img

নবীগঞ্জে ফিশারীর পাহাড়াদারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত :  ০৮:০৬, ২১ জুলাই ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:১৯, ২১ জুলাই ২০২১

নবীগঞ্জে ফিশারীর পাহাড়াদারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গুঙ্গিয়াজুড়ি হাওড়ে সাবেক এমপির মৎস্য ফিশারীর পাহারাদার জাহাঙ্গীর মিয়ার ( ৩৫ ) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ।মঙ্গলবার (২০ জুলাই ) বিকেল সাড়ে ৫ টায় উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের গুঙ্গিয়াজুড়ি হাওড়ে সাবেক এমপি মুনিম চৌধুরী বাবুর মালিকানাধীন ফিশারীর একটি ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয় । জাহাঙ্গীর মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামের মতিন মিয়ার ছেলে । সে সাবেক এমপি মুনিম চৌধুরী বাবুর মালিকানাধীন ফিশারীর পাহাড়াদার হিসেবে কর্মরত ছিল ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , হবিগঞ্জ -১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এম এ মুনিম চৌধুরীর বাবুর মালিকানাধীন মৎস্য ফিশারী উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের গুঙ্গিয়াজুড়ি হাওড়ে অবস্থিত । দীর্ঘদিন ধরে ওই ফিশারীর পাহাড়াদার হিসেবে কর্মরত ছিলেন জাহাঙ্গীর মিয়া । পাহাড়াদার জাহাঙ্গীর ফিশারীর পাড়ে একটি ঘরে বসবাস করতেন । মঙ্গলবার বিকেলে বসত ঘরের তীরের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় জাহাঙ্গীরের দেহ দেখেন পান স্থানীয় লোকজন । পরে খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ ডালিম আহমেদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে । তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নবীগঞ্জ - বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল খায়ের ।এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন , বসত ঘরের তীরের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে । এ বিষয়ে আপাতত কিছু বলা যাচ্ছেনা আমরা কাজ করছি , ছুরতহাল রিপোর্ট ও ময়না তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে ।

img

বানিয়াচংয়ে ৩ জন নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

প্রকাশিত :  ১০:২৯, ১৩ মে ২০২৪

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ১৩নং মন্দরি ইউনিয়নের আগুয়া গ্রামে সিএনজি স্ট্যান্ড নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বদরুল আলম ওরফে বদিকে আটক করেছে বানিয়াচং থানা পুলিশ। সে ওই গ্রামের মৃত হিরা মিয়ার পুত্র।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তার শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার নুরপুর গ্রামের একটি পুকুরপাড়ের  তার এক আত্নীয়র বাড়ি থেকে বদিকে আটক করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে,বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন,তদন্ত ওসি আবু হানিফের নেতৃত্ব থানার প্রায় ২৫ জন পুলিশ অভিযানে অংশ নেন। অভিযানে সহায়তা করেন নাসিরনগর থানা পুলিশের একটি দল।

পলাশ রঞ্জন দে বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, গোপন সংবাদ ও তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আমরা নাসিরনগর থানা পুলিশের সহায়তায় আসামী বদরুল আলম ওরফে বদিকে আমরা আটক করি। যেহেতু এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি তাকে ১৫৪ ধারায় আটক দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় মামলা রয়েছে।

তিনি আরো জানান, হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্য অভিযুক্তদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের সনাক্ত করা হবে। তবে ট্রিপল হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার  সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার) পিপিএম। শুক্রবার বিকেলে পরিদর্শনে যান তিনি। ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার ) পিপিএম এসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন এবং দ্রুত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারদের নির্দেশনা প্রদান করেন ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার) পিপিএম। 

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলার ১৩নং মন্দরি ইউনিয়নের আগুয়া বাজারে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হন। নিহতরা হলেন-আগুয়া গ্রামের শুকুর মিয়ার পুত্র আব্দুল কাদির (২৫),বজলু মিয়ার পুত্র সিরাজ মিয়া (৫০) ও আলীরাজ মিয়ার পুত্র লিলু মিয়া (৪০)। এ ঘটনায় আহত হন উভয়পক্ষের প্রায় শতাধিক লোক।

সিলেটের খবর এর আরও খবর