img

মানবপাচারের অভিযোগে লন্ডনে আলবেনিয়ান গ্যাং গ্রেপ্তার

প্রকাশিত :  ২১:০৬, ২৩ জুলাই ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ২১:০৬, ২৩ জুলাই ২০২১

মানবপাচারের অভিযোগে লন্ডনে আলবেনিয়ান গ্যাং গ্রেপ্তার

জনমত ডেস্ক: ভ্যান ও লরিতে করে কয়েকশ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে অবৈধভাবে ইংলিশ চ্যানেল পার করে দেওয়ায় মানবপাচারের অভিযোগে লন্ডনে একটি আলবেনিয়ান গ্যাংককে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থা (এনসিএ)।

লন্ডনে আটক পাঁচ সন্দেহভাজন ছাড়াও গ্রেফতারকৃত অন্য দু'জন হলেন সারে থেকে হর্লি এবং অক্সফোর্ডশায়ারের ডিডকোট।

ইউরোপ জুড়ে বিভিন্ন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে পাচারের আগে অবৈধভাবে অভিবাসীদের বিশেষভাবে ভাড়া করা গাড়িতে বা বিভিন্ন আসবাবের আড়ালে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।  

এদের মধ্যে অনেক অভিবাসী অবৈধভাবে ব্রিটেনে ঢুকতে ২৫ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত পাচারকারীদের পরিশোধ করার কথা ছিল। যাদের অনেকে একবার ব্রিটেনে প্রবেশ করতে পারলে সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে কাজ করে অর্থ উপার্জনের স্বপ্ন দেখেন। 

সম্প্রতি ফ্রান্সের কালে অঞ্চলের নিকটবর্তী কোকেল টার্মিনালের নিকটে বর্ডার ফোর্সের কর্মীরা চ্যানেল অতিক্রমের ছয়টি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় এবং ব্রিটিশ উপকূলে পৌঁছানোর আগে আরও দু'টি পদক্ষেপকে থামিয়ে দেয়। তবে এসব অভিবাসীদের পাচারের পিছনে থাকা অপরাধ দলটির খোঁজ এখনো পাওয়া যায় নি। 

জাতীয় অপরাধ সংস্থা এবং মেট ও হোম অফিসের শতাধিক কর্মকর্তার সমন্বয়ে পরিচালিত অভিযানে পুরেল থেকে তিনজন, মুরডেনে আটককৃত একজন এবং ক্রয়েডন অঞ্চল থেকে অপর একজনসহ মোট সাত সদস্যকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অভিযানে প্রায় ৩০,০০০ নগদ অর্থও জব্দ করা হয়েছে। যদিও এনসিএ বলেছে, এই গ্যাংয়ের কার্যক্রমে প্রায় লক্ষাধিক পাউন্ড আয় হয়ে থাকে।

সন্দেহভাজনদের সবাইকে অভিবাসীদের যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে প্রবেশে সাহায্য করা এবং অর্থ পাচার অপরাধের সন্দেহের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এনসিএর কমান্ডার রিচার্ড হ্যারিসন বলেছেন, এই চক্রটি বেআইনী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের নিরাপত্তার দিয়েছিল এবং যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করেছিল।

তিনি আরও বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি এই গ্রেপ্তার অভিযানের ফলে সম্ভাব্য কয়েক শতাধিক লোককে যুক্তরাজ্যে অবৈধ পথে পাচারের জন্য দায়ী সংগঠিত অপরাধচক্রকে প্রতিহত করবে। নেটওয়ার্কটি দাবি করেছে, তারা বিভিন্ন যানবাহন ভাড়া করে দক্ষ গাড়িচালকের মাধ্যমে বিশেষ ভাবে অভিবাসীদের তাদের পরিষেবা দিত, তবে এজন্য তারা বিপুল পরিমাণে টাকা নিত।"

এনসিএর উপপরিচালক আন্দ্রেয়া উইলসন বলেছেন, “এসব পাচারকারীরা এনসিএর টার্গেট তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এটি এমন এক ধরনের অপরাধমূলক অপরাধ যাদের কাছে মানুষের জীবনের কোন মূল্য নেই, তারা অর্থের লাভের জন্য মানুষকে শোষণ করতে দ্বিধাবোধ করে না।”

“আমাদের কর্মকর্তারা যুক্তরাজ্য এবং বিদেশী অংশীদারদের সহায়তায় পাচারকারীদের সন্ধান, ব্যবসায়িক পরিকল্পনাকে বিঘ্নিত ও ভেঙে ফেলে বিচারের সম্মুখীন করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন”, যোগ করেন আন্দ্রেয়া উইলসন।

অভিযানটি মূলত ব্রিটেনে চলমান আলবেনীয় অপরাধ দলগুলির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক গ্রেপ্তার অভিযানের একটি সর্বশেষ ঘটনা।

এনসিএ পূর্বে বলেছিল, তারা বিশ্বাস করে আলবেনিয়ান সংগঠিত অপরাধচক্রগুলি যুক্তরাজ্যের প্রতিটি বড় শহরে অবৈধ কোকেনের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে এবং পাশাপাশি মানব পাচারের মতো অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত।


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

img

ইরানের ওপর ব্রিটেন-আমেরিকার নতুন নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত :  ১৮:২২, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৪:০২, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ইহুদিবাদী ইসরায়েলের প্রধান মিত্রদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইরানের ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশ দুটি। খবর পলিটিকো ইইউ ও আল জাজিরার।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের ইউএভি (ড্রোন) উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ১৬ ব্যক্তি এবং ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এরা ইরানের শাহেদ ড্রোন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত। ওই ড্রোন ১৩ এপ্রিলের হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যও ইরানের ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত দেশটির সামরিক বাহিনী-সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।

শনিবার রাতে ইসরাইলে প্রত্যাশিত ও অভাবনীয় হামলা চালায় ইরান। ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরাইলের বিমান হামলায় কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা নিহতের প্রতিশোদ হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়।

এ হামলায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইরান। এগুলোর বেশির ভাগই আকাশে ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরাইল। এ হামলা রুখতে ইসরাইলকে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান।

এ হামলার জবাবে ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, নিজেদের সুরক্ষার অধিকার ইসরাইলের রয়েছে।

ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, আজকে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় এবং অংশীদার ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা ইসরাইলে ইরানের নজিরবিহীন হামলার জবাব দিতে দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছি।

ইরানের মারাত্মক কর্মকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো ব্যাহত ও নস্যাৎ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক উপকরণগুলো (টুল) ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগামীতে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষগুলোর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।