img

ছাতকে ওসি-এসআইসহ ৬ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে নদীতে নিক্ষেপ

প্রকাশিত :  ১৩:১৪, ০৫ জুলাই ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:২৬, ০৫ জুলাই ২০২১

ছাতকে ওসি-এসআইসহ ৬ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে নদীতে নিক্ষেপ

জনমত ডেস্ক:অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১১টি মোবাইল, ৪টি হাতকড়া, জব্দকৃত মালামাল ও নৌ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল লুটপাটের পর মারধর করে নৌপুলিশের ওসি-এসআইসহ ৬ পুলিশ সদস্যকে চেলা নদীতে ফেলে দিয়েছে বালু উত্তোলনের ইজারাদাররা। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের সামনে চেলা নদীতে হামলার এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মজুর আলম, এসআই হাবিবুর রহমান, এএসআই সবুজ হোসেন, কনস্টেবল সাব্বির আহমদ, শাহ জামাল ও সৌরভ কুমার দেব।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যান্ত্রিক মেশিন দিয়ে চেলা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ বোমা মেশিন আটক করে নৌ পুলিশ। আটককৃত মালামাল জব্দকৃত মালের সিজারলিস করায় সময় ইজারাদার হাজী বুলবুল ও আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে নৌ পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১১টি মোবাইল ফোন, ৪টি হাতকড়া জব্দকৃত মালামাল ও নৌ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল লুটপাট করে নিয়েছেন বলে নৌ পুলিশ অভিযোগ করেন।

তারা হামলা চালিয়ে নৌ পুলিশের ওসি মজুর আলমসহ ৬ নৌপুলিশকে মারপিট করে ও নৌকা থেকে সুরমা নদীতে ফেলে দেয় ইজারাদাররা। ওসি মজুর আলমসহ ৬ জনকে চেলা নদী থেকে আহত অবস্থায় জনতা উদ্ধার করে নিয়ামতপুর গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য আনা মিয়ার বাড়িতে নিয়ে তাদেরকে ইজারাদারদের হাত থেকে রক্ষা করেন। পরে তাদেরকে এলাকাবাসীর সহায়তায় ছাতক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে ইজারাদারদের সঙ্গে একাধিক মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তটি চলছে।

এ ঘটনার খবর পেয়ে নৌ পুলিশ এসপি চম্পা ইয়ামিন আহতদের দেখতে ছাতক হাসপাতালে আসেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, অপরাধী যে হোক তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে।

এ হামলার ঘটনার খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম আহতদের দেখতে আসেন। এ সময় হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং লুটকৃত মালমাল উদ্ধারের নির্দেশ দেন। পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

img

বানিয়াচংয়ে ৩ জন নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

প্রকাশিত :  ১০:২৯, ১৩ মে ২০২৪

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ১৩নং মন্দরি ইউনিয়নের আগুয়া গ্রামে সিএনজি স্ট্যান্ড নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বদরুল আলম ওরফে বদিকে আটক করেছে বানিয়াচং থানা পুলিশ। সে ওই গ্রামের মৃত হিরা মিয়ার পুত্র।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তার শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার নুরপুর গ্রামের একটি পুকুরপাড়ের  তার এক আত্নীয়র বাড়ি থেকে বদিকে আটক করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে,বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন,তদন্ত ওসি আবু হানিফের নেতৃত্ব থানার প্রায় ২৫ জন পুলিশ অভিযানে অংশ নেন। অভিযানে সহায়তা করেন নাসিরনগর থানা পুলিশের একটি দল।

পলাশ রঞ্জন দে বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, গোপন সংবাদ ও তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আমরা নাসিরনগর থানা পুলিশের সহায়তায় আসামী বদরুল আলম ওরফে বদিকে আমরা আটক করি। যেহেতু এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি তাকে ১৫৪ ধারায় আটক দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় মামলা রয়েছে।

তিনি আরো জানান, হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্য অভিযুক্তদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের সনাক্ত করা হবে। তবে ট্রিপল হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার  সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার) পিপিএম। শুক্রবার বিকেলে পরিদর্শনে যান তিনি। ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার ) পিপিএম এসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন এবং দ্রুত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারদের নির্দেশনা প্রদান করেন ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার) পিপিএম। 

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলার ১৩নং মন্দরি ইউনিয়নের আগুয়া বাজারে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হন। নিহতরা হলেন-আগুয়া গ্রামের শুকুর মিয়ার পুত্র আব্দুল কাদির (২৫),বজলু মিয়ার পুত্র সিরাজ মিয়া (৫০) ও আলীরাজ মিয়ার পুত্র লিলু মিয়া (৪০)। এ ঘটনায় আহত হন উভয়পক্ষের প্রায় শতাধিক লোক।

সিলেটের খবর এর আরও খবর