img

ইউরোপে আকস্মিক বন্যায় নিহত বেড়ে ১৮৪, জার্মানির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সফর মার্কেলের

প্রকাশিত :  ১৮:৫৭, ১৮ জুলাই ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:৩৬, ১৮ জুলাই ২০২১

ইউরোপে আকস্মিক বন্যায় নিহত বেড়ে ১৮৪, জার্মানির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সফর মার্কেলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভয়াবহ বন্যায় লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে জার্মানির বেশ কিছু শহর। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও সুইজারল্যান্ডও। সবমিলিয়ে এই বন্যায় ইউরোপে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮৪ জন। এরমধ্যে শুধু জার্মানিতেই প্রাণহানি হয়েছে ১৫৬ জনের। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন শত শত মানুষ। এ খবর দিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ও জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে।

খবরে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবারের আকষ্মিক বন্যার পর এখন উদ্ধারকার্য চলছে জার্মানিতে। উদ্ধার তৎপরতা যত বাড়ছে তত বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।

দেশটিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাইনল্যান্ড-প্যালাটিনেট প্রদেশের আরভাইলার জেলা। সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ১১০ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৬৭০ জন। রোববার সেখানকার ছোট শহর শুল্ড-এ পৌঁছান জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। তার সঙ্গে ছিলেন রাইনল্যান্ড-প্যালাটিনেট এর স্থানীয় সরকারের প্রধান মালু ড্রেয়ার এবং শুল্ডের মেয়র হেলমুট লুসি। তাদের সঙ্গে নিয়ে মার্কেল বিধ্বস্ত শহর ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি বলেন, বন্যাদুর্গত এলাকা পুনর্গঠনে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিদশর্ন অঞ্চলে উদ্ধার তৎপরতার প্রশংসা করেন মার্কেল। তবে খুব দ্রুত সেখানকার সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

মার্কেল বলেন, তিনি মাঠপর্যায়ে বাস্তব চিত্র পাওয়ার জন্যই এই পরিদর্শনে এসেছেন। জার্মান ভাষায় এমন কোনো শব্দ নেই যা দিয়ে এই ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেয়া যায়। বন্যা যখন আঘাত হানে তখন তিনি রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। সেখান থেকেই শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। 

img

ইরাকে ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় সেনা কর্মকর্তাসহ ৫ সৈন্য নিহত

প্রকাশিত :  ০৬:২৩, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩৯, ১৪ মে ২০২৪

সন্ত্রাসী হামলায় ইরাকে ৫ সৈন্য নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১৩ মে) ইরাকের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ সালাহেদ্দিনে সেনা চৌকিতে হামলায় তারা নিহত হন।

নিহতদের মধ্যে একজন সেনা কর্মকর্তা ও অন্য চারজন সেনাসদস্য। মঙ্গলবার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

অবশ্য ইরাকের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সন্ত্রাসী হামলাকে ব্যর্থ করার সময়’ একজন অফিসার এবং তার রেজিমেন্টের বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন।

একটি নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, ‘দায়েশ (ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী) সন্ত্রাসীরা মাতেবিজা গ্রামের একটি সেনা চৌকিতে আক্রমণ চালিয়ে ‘চারজন সৈন্য এবং রেজিমেন্ট কমান্ডারকে হত্যা করে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সিরিয়া এবং ইরাকে আইএসের উত্থান ঘটে। সেসময় দুই দেশের বিশাল ভূখণ্ড দখল করে নিজেদের পৃথক রাষ্ট্র ঘোষণা করেছিল আন্তর্জাতিক এই উগ্রবাদী গোষ্ঠী। তবে ২০১৭ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের সমর্থিত ইরাকি বাহিনী ইরাকে আইএসকে পরাজিত করে।

এরপর ২০১৯ সালে মার্কিন-সমর্থিত কুর্দি বাহিনীর কাছে সিরিয়ার শেষ অঞ্চলটিও হারায় সন্ত্রাসী এই গোষ্ঠীটি। কিন্তু আইএসের অবশিষ্ট কিছু দল এখনও তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং মরুভূমির আস্তানা থেকে তারা বিভিন্ন সময়ই প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ বলেছে, ইরাক ও সিরিয়া-জুড়ে আইএসের এখনও ‘৩ হাজার থেকে ৫ হাজার যোদ্ধা’ রয়েছে।