img

ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ড-ওয়েলসে ভ্রমণরতদের আইসোলেশনের নতুন নিয়ম

প্রকাশিত :  ১৩:২১, ২৯ জুলাই ২০২১

ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ড-ওয়েলসে ভ্রমণরতদের আইসোলেশনের নতুন নিয়ম

জনমত ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা দুই ডোজ টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসে আইসোলেশনে থাকার প্রয়োজন নেই। হলুদ তালিকায় থাকা দেশের অধিবাসীদের জন্য এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে। আগামী সোমবার থেকে এ ব্যবস্থা কার্যকর হবে। খবর বিবিসির।

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে যাঁরা টিকা নিয়েছেন, কেবল তাঁরাই ফ্রান্স বাদে অন্য হলুদ তালিকাভুক্ত দেশ থেকে এলে কোয়ারেন্টিনে থাকেন না। যুক্তরাজ্যের সরকার বলছে, নতুন এ নিয়ম পরিবার ও বন্ধুদের একত্র হতে সহায়তা করবে।

পরিবহনমন্ত্রী গ্রান্ট স্যাপস বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন অথবা যুক্তরাষ্ট্র অনুমোদিত টিকা যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই নতুন এ নিয়ম কার্যকর হবে। পৌঁছানোর কমপক্ষে ১৪ দিন আগে এ টিকার চূড়ান্ত ডোজ নিতে হবে।তবে ভ্রমণরতদের পৌঁছানোর পরের দিনে পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগেও তাঁদের একবার পরীক্ষা করাতে হবে। ১৮ বছরের কমবয়সীদের আইসোলেশনে থাকার প্রয়োজন নেই। বয়সের ভিত্তিতে অনেকের করোনা পরীক্ষা করার প্রয়োজনও নেই।

যুক্তরাজ্যে গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার হার কমেছে।

হলুদ তালিকাভুক্ত হলেও ফ্রান্সের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে না। দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও ফ্রান্স থেকে এলে ভ্রমণরতদের আইসোলেশনে থাকতে হবে।

১৬ মাস স্থগিত থাকার পর আগামী ২ আগস্ট থেকে আন্তর্জাতিক জাহাজগুলো ইংল্যান্ড থেকে ছেড়ে যাবে।

স্কটল্যান্ডের পরিবহনমন্ত্রী মাইকেল ম্যাথেসন বলেছেন, নতুন এই নিয়ম পর্যটন খাত ও অর্থনীতিকে গতিশীল করবে। তিনি বলেন, নতুন এ নিয়ম কার্যকরে পরিস্থিতি কী হয়, তা পর্যবেক্ষণ করবেন চিকিৎসকেরা।

ওয়েলসের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইলানড মর্গান বলেছেন, টিকা ঝুঁকি কমায়। তবে করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তাই এই গ্রীষ্মে অপ্রয়োজনে ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্ক থাকার ওপরে তিনি গুরুত্ব দেন।


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে চান না ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৯:০৯, ১২ মে ২০২৪

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী রাফায় ইসরায়েল পূর্ণ মাত্রায় অভিযান পরিচালনা করলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে অস্ত্রের চালান স্থগিতের যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তার সঙ্গে একমত নয় যুক্তরাজ্য সরকার।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মনে করেন, ইসরাইলের ওপর যুক্তরাজ্যের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে। খবর বিবিসির

ক্যামেরন জানান, গাজার রাফাহ শহরে বড় ধরনের স্থল অভিযানকে সমর্থন করেন না তিনি। তবে দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পথে হাঁটার পক্ষে না তিনি। 

এদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জনাথন অ্যাশওয়ার্থ বলেছেন, তিনি চান না যুক্তরাজ্যের তৈরি অস্ত্র রাফায় ব্যবহার হোক।

ইসরাইল প্রতিবছর যে অস্ত্র কেনে তার মাত্র ১ শতাংশ যুক্তরাজ্য থেকে যায় বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন।

যু্ক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা আরও কয়েকটি দেশ ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছে, যদি তারা রাফায় সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে তবে সেখানে গণহারে বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা নিহত হবে এবং বড় ধরণের মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।

এদিকে সব সতর্কবার্তা এবং হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফায় স্থল অভিযান পরিচালনা করবেন।

ইসরাইলের দাবি, রাফায় হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধা অবস্থান করেছে। তাই সেখানে পূর্ণমাত্রায় অভিযান ছাড়া গাজায় হামাসকে নির্মূল করার তাদের লক্ষ্য পূরণ হবে না।

সোমবার থেকে রাফায় আকাশ হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। মিশর সীমান্তবর্তী এই নগরীতে স্থল অভিযানের প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা। এজন্য রাফার বাসিন্দা এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

গাজায় ইসরাইলের আকাশ হামলায় তিন ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার পর ক্যামেরন নিজেই ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সে কথা উল্লেখ করে ক্যামেরন আরও বলেন, শেষবার আমি যখন ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে বলেছিলাম তার মাত্র কয়েকদিন পর ইরান নিষ্ঠুরভাবে ইসরাইলে হামলা করে বসে। তাই আমি আজ খুব সাধারণ ভাবে ঘোষণা দিতে চাই যে, আমরা আমাদের অস্ত্র রপ্তানির কৌশল পরিবর্তন করলে সেটা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে এবং এটা জিম্মিদের মুক্ত করে আনার চুক্তিকে আরও কঠিন করে তুলবে।