশিত :  ১৩:৪৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক। প্রতি রাতে যারা ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্যা ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে জামা নেটওয়ার্ক ওপেন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের বরাতে বলা হয়েছে, যারা প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম সময় ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৬ শতাংশ। এই ক্ষতি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেও পূরণ করা যাবে না।

যুক্তরাজ্যের প্রায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের উপর গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতে সাত ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের তুলনায় যারা তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুমান তাদের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা ৪১ শতাংশ বেশি। যুক্তরাজ্যে আনুমানিক ৪.৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ১৩.৬ মিলিয়ন মানুষ তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইপ-টু ডায়াবেটিস শরীরের চিনি বা গ্লুকোজ প্রক্রিয়ার ক্ষমতায়কে প্রভাবিত করে এবং শরীরে ইনসুলিন শোষণে বাধা দেয়; যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। সময়ের সাথে সাথে এটি গুরুতর শারীরিক ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে স্নায়ু এবং রক্তনালির।

 যুক্তরাজ্যের বায়োব্যাঙ্কে সংরক্ষিত ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুসের চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার ১২ বছরের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়েছে।

এতে গবেষকরা দেখেছেন, যারা স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, সপ্তাহে দুইবারের কম লাল মাংস, প্রতিদিন চার চামচের বেশি শাকসবজি, প্রতিদিন দুই বা তিন টুকরার বেশি ফল গ্রহণ করেন এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাছ খান, এমন ৭,৯০৫ জনের টাইপ-টু ডায়াবেটিস দেখা দিয়েছে।

সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষক ক্রিশ্চিয়ান বেনেডিক্ট বলেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস মেনে চলা ব্যক্তিদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ২৫ শতাংশ কম এবং যারা এই খাদ্যাভাস মেনে চলেছেন কিন্তু ৬ ঘণ্টার কম ঘুমিয়েছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা বেশি।