img

রামেকে হাসপাতালে একদিনে মৃত্যু আরো ১৮

প্রকাশিত :  ০৫:৪১, ২৮ জুলাই ২০২১

রামেকে হাসপাতালে একদিনে মৃত্যু আরো ১৮

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও উসর্গ নিয়ে আরো ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে রাজশাহীর ছয়জন, নাটোরের তিনজন, পাবনার সাতজন, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরের একজন করে রয়েছেন।

বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘হাসপাতালের করোনা ইউনিটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে করোনায় ছয়জন ও উপসর্গে ১২ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও চারজন নারী। ’

রামেক পরিচালক বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহীর দুইজন, নাটোরের একজন, পাবনার দুইজন ও কুষ্টিয়ার একজন মার গেছেন। অন্যদিকে উপসর্গ নিয়ে রাজশাহীর চারজন, নাটোরের দুইজন, পাবনার পাঁচজন ও মেহেরপুরের একজন মারা যান। মৃতদের পরিবারকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় রামেকে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৯ জন। রামেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৮৩ জন ও উপসর্গ নিয়ে ২২০ জন ভর্তি রয়েছেন।’

রামেক পরিচালক বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে ২৮২টি নমুনা পরীক্ষায় ৭৫ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। অন্যদিকে, মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে ৪৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮৪ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। দুই ল্যাবের টেস্টে মোট ৭৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৫৯ জনের করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে।’

img

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

প্রকাশিত :  ১২:০৯, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ ও স্থবির হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গরম যেন কমছেই না সীমান্তবর্তী এ জেলায়। বৈশাখের শুরু থেকেই কখনও মৃদু থেকে মাঝারি আবার কখনও তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চলতি মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে জেলার তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল জনজীবন। 

শুক্রবার বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গার আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১১ শতাংশ।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের তাপ। তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়ায় চারপাশে। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বাইরে নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, ইজিবাইকচালক ও ভ্যান-রিকশাচালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদের। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না। ছন্দপতন ঘটছে দৈনন্দিন কাজকর্মে।

এদিকে রোদের প্রখরতা এত বেশি যে গলতে শুরু করেছে রাস্তার বিটুমিন। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। এ অবস্থা আরও কিছুদিন চলতে পারে। তবে এখনই বৃষ্টি বা ঝড়ের সম্ভাবনা নেই।’