img

ইসরাইলের আগ্রাসন উপেক্ষা করে আল-আকসায় হাজারো মুসল্লির ঢল

প্রকাশিত :  ০৮:০২, ২১ জুলাই ২০২১

ইসরাইলের আগ্রাসন উপেক্ষা করে আল-আকসায় হাজারো মুসল্লির ঢল

সারাবিশ্বে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদ চত্বরেও দখলদার ইহুদিদের সহিংস আগ্রাসন উপেক্ষা করে কমপক্ষে ২০ হাজার ফিলিস্তিনি পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন।

পাশাপাশি বিভিন্ন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো মুসলমানদের প্রথম ক্বিবলা আল আকসা আগ্রাসন চালানোর ব্যাপারে তেল আবিবকে সতর্ক করেছে।

মঙ্গলবার আল আকসার জেরুজালেম আল-কুদস শহরের পুরনো অংশে ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের আগের দিন সোমবারই ইহুদিবাদী ইসরাইলের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙ্গে মসজিদ চত্বরে হাজার হাজার মুসলিম প্রবেশ করেন।

আরব ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, গত রোববারও দখলদার ইহুদি নিরাপত্তা বাহিনী মসজিদ চত্বরে হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের বেধড়ক মারপিট করে আহত করে।

ঈদের আগে দখলদারদের এমন সহিংস আগ্রাসনের প্রতিবাদে ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনে এসব আগ্রাসনের জেরে নতুন করে সংঘাত হলে তার দায় ইহুদিবাদী ইসরাইলকেই নিতে হবে।

ঈদের আগে নিরীহ ফিলিস্তিন মুসলিমদের উপর সহিংস হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরান, তুরস্ক, মিশর, পাকিস্তান, জর্দানসহ বেশকিছু মুসলিম দেশ।

এদিকে আল-আকসার হামলা হলে কঠোর হুঁশিয়ারি  উচ্চারণ করেছেন ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া। তিনি বলেন,  গাজা-ভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো আল-আকসায় দখলদার ইহুদিদের আগ্রাসন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।  প্রয়োজনে ইসরাইলকে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত মে মাসে পবিত্র ঈদুল ফিতরের কয়েকদিন আগে রোজায় ইসরাইলি সেনারা আল-আকসা মসজিদে আগ্রাসন-হামলা চালালে গাজা উপত্যকায় দখলদারদের অভিমুখে রকেটবৃষ্টি চালিয়ে কঠোর জবাব দেয় হামাসসহ অন্য প্রতিরোধ সংগঠনগুলো। পরে এক সপ্তাহের বেশি রক্ত হয় সংঘর্ষ আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা হয়।

img

ইরাকে ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় সেনা কর্মকর্তাসহ ৫ সৈন্য নিহত

প্রকাশিত :  ০৬:২৩, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩৯, ১৪ মে ২০২৪

সন্ত্রাসী হামলায় ইরাকে ৫ সৈন্য নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১৩ মে) ইরাকের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ সালাহেদ্দিনে সেনা চৌকিতে হামলায় তারা নিহত হন।

নিহতদের মধ্যে একজন সেনা কর্মকর্তা ও অন্য চারজন সেনাসদস্য। মঙ্গলবার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

অবশ্য ইরাকের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সন্ত্রাসী হামলাকে ব্যর্থ করার সময়’ একজন অফিসার এবং তার রেজিমেন্টের বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন।

একটি নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, ‘দায়েশ (ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী) সন্ত্রাসীরা মাতেবিজা গ্রামের একটি সেনা চৌকিতে আক্রমণ চালিয়ে ‘চারজন সৈন্য এবং রেজিমেন্ট কমান্ডারকে হত্যা করে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সিরিয়া এবং ইরাকে আইএসের উত্থান ঘটে। সেসময় দুই দেশের বিশাল ভূখণ্ড দখল করে নিজেদের পৃথক রাষ্ট্র ঘোষণা করেছিল আন্তর্জাতিক এই উগ্রবাদী গোষ্ঠী। তবে ২০১৭ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের সমর্থিত ইরাকি বাহিনী ইরাকে আইএসকে পরাজিত করে।

এরপর ২০১৯ সালে মার্কিন-সমর্থিত কুর্দি বাহিনীর কাছে সিরিয়ার শেষ অঞ্চলটিও হারায় সন্ত্রাসী এই গোষ্ঠীটি। কিন্তু আইএসের অবশিষ্ট কিছু দল এখনও তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং মরুভূমির আস্তানা থেকে তারা বিভিন্ন সময়ই প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ বলেছে, ইরাক ও সিরিয়া-জুড়ে আইএসের এখনও ‘৩ হাজার থেকে ৫ হাজার যোদ্ধা’ রয়েছে।