‘ক্যাটল স্পেশাল’ ট্রেনে চড়ে ঢাকায় এলো ৮০০ গরু

প্রকাশিত :  ১২:৩৩, ১৮ জুলাই ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:১১, ১৮ জুলাই ২০২১

‘ক্যাটল স্পেশাল’ ট্রেনে চড়ে ঢাকায় এলো ৮০০ গরু

জনমত ডেস্ক: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনে চড়ে ঢাকায় এসেছে গরু-ছাগল। তিনদিনের এ সেবা কার্যক্রমের প্রথম দিনে ঢাকায় এসেছে ৮০০ গরু। কুরবানির পশু পরিবহণের জন্য রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত ‘ক্যাটল স্পেশাল’ ট্রেনে এই গরু-ছাগল আসছে।

রোববার (১৮ জুলাই) রেলপথ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং রাজশাহী থেকে নয়টি ওয়াগনে ৯৭টি গরু সকালে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছায়। তাতে ভাড়া বাবদ রেলওয়ের আয় হয়েছে ৬৮ হাজার ৩৮০ টাকা।

এছাড়া জামালপুরের ইসলামপুর বাজার স্টেশন থেকে ২৫টি ওয়াগনে ৪০০ গরু এবং দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে ২১টি ওয়াগনে ৩০৬টি গরুসহ মোট ৭০৬টি গরু এবং ২০টি ছাগল নিয়ে দুটি ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন সকালে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছেছে। এ দুটি স্পেশাল ট্রেনের ভাড়া বাবদ ৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকা পেয়েছে রেলওয়ে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ৮০টি গরু নিয়ে আরো একটি স্পেশাল ট্রেন রোববার ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।

ঢাকায় কুরবানির পশু সরবরাহের জন্য গত বছরের মত এবারও ঈদের আগের ৩ দিন ‘ক্যাটল স্পেশাল’ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ১৭, ১৮ ও ১৯ জুলাই কুরবানির পশু পরিবহনের জন্য এই বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। গত বছরের মতে এবারও গরু প্রতি ভাড়া ৫০০ টাকা।

‘এ’ ক্যাটাগরি কোম্পানির জন্য বিএসইসি’র বিশেষ ছাড়

প্রকাশিত :  ১০:২৪, ২৮ মার্চ ২০২৪

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির যেসব কোম্পানি টানা পাঁচ বছর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) করেছে, সেসব কোম্পানিগুলোকে আরও ছাড় দিলো। এসব কোম্পানিগুলো এখন থেকে সশরীরে উপস্থিত না হয়ে অনলাইনেই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এজিএম ও ইজিএম করতে পারবে।

বিএসইসি আজ বুধবার (২৭ মার্চ) এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনাটি ঢাকা ও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।

 নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সেসব কোম্পানি গত পাঁচ বছর একাধারে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে, সেসব কোম্পানিগুলো সশরীরে উপস্থিত না হয়ে অনলাইনেই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এজিএম ও ইজিএম করতে পারবে।

এর আগে গত ২০২১ সালের ১০ মার্চ ও চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি এজিএম ও ইজিএম সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছিল বিএসইসি। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের উভয় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ভ্যানুতে হাইব্রিড সিস্টেম ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বশরীর উপস্থিতিতে করতে হবে।

এছাড়া যেসব বিনিয়োগকারী ভ্যানুতে সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারবেন না তারা যাতে এজিএমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন সেজন্য অলাইন বা ডিজিটাল পদ্ধতি রাখার কথাও বলা হয়। কোম্পানির ঘোষিত সভায়, স্ব স্ব কোম্পানির চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) অথবা চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও কোম্পানি সেক্রেটারিকে স্বশরীরে উপস্থিত থাকতেও বলা হয় ওই নির্দেশনায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) কমপক্ষে দুইজন করে সিনিয়র অফিসিয়ালকে এজিএমের ভোটের পুরো সিস্টেম পর্যবেক্ষণ করতে নির্দেশনা দেয় বিএসইসি।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কোম্পানির এজিএমে নির্বাচনের পদ্ধতি ও ভোটের ফলাফল স্টক একচেঞ্জ থেকে অথেনটিকেটেড হতে হবে। একই সঙ্গে কোম্পানির নিয়োগকৃত একজন স্বাধীন স্ক্রটিনাইজার থেকেও অথেনটিকেটেড হতে হবে। ওই অথেনটিকেটেড রিপোর্ট এজিএম হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিএসইসিতে জমা দিতে হবে।

এর আগে মহামারি করোনা শুরু হওয়ার পর ২০২১ সালের ১০ মার্চ বিনিয়োগকারীদের স্বশরীরে উপস্থিতির পরিবর্তে হাইব্রিড পদ্ধতি বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে এজিএম করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।