img

কোভিডে বিশ্বে বিমান ভ্রমণ চাহিদা ৬৩ শতাংশ হ্রাস

প্রকাশিত :  ১০:৫১, ১০ জুলাই ২০২১

কোভিডে বিশ্বে বিমান ভ্রমণ চাহিদা ৬৩ শতাংশ হ্রাস

জনমত ডেস্ক: ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এ্যাসোসিয়েশন এ তথ্য দিয়ে বলেছে গত মে মাসের সঙ্গে গত বছরের একই মাসের সঙ্গে তুলনা করে এ হিসেব পাওয়া গেছে। তবে গত বছরের এপ্রিলের চাইতে এ বছর এপ্রিলে পরিস্থিতির আড়াই শতাংশ উন্নতি হয়েছে। এয়ারলাইন্স শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন বিভিন্ন দেশে অভ্যন্তরীণ বিমান যোগাযোগও বন্ধ থাকায় এ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি। গত মে মাসের তুলনায় এবছর একই সময়ে আন্তর্জাতিক বিমান যাত্রীর চাহিদা কম ছিল ৮৫.১ শতাংশ কম। আর অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলে যাত্রী চাহিদা কম ছিল ২৩.৯ শতাংশ। আরটি/ডেইলি মেইল

আবার চাহিদা থাকলেও আমেরিকান এয়ারলাইন্স শত শত ফ্লাইট বাতিল করেছে। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক উইলি ওয়ালশ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন কিছু ইতিবাচক উন্নতি দেখা যাচ্ছে। কারণ টিকাদান কর্মসূচি এগিয়ে যাওয়ায় ছুটিতে অনেকে বিদেশে যেতে চাচ্ছেন। বিশেষ করে চীন ও রুশ এয়ার ট্রাফিক ধারাবাহিকভাবে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে ভারত ও জাপান এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আসে কোভিড সংক্রমণ ব্যাপক বিস্তারের কারণে। উইলি ওয়ালশ বিভিন্ন দেশগুলো টিকা দান কর্মসূচির বাস্তবায়নের পাশাপাশি এয়ারলাইন্সগুলোকে সহায়তা করলে এ শিল্প পুনরুদ্ধারে তা সহায়ক হবে। ওয়ালশ আরো জানান কোভিড টেস্ট বা টিকা দানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। এরফলে বিমান যাত্রীদের মনেও শঙ্কা পুরোপুরি কাটেনি। এখনো অনেক দেশের সরকার সীমান্ত খুলে দেয়নি বা বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনও প্রত্যাহার করে নেয়নি। বিশে^র বড় বড় ওষুধ কোম্পানিগুলো পরামর্শ দিয়ে বলেছে টিকা দেওয়ার পর বিমান ভ্রমণ কম ঝুঁকিপূর্ণ।

ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এ্যাসোসিয়েশন বলছে গ্লোবাল এয়ার কার্গো বাজারের উল্লেখযোগ্য পরিমানে উন্নতি হয়েছে। ২০১৯ সালের মে মাসের তুলনায় গত মে মাসে তা ৯.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ব্রিটেনে টিকাদান কর্মসূচি প্রায় শেষ পর্যায়ে থাকায় ইজি জেট এয়ারলাইন্সে টিকিট বুকিং বৃদ্ধি পেয়েছে ৪শ শতাংশ। যারা টিকিট বুকিং দিচ্ছেন তারা সবাই দুটি ডোজ কোভিড টিকা দিয়েছেন। এধরনের দুটি টিকা গ্রহণকারীদের আর আইসোলেশনে থাকার কোনো মানে নেই এবং তারা নির্দিষ্ট তালিকাভুক্ত দেশগুলোতে এখন ভ্রমণ করতে পারবেন। এধরনের তালিকাভুক্ত দেশে কোয়ারেন্টাইনমুক্ত ভ্রমণের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। যদিও ব্রিটেনের যোগাযোগমন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস সতর্ক করে বলেছেন বিভিন্ন দেশের তালিকাভুক্ত ১৪৭টি গন্তব্যে দুটি ডোজ টিকা দেওয়ার পর ব্রিটিশ নাগরিকরা যেতে যেভাবে এয়ার টিকিট বুকিং দিচ্ছে তা ভয়ানক।

img

ভরিতে ২০৬৫ টাকা বেড়ে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

প্রকাশিত :  ১৫:৫৫, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:০৫, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দশ দিনের ব্যবধানে ফের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতি ভরিতে বেড়েছে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৫ টাকা। ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। দেশের বাজারে এটাই সোনার সর্বোচ্চ দাম। এর আগে সবশেষ দাম ছিল ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা। ভালো মানের সোনার দাম বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম। সনাতন পদ্ধতির সোনার নতুন দাম হবে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা যা এতদিন ছিল ৮০  হাজার ১৯০ টাকা।

এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

এর আগে গত ৮ এপ্রিল সোনার দাম ক‌মি‌য়ে‌ছিল বাজুস। যা ওইদিনই বিকেলে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী আজ ৭টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৮০  হাজার ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়।