img

সিলেটে একদিনে রেকর্ড শনাক্ত ৭০৮ জন, মৃত্যু ৭

প্রকাশিত :  ০৯:৩৬, ২৭ জুলাই ২০২১

সিলেটে একদিনে রেকর্ড শনাক্ত ৭০৮ জন, মৃত্যু ৭

জনমত ডেস্ক : করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দ্বিতীয় দফার কঠোর লনডাউনের পঞ্চম দিনে এসে আবারও একদিনে শনাক্তে নতুন রেকর্ড দেখতে হল সিলেট বিভাগকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে আরও ৭০৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৭ জনের।মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সুলতানা রাজিয়া স্বাক্ষরিত কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ। এদের নিয়ে সিলেট বিভাগে মোট করোনা প্রমাণিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৬ হাজার ৯১৮ জনে। যাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ২০ হাজার ৫১২ জন, সুনামগঞ্জে ৪ হাজার ২০৬ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ৪ হাজার ২৯৩ জন, মৌলভীবাজারে ৪ হাজার  ৮৮২ জন ও সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ হাজার ২৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৭০৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর ৩৫৪ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। এছাড়া বিভাগে সুনামগঞ্জ জেলার ১২০ জন, হবিগঞ্জের ৬৬ জন ও মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা ১০৬ জন। এদিকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬২ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হয়েছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন আরও ৭ জন রোগী। তাদের ৬ জনই সিলেট জেলার ও একজন হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। এনিয়ে বিভাগে মৃত্যুবরণ করা মোট রোগীর সংখ্যা ৬৩৮ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ৫০৭ জন, সুনামগঞ্জে ৪৭ জন, হবিগঞ্জে ৩০ জন, মৌলভীবাজারের ৫৩ জন ও সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৫ জন। এর মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৬ জন, ১৫ জন সুনামগঞ্জে, হবিগঞ্জ জেলার ৪ জন, মৌলভীবাজারে ২ জন ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮ জন। সব মিলিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৮০ জন। এর মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৫৬ জন, সুনামগঞ্জে ৬৯ জন, হবিগঞ্জে ২৫ জন ও মৌলভীবাজারে ৩০ জন ভর্তি রয়েছেন।

একইদিনে সিলেট বিভাগে নতুন করে আরও ৩৭৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যাদের মধ্যে ২৪৬ জন সিলেট জেলার বাসিন্দা। এছাড়া ২১ জন সুনামগঞ্জে, ৯ জুন হবিগঞ্জে, ৯৮ জন মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা। এদিকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আরও ৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এনিয়ে বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ২৯ হাজার ২২০ জন। যাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৯ হাজার ৯৩৯ জন, সুনামগঞ্জে ৩ হাজার ১৯০ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ২ হাজার ৪৩৫ জন, মৌলভীবাজারে ৩ হাজার ৪৮২ জন ও ওসমানী হাসপাতালে ১৭৪ জন।

এদিকে সিলেটের চার জেলায় র‍্যাপিড এন্টিজেন টেষ্টের মাধ্যমে ২৪০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে সিলেট ৩৭, সুনামগঞ্জ ১০৪, হবিগঞ্জ ৬৬ ও মৌলঈবাজার জেলায় ৩৩ জন। এছাড়া গত চব্বিশ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ১৮৫ জনকে নতুন করে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

img

বিশ্বনাথের মেয়রের বিরুদ্ধে নারী কাউন্সিলরের শ্লীলতাহানির মামলা

প্রকাশিত :  ১৫:১৪, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:১৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান, দুই কাউন্সিলরসহ আটজনের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। বুধবার বিশ্বনাথ থানায় মামলাটি করেন পৌরসভার এক নারী কাউন্সিলর।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পৌরসভার সাত কাউন্সিলর মেয়র মুহিবুর রহমানের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগে অনাস্থা প্রস্তাব দেন। বিষয়টি নিয়ে মেয়র কাউন্সিলরদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে পৌরসভার দক্ষিণ মিরেরচর এলাকায় মেয়রের নেতৃত্বে কয়েকজন নারী কাউন্সিলরদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন। প্রতিবাদ করলে মেয়র ও তার সহযোগীরা বাদীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় ওই কাউন্সিলর গতকাল বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। বুধবার ভোরে লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। মামলায় মেয়র ছাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর ফজর আলী ও বারাম উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে মেয়র মুহিবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী জানান, নারী কাউন্সিলরের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।