img

যুক্তরাষ্ট্রে টিকা নিলেই পাওয়া যাবে ১০০ ডলার

প্রকাশিত :  ০৬:১৭, ৩০ জুলাই ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ২০:৫৯, ৩০ জুলাই ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রে টিকা নিলেই পাওয়া যাবে ১০০ ডলার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের মহামারিতে বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বিশ্বের সব দেশেই চলছে টিকাদান কর্মসূচি। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের ১০০ মার্কিন ডলার করে প্রদান করার ভিন্ন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অঙ্গরাজ্যগুলোকে এ বিষয়ক নির্দেশনা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি ভারতে প্রথম শনাক্ত করোনার ডেল্টা ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে দেশটিতে কমছে টিকাদানের গতিও। এমন পরিস্থিতিতে টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করতে এবং টিকা নিতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে এমন নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এ সম্পর্কে বলেন , ‘যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় প্রশাসন ও সরকারি বিভিন্ন সেবাখাতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। যারা টিকার ডোজ নিতে ইচ্ছুক নন, তারা যেন নিয়মিত করোনা টেস্ট করানো, সামাজিক দূরত্ববিধি, নিয়মিত মাস্ক পরা ও ভ্রমণ বিষয়ক সীমাবদ্ধতা মেনে চলেন।’

দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও কম মানুষ এখন পর্যন্ত পুরোপুরি টিকার আওতায় এসেছেন।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, করোনার অতিসংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার কারণে নতুন এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার ভাষায়, এতে করে ‘টিকা না নেওয়াদের মহামারি’ খারাপ পরিস্থিতিতে চলে গেছে।

img

ইসরাইল-মিসর সম্পর্কে ফাটল, রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের হুমকি!

প্রকাশিত :  ১২:০২, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬, ১৪ মে ২০২৪

ইসরায়েল ও মিসরের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু ৪৫ বছর আগে। এই সময়ের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক খুক একটা উষ্ণ না হলেও একটি ন্যূনতম সম্পর্ক বজায় ছিল। তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল তৈরি হয়েছে। এমনকি তেল আবিব থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও ভাবছে কায়রো।

সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে মিসরীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন, রাফায় দেশটির অভিযানকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে মতভেদের বিষয়টি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার কথা ভাবছে মিসর। বিশেষ করে, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে ইসরাইল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করে দেশটি।

মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আলকাহেরা নিউজ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাফাতে ইসরাইলের ‘অগ্রহণযোগ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির’ কারণে ত্রাণ নিয়ে মিসর তাদের সঙ্গে কাজ করবে না।

একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতির বিপর্যয়ের জন্য শুধুমাত্র ইসরাইলকেই দায়ী করে মিসর।

ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন না করে তা সীমিত করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিসরীয় কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিসরীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কায়রো ইসরাইল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখছে।

তিনি আরও বলেন, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনী রাফাহ ক্রসিংয়ে (মিসর ও গাজার মধ্যকার সংযোগ পথ) অবস্থান করবে ততক্ষণ পর্যন্ত মিসর একটি ট্রাকও (ত্রাণবাহী) রাফাহে পাঠাবে না।’ তবে রাফাহে ত্রাণের ট্রাক পাঠাতে না পারলে সেটির ফলাফল কী হবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ও মিসরীয় কর্মকর্তা।

গত সপ্তাহে হঠাৎ করে গাজা ও মিসরের সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং দখল করে নেয় ইসরাইলি সেনারা। এরপর থেকে সীমান্তটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে এখন কোনো ধরনের ত্রাণ আসছে না। এর আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে ত্রাণ আসার একমাত্র পথ ছিল এই রাফা ক্রসিং। এছাড়া গাজা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিসর যাওয়ার একমাত্র রাস্তাও ছিল এটি।

রাফা ক্রসিং দখল করার পর শনিবার রাফার মধ্যাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। এরপরই সেখানে পূর্ণমাত্রার হামলা চালায় দখলদার ইসরাইলের সেনারা।