img

হবিগঞ্জে ২২ মন ওজনের বাদশার দাম হাঁকা হয় ১০ লাখ

প্রকাশিত :  ১৩:৫১, ১২ জুলাই ২০২১

হবিগঞ্জে ২২ মন ওজনের বাদশার দাম হাঁকা হয় ১০ লাখ

জনমত ডেস্ক: হবিগঞ্জে ২২ মন ওজনের বাদশার দাম হাঁকা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। নিখুঁত কালো এ বাদশাই এ বছর জেলার কোরবানির পশুর হাট মাতাবে বলে আশা করছেন এর মালিক।

বাড়ির আঙ্গিনার জমি ফলানো ঘাস, খৈল, ভুষি আর ধানের কুড়া খাইয়ে লালন করা এ ষাঁড়টি এখন এলাকার মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

জানা গেছে, জেলার বানিয়াচং উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের আতুকুড়া করিমনগর গ্রামের কৃষক আজিজুল মিয়ার বাড়ির দেশীয় একটি গাভী প্রায় আড়াই বছর পূর্বে একটি ষাঁড় বাচ্চা জন্ম দেয়। জন্মের পরই এর নাম রাখা হয় বাদশা। প্রথম থেকেই মায়ের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবে এটিকে লালন পালন শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি বাড়ির আঙ্গিনার জমিতে উৎপাদিত ঘাস, খৈল, ভুষি, ধানের কুড়া খাওয়ান। এগুলো খেয়েই বাদশা বেড়ে উঠে।

কৃষক আজিজুল মিয়ার লালিত এ বাদশা বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ মাঠে প্রাণিসম্পদ বিভাগ আয়োজিত প্রাণী প্রদর্শনীতেও উপজেলার শ্রেষ্ঠ পশু হিসেবে নির্বাচিত হয়। আজিজুল মিয়ার হাতে পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয় নগদ ৫ হাজার টাকা।

এবারের ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কৃষক আজিজুল মিয়া কোরবানির হাটে বাদশাকে বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এলাকার লোকজন বাদশাকে দেখার জন্য প্রতিদিনই তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।

বাদশাকে লালন পালন করতে দেশীয় খাবারের সাথে আড়াই বছরে খাবার ও চিকিৎসা বাবদ তার অন্তত ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষক আজিজুল মিয়া।

তিনি বলেন, বাদশার উচ্চতা সাড়ে ৬ ফুট, লম্বা ৯ ফুট ও বুকের মাপ সাড়ে ৮ ফুট। এর ওজন প্রায় ২২ মন। এবার কোরবানির পশুর হাটে সেটি ১০ লাখ টাকায় তিনি বিক্রি করতে চান। বিশাল আকৃতির গরুটির লালন পালনে কোন মোটা তাজা করণের ইনজেকশন দেয়া হয়নি বলে তিনি জানান।

স্থানীয়রা জানান, এতো বড় আকারের গরু অত্র এলাকায় আর কেউ লালন পালন করেননি। তাই কৃষক আজিজুল মিয়ার বাদশাকে দেখার জন্য লোকজন প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন।

img

বিশ্বনাথের মেয়রের বিরুদ্ধে নারী কাউন্সিলরের শ্লীলতাহানির মামলা

প্রকাশিত :  ১৫:১৪, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:১৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান, দুই কাউন্সিলরসহ আটজনের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। বুধবার বিশ্বনাথ থানায় মামলাটি করেন পৌরসভার এক নারী কাউন্সিলর।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পৌরসভার সাত কাউন্সিলর মেয়র মুহিবুর রহমানের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগে অনাস্থা প্রস্তাব দেন। বিষয়টি নিয়ে মেয়র কাউন্সিলরদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে পৌরসভার দক্ষিণ মিরেরচর এলাকায় মেয়রের নেতৃত্বে কয়েকজন নারী কাউন্সিলরদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন। প্রতিবাদ করলে মেয়র ও তার সহযোগীরা বাদীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় ওই কাউন্সিলর গতকাল বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। বুধবার ভোরে লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। মামলায় মেয়র ছাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর ফজর আলী ও বারাম উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে মেয়র মুহিবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী জানান, নারী কাউন্সিলরের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।