img

প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাই কমিশনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদানের দাবিতে লন্ডনে সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত :  ১৭:১৯, ০৬ জুলাই ২০২১

প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাই কমিশনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদানের দাবিতে লন্ডনে সভা অনুষ্ঠিত

ব্রিটেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশী ও তাদের সন্তানদের বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে ন্যাশনেল আই ডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদানের দাবীতে প্রবাসী বাংলাদেশী ভোটাধিকার আন্দোলন ইউকের উদ্যোগে গত ৫ই জুলাই সোমবার কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের এক জরুরী সভা পূর্ব লণ্ডনের ভ্যালেন্স রোডস্থ কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হয় ।

সংগঠণের আহ্বায়ক কে এম আবুতাহের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক খান জামাল মো: নুরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন ,গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের কেন্দ্রীয় চেয়ারপারসন ব্যারিষ্টার আতাউর রহমান ,বিশিষ্ট আইনজীবি কাউন্সিলার ব্যারিষ্টার নাজির আহমদ ,বাংলা পোস্ট পত্রিকার চেয়ারম্যান শেখ মো: মফিজুর রহমান ,এইড এণ্ড কেয়ার ট্রাস্টের ফাউণ্ডার চেয়ারম্যান কলামিষ্ট মাওলানা আব্দুল মালিক, কমিউনিটি ও বাসদ নেতা গয়াছুর রহমান গয়াছ, গ্রেটার নোয়াখালী এসোসিয়েশন ইউকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও লেখক ড: এম এ আজিজ ,ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশীজ এর ডাইরেক্টর অধ্যাপক আব্দুল কাদের সালেহ, ইন্টারন্যাশনাল সোশিয়েল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যন আফসর মিয়া ছুটু, কবি ফররুখ ফাউণ্ডেশনের চেয়ারম্যান রফিক আহমদ রফিক, ভয়েস ফর জাস্টিস ইউকের নেতা আলহাজ্ব নুর বকশ, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল সাউথ ইষ্ট রিজিয়নের ট্রেজারার সুফী সোহেল আহমদ, ইষ্ট লণ্ডন শাখার সেক্রেটারী আব্দুল মালিক কুটি, জগন্নাথপুর উপজেলা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান হাজী ফারুক মিয়া, রেনেসাঁ সাহিত্য মজলিসের সেক্রেটারী কবি শিহাবুজ্জামান কামাল প্রমুখ ।

সভায় বক্তারা -বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে অনতিবিলম্বে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশীদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তরভূক্তি ও জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদানের আহ্বান জানান ।পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে সর্ব প্রথম যুক্তরাজ্য থেকে এই স্মার্ট কার্ড প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান ।তারা বলেন – প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা প্রায় দুই বছর আগে লণ্ডনে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে জাতীয় পরিচয় পত্রের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরুর ওয়াদা করেছিলেন ।কিন্তু আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি ।

আইডি কার্ড ইস্যুর আগ পর্যন্ত প্রবাসীদের পাসপোর্টকে সর্ব ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য আইডি হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে ।

বক্তারা আরো বলেন যে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আইডি কার্ড না থাকায় দেশে গিয়ে হয়রানীর শিকার হন । ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন ,মোবাইলের সিম ক্রয় ,জায়গা জমি বেচা কেনা ,বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ, বিমানের টিকেট ক্রয় থেকে শুরু করে ১২১টি সেবা গ্রহণ থেকে বন্চিত হন । ভারত ,পাকিস্তান সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের ন্যাশনেল আইডি কার্ড থাকলেও প্রবাসী বাংলাদেশীদের নেই ।

সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে -বৃটেনের প্রতিটি শহর সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আন্দোলন গড়ে তোলা, আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ,পররাষ্ট্র মন্ত্রী, লণ্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে স্মারকলিপি প্রেরণ ও দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখা ।প্রেস বিজ্ঞপ্তি

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৯, ১৩ মে ২০২৪

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার সব চেষ্টার মধ্যেও গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। এর আগের মাসে অর্থাৎ, মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে, গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ দিকে গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ


কমিউনিটি এর আরও খবর