img

স্পেনে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশনের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

প্রকাশিত :  ১২:০২, ০৬ জুলাই ২০২১

স্পেনে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশনের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

স্পেনে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশনের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও পূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৪ জুলাই (রবিবার) পর্যটন নগরী বার্সেলোনায় আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পেনে নবনিযুক্ত বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার এই প্রথম বার্সেলোনা সফরের সময় তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বার্সেলোনা প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সুন্দর কর্মকান্ড পরিচালনা করে দেশের মান অক্ষুন্ন রাখারও আহবান জানান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি এবং আমার দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ আপনাদের জন্যে স্বল্প সময়ের জন্য কর্মযজ্ঞ করতে এসেছি এবং সময় শেষ হলে চলেও যাব। আমরা রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি কিন্তু আপনারা প্রবাসীরা এখানে বাংলাদেশের সত্যিকারের স্থায়ী প্রতিনিধি।’

শহরের স্থানীয় একটি হলরুমে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশন স্পেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা এবং সংগঠনের সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে পুনির্মলনী অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বার্সেলোনায় নিযুক্ত অনারারি কাউন্সিলর রামন পেদ্রো বেরনাউস, ফাউন্ডেশনের সিনিয়র উপদেষ্টা নূরে জামাল খোকন, ফাউন্ডেশনের সভাপতি খাদিজা আক্তার মনিকা এবং সাধারণ সম্পাদক নূরে আমীন টোকন।

ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদিকা মাসুদা পারভিন মুন্নির সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং নাসরিফা হক ও ফারহানা আলম শিমুলের যৌথ উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মনজুরুল হাসান শুভ শুরুতে সংগঠনের লিখিত কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা নাচ, গান এবং কৌতুক পরিবেশন করেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের হেড অব চেন্সেরি এটিএম আব্দুর রউফ মন্ডল, ফার্স্ট সেক্রেটারি (লেবার উইং) মো. মোতাসিমুল ইসলামসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

অনুষ্ঠানে কুইজের মাধ্যমে তিন জন বিজয়ীকে পুরষ্কৃত করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানশেষে উপস্থিত অতিথিবৃন্দের জন্যে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৯, ১৩ মে ২০২৪

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার সব চেষ্টার মধ্যেও গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। এর আগের মাসে অর্থাৎ, মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে, গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ দিকে গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ


কমিউনিটি এর আরও খবর