img

আগুনে মৃত্যুর দায় এড়াতে পারে না সরকার: ফখরুল

প্রকাশিত :  ০৮:২৭, ১০ জুলাই ২০২১

আগুনে মৃত্যুর দায় এড়াতে পারে না সরকার: ফখরুল

জনমত ডেস্ক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সরকার একদিকে লকডাউন ঘোষণা করেছে, অন্যদিকে মিল-কল কারখানা চালু রেখেছে। লকডাউন নিয়ে সরকারের দ্বৈত-নীতির কারণে নারায়ণগঞ্জের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে এসে অগ্নিকাণ্ডে নির্মমভাবে জীবন দিতে হলো খেটে খাওয়া শ্রমিক-কর্মচারীদেরকে। মর্মান্তিক এসব মৃত্যুর দায় সরকার এড়াতে পারে না।’

শুক্রবার (৯ জুন) হাসেম ফুডস কারাখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বহু শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে মিল-কলকারখানা, বাসা, বাড়ী, হোটেল, রেঁস্তোরা, মার্কেট, অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে একের পর এক অগ্নিকাণ্ড, গ্যাস বিস্ম্ফোরণসহ নানা দূর্ঘটনা ঘটেই চলছে। এতে প্রাণ যাচ্ছে নিরীহ মানুষের। এসব দূর্ঘটনা রোধে সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না ‘

ফখরুল বলেন,  ‘সঠিক তদন্ত করে অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটন, নিহত-আহতদেরকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান, এ ধরণের দূর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিরাপদ কর্মক্ষেত্র ও শ্রমিক-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাই।’

তিনি অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানান।


img

এক বন্ধুকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না : সেনাপ্রধান

প্রকাশিত :  ১৪:৪৮, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:০৫, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এক বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) আয়োজিত প্রতিরক্ষা কূটনীতিবিষয়ক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। 

এ সময় সেনাপ্রধান বলেছেন, মিয়ানমারের নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। কিন্তু আপনারা জানেন, মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়ার মতো। কারণ, সব দেশই আমাদের বন্ধু। কাজেই একটি বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না। এই বাস্তবতা আমাদের বিবেচনায় রাখতে হয়।

তিনি আরও বলেন, দেশের স্বার্থ ও কৌশলের জন্য সামরিক কৌশল দরকার এবং এটির মাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের অবস্থান ঠিক করি। বিচ্ছিন্নভাবে এটি অর্জন করার সুযোগ নেই। মাঝেমধ্যে আমাদের তাই ভাবনা আসে, কে নেতৃত্ব দেবে বা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে। এটি কখনো কখনো সমস্যার তৈরি করে।

এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রিমিয়াম টিম বলে মনে করা হয়। জাতিসংঘের যেকোনো শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ এখন আলাদা সম্মানের জায়গা দখল করে আছে। 

শান্তিরক্ষা মিশনে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে যখন মধ্য আফ্রিকায় মিশনে গেলাম, তার এক মাস পর অর্থাৎ অক্টোবরে বড় রকমের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলাম। শুধু আমার গাড়ি বুলেট প্রুফ হওয়ার কারণে সেদিন জানে বেঁচে ফিরতে পেরেছি। সেদিন আমার আশেপাশের অনেক সৈন্য আহত হয়েছিল। এভাবেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জীবন বাজি রেখে শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করে দেশের জন্য সুনাম কুড়িয়ে এনেছে।

সেনাপ্রধান বলেন, অনেক বিষয় আছে, যেটি আমরা শুরু করেছিলাম কিন্তু শেষ করতে পারিনি। কারণ, পরবর্তীতে সেটি আমাদের হাতে থাকেনি। যখনই আমি ব্যবসা খাতের জন্য একটি সম্ভাবনা খুঁজে বের করলাম, সেটি পরবর্তীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চলে যায়। কাজেই এখানে যে প্রস্তাব এসেছে, সেটি আমি সমর্থন করি এবং মনে করি, একটি সংস্থা দরকার, যেটি সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করবে যার মাধ্যমে যেটি অর্জন করা হয়েছে, সেটি হারিয়ে যাবে না এবং এর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম ঠিক করবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসের চেয়ারম্যান এ এফ এম গাওসোল আযম সরকার এবং স্বাগত বক্তব্য দেন বিস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবু বকর সিদ্দিক খান। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।