img

যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা দাবি ইরান মানবে না: খামেনি

প্রকাশিত :  ১০:২৬, ২৯ জুলাই ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা দাবি ইরান মানবে না: খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি বলেছেন, পরমাণু চুক্তিতে ফেরার ব্যাপারে আলোচনা শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা দাবি ইরান মেনে নেবে না।

ইরানের এ নেতা বুধবার এক অনুষ্ঠানে ওই মন্তব্য করেন। খবর রয়টার্সের।

আয়াতুল্লা আলী খামেনি বলেন, ২০১৫ সালে হওয়া পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র আবার বেরিয়ে যাবে না—এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।

দেশটি কাপুরুষোচিত ও বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। খামেনি অভিযোগ করে বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র একবার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।

২০১৫ সালে বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকার সময় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি হয় ইরানের।

ওই চুক্তির মূল বিষয় ছিল, ইরান পরমাণু কার্যক্রম সীমিত রাখবে এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশন ইরানের যেকোনো পরমাণু স্থাপনায় যেকোনো সময় পরিদর্শন করতে পারবে। বিনিময়ে ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

কিন্তু সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ইরানও এই চুক্তি থেকে সরে যায় এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ শুরু করে।

যদিও দুই পক্ষ থেকে এই চুক্তিতে ফেরার ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ই বলা হয়েছে। এ ছাড়া চুক্তিতে থাকা অন্য দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। এ ছাড়া এই চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সরাসরি কোনো আলোচনা হয়নি।

জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর চুক্তিতে ফিরবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে ট্রাম্পের আমলে যেসব নিষেধাজ্ঞা ইরানের ওপর আরোপ করা হয়েছে, তা এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি।

তবে খামেনি বলেন, সম্প্রতি যে আলোচনাগুলো হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র তার অনমনীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে এবং কাগজে-কলমে বলছে, ইরানের ওপর থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে। কিন্তু তাদের কাজে এর প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না।

img

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৪১

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৩ মে ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা এবং আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ১৭ জন। 

সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থার এক কর্মকর্তা।

কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা ভারী বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাঁট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ প্লাবিত হয়েছে।

পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ইলহাম ওয়াহাব এএফপিকে বলেন, গত রাত পর্যন্ত আমরা ৩৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তবে আজ সকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, এখনও ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে। নিখোঁজদের মধ্যে আগাম জেলায় তিনজন এবং তানাহ দাতারে ১৪ জন। বন্যার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এই দুই এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের বসবাস।

এখন পর্যন্ত কতজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি ইলহাম ওয়াহাব। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অনুসন্ধান, উদ্ধার, সরিয়ে নেওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং তল্লাশি অভিযানের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

বন্যার কারণে রাস্তাঘাট যেন নদীতে পরিণত হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় মসজিদ এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা লাহার নামেও পরিচিত। আগ্নেয়গিরির প্রধান উপাদান যেমন ছাই, বালি এবং নুড়ি পাথর বৃষ্টির কারণে আগ্নেয়গিরির ঢালে নেমে আসে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রাস্তাঘাট ভেসে গেছে।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা বেড়ে যায়। কিছু এলাকায় বন উজাড়ের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দীর্ঘ সময় মুষলধারে বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

২০২২ সালে সুমাত্রা দ্বীপে বন্যায় প্রায় ২৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সে সময় দুই শিশুর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।